সিনিউজ ডেস্ক:বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম অনুষঙ্গ ইন্টারনেটের প্রচার, প্রসার ও এর সুফলগুলো সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে দেশব্যাপি আয়োজিত হতে যাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ইন্টারনেট উৎসব ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক ২০১৫’। দেশের তিনটি বিভাগীয় শহরে বড় প্রদর্শনী ও ৪৮৭টি উপজেলায় একটি করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে আয়োজিত হবে এই উৎসব। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।
আগামী ২৪ থেকে ৩০ আগস্ট, ২০১৫ তে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই উৎসবে অংশ নিবে ই-কমার্স, ওয়েবপোর্টাল, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ও সারাদেশের স্থানীয় মোবাইল ভিত্তিক উদ্যোগ সারা সপ্তাহজুড়ে প্রচার ও প্রদর্শন করা হবে। দর্শনার্থীরা এসব সেবা গ্রহণের প্রক্রিয়া সরাসরি দেখতে ও জানতে পারবেন। এছাড়া দেশের তিনটি বিভাগে ইন্টারনেট মেলার বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার এবং দেশের গনমাধ্যমগুলোতে পলিসি বৈঠকের আয়োজন করা হবে। আর এর মাধ্যমে ইন্টারনেট প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে প্রতিবছর নূণ্যতম ১ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ানো, সাধারণ জনগনকে আরও বেশি অনলাইন সেবার আওতায় আনাসহ তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটভিত্তিক উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সুবিধা নিশ্চিতকল্পে এগিয়ে যাওয়াও এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার সঙ্গে জড়িত আগ্রহী প্রতিষ্ঠান বেসিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই উৎসবে সম্পৃক্ত হতে পারবেন।
এই আয়োজনের মাধ্যমে বেসিসের ‘ওয়ান বাংলাদেশ’ ভিশনের অন্যতম পিলার ২০১৮ সাল নাগাদ প্রতিবছর নূণ্যতম ১ কোটি ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ানোর লক্ষ্য বাস্তবায়ন হবে বলে মনে করছেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) ও টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন। এই আয়োজনে সহযোগি হিসেবে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ। এ উপলক্ষে মঙ্গলবার বেসিস এবং গ্রামীণফোনের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়।
বেসিসের নির্বাহী পরিচালক সামী আহমেদ ও গ্রামীণফোনের প্রধান ক্রয় কর্মকর্তা আসিফ মোহাম্মদ তৌহিদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাস্থ জিপি হাউজ-এ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ, সহ-সভাপতি এম রাশিদুল হাসান, যুগ্ম-মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, পরিচালক আশরাফ আবির ও আরিফুল হাসান অপু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গ্রামীণফোনের পক্ষে প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা দিলীপ পাল, প্রধান কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান, পরিচালক (স্টেকহোল্ডার রিলেশন) ইশতিয়াক হোসেন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় বেসিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, সাতদিনব্যাপি সারা দেশজুড়ে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন সাধারণ জনগনকে ইন্টারনেটের প্রতি আগ্রহী করা হবে, অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর প্রতিষ্ঠান তাদের ইন্টারনেট ভিত্তিক পণ্য বা সেবাকে দেশব্যাপি ছড়িয়ে দিতে পারবেন।
গ্রামীণফোনের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা দিলীপ পাল বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রায় ইন্টারনেট এখন একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ। বেসিসের সাথে আয়োজিত এই অনুষ্ঠান এই অনুষ্ঠান অত্যন্ত সফল এবং জাঁকজমকভাবে হবে বলে আমি প্রত্যাশা করি।
এ প্রসঙ্গে বেসিস সভাপতি শামীম আহসান বলেন, বেসিসের ওয়ান বাংলাদেশ ভিশনের অন্যতম পিলার ছিলো ২০১৮ সাল নাগাদ প্রতিবছর দেশব্যাপি ইন্টারনেট গ্রাহকসংখ্যা ১ কোটি বাড়ানো। তারই ধারাবাহিকতায় এই আয়োজন। এতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠী যারা ইন্টারনেট সম্পর্কে অনেকটাই অজ্ঞ তাদের ইন্টানেটের সুফল সম্পর্কে জানানো হবে। দেশের ইতিহাসে এ ধরণের আয়োজন এবারই প্রথম। এক্ষেত্রে গ্রামীণফোন এগিয়ে আসায় আমরা আনন্দিত।
গ্রামীণফোনের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, সারাদেশে ৫ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তৈরিতে বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। বেসিসের সাথে এই আয়োজনে সম্পৃক্ত হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
শিগগিরই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ ইন্টারনেট উইক’ আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হবে।