নতুন কনসেপ্টের ল্যাপটপ

সিনিউজ ডেস্ক: প্রিয় পাঠক, আপনারা যখন এ লেখা পড়ছেন তখনও বিশ্বের নানা নানা প্রান্তে নতুন কনসেপ্টের ল্যাপটপ ডিজাইন বোর্ডের সামনে আর ল্যাবরেটরিতে বসে মেধাবী ডিজাইনাররা আকর্ষণীয়, কার্যকর, ভবিষ্যতমুখী সব গ্যাজেটের নকশা তৈরি করে চলেছেন। আজকের প্রযুক্তি পাঠশালায় ল্যাপটপের দুনিয়া থেকে এরকমই কিছু কনসেপ্ট এবং প্রোটোটাইপ ডিজাইনের সঙ্গে পরিচিত হব আমরা, যেগুলো ডিজাইন বোর্ড ছেড়ে আগামী চার পাঁচ বছরের মধ্যেই আমাদের হাতে হাতে শোভা পেতে পারে।
চার পর্দা, অনেক বিস্ময়

আগামীতে আপনি যে ল্যাপটপটি কিনবেন সেটির যদি দুটো, তিনটি এমনকি চারটিও ডিসপ্লে থাকে তাহলে অবাক হবেন না যেন! একাধিক পর্দাবিশিষ্ট এসব ল্যাপটপের উদ্দেশ্য হবে আপনার কম্পিউটার ব্যবহারের অভিজ্ঞতায় নতুন মাত্রা যোগ করা। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইন্টেল-এর নোটবুক প্রোটোটাইপ গ্রæপ-এর ডিজাইন করা ‘ট্যানজেন্ট বে’ (Tangent Bay) ল্যাপটপ নিয়ে আসতে যাচ্ছে চার চারটি ডিসপ্লে।

 

এর মধ্যে একটি হচ্ছে প্রধান ডিসপ্লে, যার আকার হবে ১৫.৬ ইঞ্চি। এর সহযোগী হিসেবে কিবোর্ডের ঠিক উপরে থাকবে তিন তিনটি টাচস্ক্রিন, যার প্রতিটির আকার হবে ৩.৫ ইঞ্চি। সচরাচর মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত টাচস্ক্রিনের মত এই তিনটি ওএলইডি স্ক্রিন কিবোর্ডের উপরিভাগে নির্দিষ্ট দূরত্বে পাশাপাশি বসানো থাকবে। এগুলো রাখার উদ্দেশ্য হচ্ছে চলমান মূল কাজের সহযোগী অন্যান্য কাজ প্রদর্শন করা, যাতে মূল স্ক্রিনটি অপ্রয়োজনীয় মেন্যু আর পেইন-এর ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে না যায়। রিমাইন্ডার নোট থেকে শুরু করে লাইভ আরএসএস ফিড রান করা বা ফটোশপ-এর ব্রাশ মেন্যুকে প্রদর্শন করাসহ নানা কাজেই ব্যবহৃত হতে পারে এসব স্ক্রিন। ইন্টেলের কনসেপ্ট পিসি প্রোগ্রামের প্রধান মুরালী ভিরামানি বলেন, ‘সামান্য একটু প্রোগ্রামিং জানলে ইউজাররা উইন্ডোজ ৭-এর গ্যাজেটগুলোকেও রেখে দিতে পারবেন এসব সহযোগী স্ক্রিনে, যদিও আমি নিজে হয়ত এসব স্ক্রিনকে ব্যবহার করব প্রধান স্ক্রিনে জঞ্জাল না বাড়িয়ে আমার ইমেইল বা প্রিয় ওয়েব সাইটগুলোর ওপর চোখ রাখার জন্য।’ ভিরামানি বলেন, ‘এটিকে এক্সট্রিম মাল্টিটাস্কিং বলতে পারেন, তবে এটাতো ঠিক যে কম্পিউটার খুলে বেশির ভাগ ইউজারই একাধিক কাজ একসঙ্গে করতে থাকেন। আমাদের ডিজাইনের বিশেষত্ব হচ্ছে, আপনি যদি সহযোগী স্ক্রিন থেকে কোনো অ্যাপ্লিকেশনকে প্রধান স্ক্রিনে আনতে চান তাহলে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে ওটাকে ধরে উপরের দিকে টান দিলেই হবে। সেটা মেইন স্ক্রিনে চলে আসবে।’ গত বছর সান ফ্রান্সিসকোতে ইন্টেল ডেভেলপার ফোরাম-এ ট্যানজেন্ট বে ল্যাপটপের ডিজাইন প্রথম প্রদর্শন করার সঙ্গে সঙ্গেই আলোড়ন তোলে এটি। আল্ট্রা লো ভোল্টে প্রসেসরসমৃদ্ধ এই ল্যাপটপ সাধারণ ল্যাপটপের মতই পুরুত্ববিশিষ্ট, তবে বাড়তি ডিসপ্লেগুলোর কারণে এগুলোর ওজন হবে একটু বেশি। এর আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে, এটি তৈরি করার জন্য নতুন কোনো প্রযুক্তি বা প্রকৌশলগত অগ্রগতির দরকার নেই। বর্তমান প্রযুক্তিতেই ইচ্ছে করলে আজকেই এটিকে তৈরি করা যাবে। ঠিক কবে এটি বাজারে আসবে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা না গেলেও এর জন্য খুব বেশিদিন যে অপেক্ষা করতে হবে না সেটা মনে হয় বিতর্কের ভয় না করেই বলা যায়।

