সিনিউজ ডেস্ক: নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ ও অভিযোজন করা প্রয়োজন এফবিসিসিআই এর উদ্যোগে “এক্সপোর্ট চ্যালেঞ্জেস অব বাংলাদেশ আফটার গ্রাজুয়েশন ফ্রম এলডিসি স্ট্যাটাস: অপশনস ফর দি প্রাইভেট সেক্টর” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এফবিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিতে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের আগের চার বছর মোটেও কম সময় নয় উল্লেখ করে মুখ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশ যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার করা হিসাব পরিবর্তন করে দেবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শরিফা খান উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান।
সেমিনারে এফবিসিসিআই -এর পরিচালক ও বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বার (BMCCI)-এর সভাপতি জনাব সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে, এবং সেই লক্ষ্যে নতুন প্রযুক্তি (যেমন, IoT, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স ইত্যাদি) গ্রহণ ও অভিযোজন করা প্রয়োজন। এই প্রযুক্তি সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য হিউম্যান ক্যাপিটাল তৈরী করতে হবে এবং এর জন্যে স্কিল ডেভেলপমেন্ট জরুরী। এ বিষয়ে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিশেষ ভূমিকা প্রয়োজন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরও বেশী ফরওয়ার্ড লুকিং হতে হবে। টেকনিক্যাল ও ভোকেশনাল ট্রেনিং-এর উপর জোর দিতে হবে।
জনাব আলমাস কবীর দেশে অ্যাসেম্বলিং ও ম্যানুফ্যাকচারিং-কে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পলিসি গঠন, ব্যবসা সহজীকরণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা গ্রহণ করার উপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। এর ফলে উন্নত দেশ থেকে স্কিল ট্রান্সফার হবে। চলমান মেগা প্রজেক্টগুলোতে বিদেশ থেকে শত শত কোটি টাকার বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস আমদানি না করে দেশেই সেগুলোর অ্যাসেম্বলিং করলে নলেজ ও স্কিল ট্রান্সফার হবে।
আলমাস কবীর আরও বলেন যে, ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ তৈরী করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পুনর্বিন্যাস প্রয়োজন। ট্যাক্স পলিসি-মেকার এবং ট্যাক্স অ্যাডমিনিস্ট্রেটর কখনই এক হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।
সেমিনারে এফবিসিসিআইর প্যানেল উপদেষ্টা ও সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, এমসিসিআইর সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, পিডব্লিউসি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা অংশীদার মামুন রশীদ, এফবিসিসিআইর উপদেষ্টা মঞ্জুর আহমেদ, বাংলাদেশ ট্রেড এন্ড ট্যারিফ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারে দক্ষ জনশক্তি তৈরি, সরবরাহ শৃঙ্খলা অব্যহত রাখা, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ফাইভ-জি, ব্রডব্যান্ড পৌছে দেয়া, শিল্পের সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংযোগ, প্রযুক্তি অভিযোজন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।