মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ডে উপলক্ষ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ

সিনিউজ ডেস্ক: মেন্সট্রুয়াল হাইজিন ডে উপলক্ষ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ  গত ১লা জুন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ডিএমসিএইচ) এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের (এসএইচএসএমসি) গাইনোকোলজি বিভাগে এক হাজার পুনঃব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করেছে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড।

যেসব প্রান্তিক নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারে সীমিত সামর্থ রয়েছে তাদের স্বাথ্যসুরক্ষায় সহায়তা করতে ডিএমসিএইচ এবং এসএইচএসএমসি’কে এক হাজার পুনঃব্যাবহারযোগ্য স্যানিটারি ন্যাপকিন দিয়েছে দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেডের সামাজিক উদ্যোগ – দারাজ কেয়ারস। এই অনুদানের মাধ্যমে, দারাজ প্রসব-পরবর্তী সময়ে তাদের মাসিক স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে সচেতনতা বৃদ্ধি করবে।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, মো. নাজমুল হক, ডিরেক্টর ও ডা. নাজমা হক, হেড অফ গাইনি অ্যান্ড ওবিএসটি। অন্যদিকে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডা. মো. সাইদুজ্জামান, অধ্যাপক, ডেপুটি ডিরেক্টর, ডা. ফারহানা দেওয়ান, হেড অফ দ্যা ডিপার্টমেন্ট অফ গাইনি অ্যান্ড ওবিএসটি এবং অধ্যাপক ডা. মুনিরা ফেরদৌসী, হেড অফ ইউনিট অফ গাইনি অ্যান্ড ওবিএসটি।

দারাজের পক্ষ থেকে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসারএ. এইচ. এম. হাসিনুল কুদ্দুস রুশো, লিগ্যাল ও পলিসি ডিরেক্টর ইসমাত জেরিন খান, সিএসআর অ্যান্ড সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার আহসান জামিল এবং সিএসআর অ্যান্ড সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মশিউর রহমান।

এ উদ্যোগ নিয়ে দারাজ বাংলাদেশের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এ. এইচ. এম. হাসিনুল কুদ্দুস রুশো বলেন, “আমাদের সমাজে বেশিরভাগ নারী ও কিশোরীরা জনসমক্ষে মাসিকের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কথা বলতে দ্বিধাবোধ করেন। কিন্তু, আমি মনে করি, মাসিকের স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে একে একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করার এখনই সময়। উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য দারাজ বাংলাদেশ ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এবার, রি-ইউসেবল স্যানিটারি ন্যাপকিন দিয়ে সহায়তার মাধ্যমে দারাজ আরেকটি কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং ভবিষ্যতেও আমাদের এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এর ফলে, সুবিধাবঞ্চিত নারীরা মাসিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবেন এবং এ বিষয়টিকে ঘিরে প্রচলিত ট্যাবু ধীরে ধীরে হ্রাস পাবে এমনটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

 

Click

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।