সিনিউজ ডেস্ক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইটি ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা চালিকাশক্তি হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড প্রদান করা হচ্ছে। এ সময় প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্য তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করতে সফল ফ্রিল্যান্সারদের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ঢাকা জেলার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নির্বাচিত ৩১৮ জন সফল ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ ও সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী দেশে সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সফল ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে যদি উদ্যোক্তা হতে পারে তাহলে আরো লাখ লাখ তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশের তরুণরা চাকরির পিছনে ঘুরবে না বরং চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে। তিনি বলেন, দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে আইটি ফ্রিল্যান্সার বা উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারলে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আয় করতে পারবে। এ লক্ষ্য নিয়েই লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে আমাদের কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। সে অনুযায়ী দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হলে আমরা মারাত্মক সংকটের মধ্যে পড়ব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইনিং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটি এ চারটি বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন।
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মমতাজ বেগম ও লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবীর।
পরে প্রতিমন্ত্রী সফল ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ল্যাপটপ ও সার্টিফিকেট বিতরণ করেন।