শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ-এর ক্রিকেট স্পেশাল পর্বে দুর্দান্ত সব বিজনেস

সিনিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি সম্প্রচারিত হলো শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ-এর ক্রিকেট স্পেশাল পর্ব। বিশেষ এই পর্বে এসেছিলো চারটি ভিন্নধর্মী ও অভিনব খেলার সামগ্রীর ব্যবসা। আর সেই সাথে ছিলো শার্কদের প্যানেলেও চমক। প্রথমবারের মতো শার্কদের আসনে বসেছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক।

শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশের এই ৭ম পর্বে মোট ৪টি বিজনেস এসেছিলো-

মিয়াজি এলইডি স্টাম্প:

ক্রিকেট খেলায় স্টাম্প একটু গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী।  আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যেই স্টাম্প ব্যবহার করা হয়  সেটা বাইরের দেশ থেকে আমদানী করা হয় যার মূল্য অনেক টাকা। সেই সমস্যাকে মাথায় নিয়ে প্রথমবারের মতো দেশি এলইডি স্টাম্পের ব্যবসা নিয়ে এসেছিলেন উদ্যোক্তা আহসান হাবিব এবং সাজ্জাদ হোসেন নাহিদ। ভিন্নধর্মী এই স্টাম্প বিজনেসের আইডিয়া শার্কদের খুব পছন্দ হয়। এই বিজনেস নিয়ে উদ্যোক্তার চাহিদা ছিল ৫% শেয়ারের বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা। পরবর্তীতে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও শার্ক সামি আহমেদ ৭% শেয়ারের বিনিময়ে ১০ লাখ টাকায় চুক্তি সম্পন্ন করেন।

ব্রেইনস্পোর্টস গেম:

খেলার ছলে লেখাপড়া শেখার এক অভিনব ব্যবসা ‘ব্রেনস্পোর্টস’ নিয়ে আসেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক তরুণ উদ্যোক্তা আহবাব জামান। তার এই ভিন্নধর্মী ব্যবসাতে তিনি বিনিয়োগ দাবী করেন ১০% শেয়ারের বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা।

পরবর্তীতে দুই তিনবার অফার পাল্টানোর পর অবশেষে শার্ক সামি আহমেদ ১০% শেয়ারের বিনিময়ে ১০ লাখ টাকা ও ৬ মাস কাজের জায়গা প্রদান এবং মেন্টরশিপ সাপোর্টসহ প্রয়োজন সাপেক্ষে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল সাপোর্ট, ১০ লাখ টাকা শোধ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি পণ্য বিক্রিতে পরবর্তীতে নির্ধারিত রয়্যালটিতে চুক্তি সম্পন্ন করেন।

প্যাভিলিয়ন ৩৬০ লিমিটেড:

সম্পূর্ণ দেশিয় একটি খেলা বিষয়ক প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এসেছিলেন সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তা মোসতাকিম হোসেন এবং প্রিয়ম মজুমদার।  তাদের বানানো প্ল্যাটফর্মে লাইভ স্কোরের পাশাপাশি দেখা যায় খেলাধুলার বিভিন্ন খবরও।  শার্ক ট্যাংকের মঞ্চে তাদের চাহিদা ছিল ৫% শেয়ারের বিনিময়ে ১ কোটি টাকা।  কিন্তু শার্কদের সাথে ভ্যালুয়েশন না মেলায় তারা কোনো ডিল পাননি!

খেলবেই বাংলাদেশ:

অনলাইনে সঠিক নিয়মে খেলা শেখার একটি ভিন্নধর্মী বিজনেস নিয়ে শার্ক ট্যাংকের এবারের পর্বের শেষ উদ্যোক্তা কাজী সাবির আসেন ‘খেলবেই বাংলাদেশ’ নিয়ে।  এই বিজনেসে তার বিনিয়োগের চাহিদা ছিল ৫% শেয়ারের বিনিময়ে ৫০ লাখ টাকা। কিন্তু এক্ষেত্রেও শার্কদের সাথে মতের অমিলের কারণে কোনো ডিল সম্পন্ন হয়নি।

এই পর্বে শার্ক হিসেবে ছিলেন সামি আহমেদ, নাজিম ফারহান চৌধুরি, সামানজার খান, ফাতিন হক, গোলাম মুর্শেদ, ফাহিম মাশরুর, কাজী মাহাবুব হাসান, সাম্যুয়েল ব্র্যাজফিল্ড এবং জুনাইদ আহমেদ পলক।  প্রত্যেকেই তাদের অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি এবং দক্ষতা দিয়ে উদ্যোক্তাদের মূল্যবান প্রতিক্রিয়া এবং নির্দেশনা প্রদান করেন।

 

শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ-এর নতুন পর্ব প্রতি শুক্রবার রাত ১০টায় সম্প্রচারিত হচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে। এছাড়া যেকোনো সময় আগের পর্বগুলোও ফ্রি-তে দেখা যাবে সেখানে।

 

এই বিশ্ব বিখ্যাত শো-এর “টাইটেল স্পন্সর” হিসেবে রবি, “পাওয়ারড বাই স্পন্সর” হিসেবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ, “কো-স্পন্সর” হিসেবে ট্যালি সলুশনস, “ব্যাংকিং পার্টনার” হিসেবে প্রাইম ব্যাংক, “স্ন্যাকস পার্টনার” হিসেবে অলিম্পিক ফুডি ইন্সট্যান্ট নুডলস, “বেভারেজ পার্টনার” হিসেবে সানকুইক, “ওয়ারড্রোব পার্টনার” হিসেবে ইয়োলো বাই বেক্সিমকো, “স্টাইল পার্টনার” হিসেবে ক্লথ স্টুডিও, “গিফট পার্টনার” হিসেবে মিনিসো, “হসপিটালিটি পার্টনার” হিসেবে হলিডে ইন, “সিকিউরিটি পার্টনার” হিসেবে ইউরো ভিজিল সিকিউরিটি সার্ভিস, “ফটোগ্রাফি পার্টনার” হিসেবে র এক্সপোজার, “ব্যাক স্টোরি পার্টনার” হিসেবে লাইভ টু ওয়েব, “রেস্টুরেন্ট পার্টনার” হিসেবে চাওস এবং “পিআর পার্টনার” হিসেবে রয়েছে কনসিটো। অনুষ্ঠানটি প্রোডাকশনের দায়িত্বে ছিলো রেড ডট কমিউনিকেশন।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।