সিনিউজ ডেস্ক: রোজ মঙ্গলবার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর আয়োজনে American International University – Bangladesh (AIUB) এর অডিটরিয়ামে Safe Internet for Academic Excellence এর উপর সচেতনতা মূলক অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটি – বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০০০ শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেন । সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী, জনাব মোস্তাফা জব্বার, তিনি তার বক্তব্যে বলেন আমি সৌভাগ্যবান যখনেই এআইইউবি ক্যাম্পাস এ এসেছি তখনেই অডিটরিয়াম ভর্তি ছাত্রছাত্রী পেয়েছি।
তিনি ছাত্রছাত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় পড়া শেষে সাংবাদিকতা শুরু করি, কলমের শক্তি অনেক কলম আর মাথা মিলে কাজ করেছি। শিশাহরফের মাধ্যমে ছাপা খানার কাজ করি। তিনি বলেন আমেরিকা যখন পাকিস্তানকে আইবিএম ১৬২০ কম্পিউটার উপহার দেয় তখন পশ্চিম পাকিস্থানে কম্পিউটার চালানোর মত লোক ছিলনা, কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে মো: হানিফ উদ্দিন মিয়া এই কম্পিউটার চালাতে পারত বলে পরবর্তীতে এই কম্পিউটার পূর্ব পাকিস্তানে পরমানু গবেষনাকেন্দ্রে আসে। ১৯৮৭ সালের ১৬ই মে কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রথম বাংলায় পত্রিকা বের হয়।তারপর নেটওর্য়াকিং কাজে ব্যবহার।
১৯৯৭ সালে ইন্টারনেটে প্রবেশ করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলেই শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহারের পর ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে বর্তমানে ডিজিটাল বংলাদেশে ৩৮৪০ জিবিপিএস এর মাধ্যমে ১৩ কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। তিনি ছাএছাএীদেরকে সামনে ৫জি ও চতুর্থ শিল্পবিল্পবকে সামনে রেখে ডিজিটাল দক্ষতা, কমিউনিকেশন স্কিল ও ডিজিটাল ডিভাইস এর পারদর্শিতায় নিজেকে তৈরী করার কথা বলেন। ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিজের কাছে যদি নিজে অনিরাপদ না হয় তাহলে কেউ হেকিং বা নিরাপত্তা বিঘিœত করতে পারবে না। ইন্টারনেট, ফেইসবুকও গুগোলের মাধ্যমে নিজের শিক্ষার প্রয়োজনীয় ভাল দিকগুলি ব্যবহার করে জ্ঞান অর্জনের কথা বলেন ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনাব মো: ইমদাদুল হক, সভাপতি, আইএসপিএবি, তিনি তার বক্তব্যে ছাএছাএীদের উদ্দেশ্যে বলেন ছাত্র থাকা অবস্থায় বিটিবিতে মোস্তাফা জব্বার স্যারের অনুষ্ঠান দেখে অনুপ্রানীত হয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে পড়াশুনা করে ইন্টারনেট সার্ভিস জগতে এসেছি। ১৯৯৬ সালে চাকরিতে প্রবেশ করি বর্তমানে উদ্যোগতা হয়েছি। সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সবাইকে চাকরি দিতে পারবেনা। দক্ষতার মাধ্যমে উদ্যোগতা হতে হবে।
তিনি আরো বলেন আমরা প্রথমে ভিস্যাট এর মাধ্যমে ইন্টারনেট শেখানোর জন্য সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করেছি এখন সাবমেরিন এর মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড সেবার কোয়ালিটি বা ভাল মানের সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করছি। দক্ষ জনশক্তি তৈরী করার জন্য আগ্রহ ছাত্রছাত্রী থাকলে আমরা দুই মাস অন্তর অন্তর টেনিং প্রোগ্রাম করব। আমাদের ২৯০০ লাইসেন্সধারী আইএসপি আছে কিন্তু দক্ষ লোকের খুব অভাব কোভিড-১৯ কালে দক্ষ জনবল তৈরীতে আমরা অনেকটা পিছিয়ে আছি। আপনাদের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তেরী করতে পারব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং পরিশেষে অনুষ্ঠান আয়োজনে সহযোগিতা করার জন্য AIUB Vice Chancellor সহ সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাজমুল করিম ভূঁঞা, সেক্রেটারী জেনারেল, আইএসপিএবি, তিনি তার বক্তব্যে বলেন আমরা ১৮ কোটি মানুষকে ব্রডব্যান্ড সেবা পৌছে দেয়ার জন্য কাজ করছি। ইন্টানেটে ব্যবহারে ভাল ও খারাপ দিক আছে ,আমরা আশা করি ছাত্রছাত্রীরা ভাল দিকগুলো গ্রহন করে খারাপ দিকগুলো বর্জন করে নিজেকে রক্ষা করবে । বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন জনাব ইকবাল বাহার জাহিদ,ফাউন্ডার প্রেসিড্টে, নিজের বলার মতো একটা গল্প, সাকিব আহমেদ, ডিরেক্টর, আইএসপিএবি ও প্রপেসর ড: এবিএম সিদ্দিক হোসেইন , ডিন, ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন Dr. Carmen Z. Lamagna, Vice Chancellor, AIUB, তিনি প্রথান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের মাঝে ক্র্যাস্ট বিতরনে মাধ্যম অনুষ্ঠান সমাপ্তি করেন।