বাংলাদেশে প্রতিনিধি অফিস খুলবে ডয়চে ব্যাংক

সিনিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রতিনিধি অফিস খুলবে জার্মানির ডয়চে ব্যাংক। এই নতুন বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে ডয়চে ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যক্রমের পরিধি ১৫টি বৈচিত্র্যপূর্ণ বাজারে সম্প্রসারিত হবে।

 

দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতির এ দেশে গ্রাহকদের বাণিজ্যের জন্য আর্থিক সহায়তার জোরালো চাহিদার প্রতি সাড়া দিয়ে ডয়চে ব্যাংক শিগগিরই বাংলাদেশে এর কার্যক্রম শুরু করবে। প্রতিনিধি অফিসটি বহুজাতিক করপোরেট ক্লায়েন্টদের; বিশেষ করে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের সহায়তা করার ওপর গুরুত্বারোপ করবে। বাংলাদেশে ব্যাংকটির ব্যবসাকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য সৈয়দ নওশাদ জামানকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সৈয়দ নওশাদ জামান এর আগে বাংলাদেশে কমার্জব্যাংক প্রতিনিধি অফিসের ডেপুটি হেড (উপ-প্রদান) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

 

এ নিয়ে ডয়চে ব্যাংকের এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং ম্যানেজমেন্ট বোর্ডের সদস্য আলেকজান্ডার ফন জুর মুহেলেন বলেন, “আমরা এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে আমাদের ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি  এবং বিনিয়োগের বিষয়টি অব্যাহত রেখেছি।” তিনি আরো বলেন, “আমরা গর্বিত যে, এশিয়া প্যাসিফিকে আমাদের ১৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা আমাদের শক্তিশালী আঞ্চলিক নেটওয়ার্কের ১৫তম বাজারে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছি। আমাদের প্ল্যাটফর্মের জন্য এ অঞ্চলে আমরা যে ইতিবাচক সুযোগ দেখতে পাচ্ছি তার একটি বড় উদাহরণ হচ্ছে বাংলাদেশ। দেশটির দ্রুত এগিয়ে চলা অর্থনীতির সাথে আমরা আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বাণিজ্যে এর ক্রমবর্ধমান অংশগ্রহণকে সহায়তা করার জন্য এ বাজারে প্রবেশ করছি।”

 

ট্রেড ফাইন্যান্স ও লেন্ডিং এর জন্য ডয়চে ব্যাংক গ্লোবাল কো-হেড অতুল জৈন বলেন, “আমাদের বৈশ্বিক বহুজাতিক এবং জার্মানির করপোরেট ক্লায়েন্ট, উভয়ের জন্যই বাংলাদেশ একটি ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এ প্রতিনিধি অফিসটি বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিশীল এবং বিকাশমান বাজারে আমাদের ক্লায়েন্টদের ক্রমবর্ধমান হারে বেড়ে চলা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং আর্থিক সহায়তার চাহিদাকে সমর্থন করার প্রতি আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন ।”

 

বাংলাদেশ দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, ইউরোপে জার্মানি হলো বাংলাদেশের বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার, আর বিশ্বে এটি দ্বিতীয় বৃহত্তম। বাংলাদেশে জার্মানি থেকে রপ্তানি গত ২৫ বছরে তিন গুণ বেড়েছে। ২০২১ সালে বাংলাদেশে জার্মানির রপ্তানি ৪৫ শতাংশ বেড়ে ৮৭৭ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এ রপ্তানির অর্ধেকের কম এসেছে মেশিনারি ও ইক্যুইপমেন্ট থেকে, যার মূল্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।