ডিজিটাল কমিউনিটি গড়তে বাংলাদেশে টিকটকের উদ্যোগ

সিনিউজ ডেস্ক: বর্তমানে বাংলাদেশ ডিজিটালাইজ হচ্ছে খুবই দ্রুতবেগে। যেখানে অনেক প্রতিভাবানরা নিজেদেরকে তুলে ধরার জন্য খুঁজছে নানান প্ল্যাটফর্ম। এর মধ্যে টিকটক অ্যাপটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা বিনোদনমূলক উদ্দেশ্য নিয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় জায়গা করে নিয়েছে আরও বিভিন্নভাবে। পরিবর্তন, উদ্ভাবন এবং এর কমিউনিটির জন্য প্ল্যাটফর্মটি একটি মাধ্যম হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের সৃজনশীলতাকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা করে টিকটক। যার মধ্য দিয়ে উঠে আসে এ দেশের ক্রিয়েটর কমিউনিটির প্রতি প্ল্যাটফর্মটির দেয়া প্রতিশ্রুতি।

 

সম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত কমিউনিটি ওয়ার্কশপের মাধ্যমে, টিকটক এর ক্রিয়েটরদের কাছে তুলে ধরেছে প্ল্যাটফর্মটির সমন্বিত পদ্ধতিগুলো। ওয়ার্কশপটিতে অংশ নেয় কমিউনিটির ক্রিয়েটররা, যেখানে ছিল একাধিক শিক্ষামূলক সেশন। ওয়ার্কশপের অন্যতম একটি সেগমেন্ট ছিল ‘টিকটক ১০১’ এবং এতে আরও ছিল কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা, যেগুলো পরিচালনা করেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞরা। ডিজিটাল কনটেন্টের মতো জটিল বিষয়গুলো বোঝার ক্ষেত্রে ক্রিয়েটরদের জন্য এটি একটি রোডম্যাপ হিসেবে কাজ করেছে।

 

এছাড়াও, ওয়ার্কশপটিতে গুরুত্ব দেওয়া হয় নেটওয়ার্কিং এবং কমিউনিটি-বিল্ডিং এর উপর, যা প্ল্যাটফর্মের অবিচ্ছিন্ন বিকাশ এবং পারস্পরিক শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি ভিত্তিসরূপ। নেটওয়ার্কিংয়ের সেশনগুলোতে নিজেদের মতামত শেয়ার করার এবং ভবিষ্যতের প্রকল্পগুলো নিয়ে ভাবনাগুলো তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছেন ক্রিয়েটররা। এই ধরনের উদ্যোগ কেবল ব্যক্তিগত বিকাশকে উৎসাহিত করে না বরং সকলের একত্রে উন্নয়ন করার ক্ষেত্রেও অবদান রাখে।

 

কর্মশালায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর শ্রীয়া দেবনাথ বলেন, “আমি ভেবেছিলাম, এই ওয়ার্কশপটি হয়তো গতানুগতিক ধারার মতোই হবে। কিন্তু এখানে এসে আমি বুঝতে পেরেছি, শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে টিকটক প্রচেষ্টার গুরুত্বের দিকটি। কনটেন্ট  তৈরির ক্ষেত্রে যে প্রশ্নগুলো উঠে আসে সেগুলো নিয়ে এখানে বলা হয়েছে। ‘নিজের ক্ষেত্র’’ খুঁজে পাওয়া এবং দর্শকদের সাথে যুক্ত থাকা কেন গুরুত্বপূর্ণ, এটি বোঝা আমার জন্য একটি গেম-চেঞ্জার ছিল। ভিডিও অপসারণের জন্য স্বচ্ছতা নিশ্চিতে টিকটকের যে প্রচেষ্টা তা প্ল্যাটফর্মটিকে একটি আলাদা জায়গায় নিয়ে গেছে”।

 

“ওয়ার্কশপটি আমাকে অনেক কিছু বুঝতে সাহায্য করেছে। এই ধরনের একটি ইভেন্টে আমি প্রথমবার অংশগ্রহণ করেছি। এখানে টিকটক অ্যাপ এবং কলাবরেশন সম্পর্কে আমি যা জানতে পেরেছি সেটি খুব প্রয়োজনীয় ছিল। এর আগে, আমি হ্যাশট্যাগের গুরুত্ব বুঝতে পারিনি, কিন্তু এখন আমি দেখতে পাচ্ছি কিভাবে এটি কার্যকরী হতে পারে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টিকটকের সামনের উদ্যোগগুলো এবং কনটেন্টের মান উন্নত করার সম্ভাবনার বিষয়টি দারুন হবে বলে মনে করছি। টিকটক কাজ করছে, এবং সেই যাত্রার একটি অংশ হতে পেরে আমি আনন্দিত!,” বলেন, কনটেন্ট ক্রিয়েটর ফারহানা পারভীন।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।