সিনিউজ ডেস্ক: ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিকাশ-এর “এএমএল-সিএফটি সপ্তাহ”বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে বিএফআইইউ এর ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে বিকাশ-এর “এএমএল-সিএফটি সপ্তাহ” খাতে মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে এবং গ্রাহকের আর্থিক নিরাপত্তা ও সচেতনতা আরো বৃদ্ধি করতে “এএমএল-সিএফটি সপ্তাহ” উদযাপন করছে বিকাশ। গতকাল (বুধবার) বিকাশের প্রধান কার্যালয়ে সপ্তাহব্যাপী এই উদযাপনের উদ্বোধন করেন বিকাশের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীর। এসময় চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার ও চিফ এন্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অবঃ) সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএফআইইউ-এর নীতিমালা ও নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করে এএমএল-সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করে বিকাশ। “এএমএল-সিএফটি সপ্তাহ” উদযাপনের আওতায় বিকাশ এই ৭ দিনে ওয়ার্কশপ, সেন্ট্রাল কমপ্লায়েন্স কমিটির মিটিং, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রসহ এজেন্ট-ডিস্ট্রিবিউটর-মার্চেন্ট পয়েন্টে প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বিকাশ বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার প্রদত্ত সকল নীতিমালা মেনে চলে এবং কর্পোরেট সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। পাশাপাশি, মানি লন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ বিষয়ে বিএফআইইউ এর সকল নির্দেশনা যথাযথভাবে অনুসরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। কোটি গ্রাহকের অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কাস্টমার একাউন্ট যথাযথভাবে ভেরিফাই করা হয়। এছাড়া বছরব্যাপী গ্রাহক, ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল পার্টনার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য ওয়ার্কশপ ও বিভিন্ন মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারণা সহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে থাকে বিকাশ। শুধু তাই নয়, প্রতারনামূলক কর্মকান্ড ঠেকাতে এবং জরুরী সেবা নিশ্চিত করতে একটি বিভাগ ২৪ ঘন্টাই নিয়োজিত থাকে।
কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে বিকাশের উদ্যোগসমূহ:
কাস্টমার-ডিউ-ডিলিজেন্স (সিডিডি):
সিডিডি এর মাধ্যমে বিকাশ নিশ্চিত করে, যে ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র তিনিই অ্যাকাউন্ট খুলছেন এবং যে তথ্য দিচ্ছেন তা নির্ভুল ও সম্পূর্ণ। বিএফআইইউ সার্কুলার ২৫ এ নির্দেশিত প্রতিটি পদক্ষেপ অনসরণ করে গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি সম্পন্নের মাধ্যমে একাউন্ট খোলা হয়।
একটি ব্যক্তির একটি ব্যক্তিক এমএফএস অ্যাকাউন্ট:
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির কোনো এমএফএস প্রতিষ্ঠানের সাথে কেবলমাত্র একটি ব্যক্তিক অ্যাকাউন্টই চালু থাকতে পারে। এই নির্দেশনা মেনে একজন গ্রাহকের যেন একটি ব্যক্তিক বিকাশ অ্যাকাউন্ট থাকে, তা নিশ্চিত করা হয়।
স্ক্রিনিং:
মানি লন্ডারিং এবং সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঝুঁকি মোকাবেলায় কেবল সঠিক ও সম্পূর্ণ গ্রাহক তথ্য সংগ্রহ করাই নয়, নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত কিংবা অন্যান্য দেশি-বিদেশি স্যাংশন তালিকায় (সন্ত্রাসীদের তালিকা) থাকা কেউ যেন অ্যাকাউন্ট খুলতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া চালু রাখে বিকাশ।
চ্যানেল পার্টনারদের মাঠ পর্যায়ের প্রতিপালন নিরীক্ষণ:
যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক লেনদেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গভীরভাবে লেনদেন পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ে চ্যানেল পার্টনারদের কর্মকান্ড সরাসরি খেয়াল রাখার জন্য বিকাশ চালু করেছে ‘এএমএল ৩৬০’ সল্যুশন।