সিনিউজ ডেস্ক: ৬-৮ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিতব্য স্মার্টফোন অ্যান্ড ট্যাব এক্সপো ২০২২ -এ হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রযুক্তিগত সহায়তায় দর্শনার্থীদের ফাইভজি অভিজ্ঞতা লাভের সুযোগ প্রদান করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল অপারেটর টেলিটক।
ফাইভজি এক্সপেরিয়েন্স জোনে দর্শনার্থীরা ব্যক্তি পর্যায়ে, বাড়িতে এবং শিল্পখাতে ফাইভজি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিতে এবং এ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
এই এক্সপেরিয়েন্স জোন সম্পর্কে আয়োজক মেকার কমিউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী মুহাম্মদ খান বলেন, “আমরা এই এক্সপো নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। দর্শনার্থীরা এখান থেকে স্মার্টফোন এবং ট্যাব কিনতে পারবেন। বাংলাদেশ যখন ফাইভজি যুগে প্রবেশ করছে, তখন এই মেলায় এক্সপেরিয়েন্স জোন নতুন মাত্রা যোগ করছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষ প্রথমবারের মতো ফাইভজি কি করতে পারে সে অভিজ্ঞতা নেয়ার সুযোগ পাবেন। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্য টেলিটকের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদানের জন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানাই।”
এ ব্যাপারে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের হেড অব পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইউয়িং কার্ল বলেন, “বাংলাদেশের ফাইভজি যুগে প্রবেশের মতো ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশ হতে পেরে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ অত্যন্ত গর্বিত। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যক্তি, বাড়ি ও শিল্প পর্যায়ে নানাবিধ অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আনবে ফাইভজি। আর হুয়াওয়ে সবসময় বাংলাদেশকে এর উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সুবিধা প্রদান করবে, কারণ আমরা বাংলাদেশের জন্যই বাংলাদেশে কাজ করছি।”
উল্লেখ্য যে, ২৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘ইন বাংলাদেশ, ফর বাংলাদেশ’ মূলমন্ত্রের সাথে হুয়াওয়ে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের যাত্রাকে ত্বরাণ্বিত করতে এর বৈশ্বিক দক্ষতার সাথে দেশকে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদানে কাজ করছে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি অন্যান্য পার্টনারদের সাথে দেশের প্রথম ফাইভজি ট্রায়াল পরিচালনা করে।
দেশে উন্নত কানেক্টিভিটি নিশ্চিত করতে টেলিটক এবং হুয়াওয়ে দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। এই দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক সম্পর্কের সর্বশেষ যৌথ কার্যক্রম ছিলো ফাইভজি চালু, যেখানে হুয়াওয়ে ৪টি সাইটে এর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি প্রদান করছে।