 

 

প্রাইম কনসেপ্ট: তিন একে তিন

কাইল চেরির ডিজাইন করা প্রাইম কনসেপ্ট নোটবুকেরও প্রধান ফোকাস ডিসপ্লে তথা মনিটর, তবে ইন্টেল-এর ট্যানজেন্ট বে-তে যেখানে কিবোর্ডের ওপর তিনটি ছোট ছোট স্ক্রিন বসিয়ে দেয়া হয়েছে, সেখানে প্রাইম কনসেপ্ট-এ প্রধান স্ক্রিনের পাশাপাশি আরো দুটো বড় বড় স্ক্রিনকে বসিয়ে সব মিলিয়ে বিশাল একটি স্ক্রিনে কাজ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে ইউজারদের। উদ্দেশ্য হচ্ছে এটিকে আল্টিমেট গেমিং নোটবুক হিসেবে প্রদর্শন করা, বিশাল একটি পর্দায় জমকালো সব গেমের পুরো মজা যাতে গেমাররা পেতে পারেন। তবে বাড়তি স্ক্রিনগুলোকে সহজেই গুটিয়ে অন্য স্ক্রিনের সঙ্গে মিশিয়ে ফেলা যাবে যাতে এটি নিয়ে ভ্রমণ করা বা চলাফেরায় কোনো সমস্যা না হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল শহরের বাসিন্দা কাইল চেরি কোনো কোম্পানির চাকুরে

নন, স্বাধীনভাবেই তিনি ডিজাইনিং-এর কাজটি করেন। প্রাইম কনসেপ্ট সম্বন্ধে তিনি বলেন, ‘কাজের ওপর ভিত্তি করে ছোট থেকে বড় বা বড় থেকে ছোট করে ফেলা যাবে এমন একটা ডিসপ্লে ডিজাইন করতে চেয়েছিলাম আমি। প্রাইমে ঠিক সেটাই করতে পেরেছি।’ প্রাইম বর্তমানে এখনও ডিজাইন বোর্ডে তথা আইডিয়ার পর্যায়েই আছে। অ্যালুমিনিয়ামের ছয়টি পাত দিয়ে প্রাইমকে তৈরি করা হবে, এর মধ্যে তিনটি পাত দিয়ে হবে তিনটি ডিসপ্লে, একটি দিয়ে কিবোর্ড আর দুটো ব্যবহার করা হবে ইলেকট্রনিক্স পার্টগুলোকে ধারণ করার জন্য।

ব্যবহারকারী যদি বড় স্ক্রিনের মজা পেতে চান

তাহলে সবগুলো স্ক্রিনকে একসঙ্গে করে একটি ২২ ইঞ্চির স্ক্রিনে রূপান্তরিত করা যাবে। আবার চাইলে সাইড স্ক্রিনগুলোকে গুটিয়ে ১৫ ইঞ্চির একটি স্ক্রিনকে ব্যবহার করা যাবে। কাজ শেষ হলে পাতগুলোকে একটি আরেকটির মধ্যে ঢুকিয়ে একটি প্রথাগত ১৩ ইঞ্চির সিস্টেমে রূপ দেয়া যাবে। একাধিক স্ক্রিনের একটি সমস্যা অবশ্য আছে। স্ক্রিনগুলো যেখানে একটি আরেকটির সঙ্গে মিলবে সেখানে স্বভাবতই স্ক্রিনগুলোর কাঠামো একটি কালো লম্বা বিভাজনের সৃষ্টি করবে। এটার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া ছাড়া অবশ্য উপায় নেই। ট্যানজেন্ট বে-র মত প্রাইমকেও তৈরি করতে হলে বিশেষ কোনো প্রযুক্তিগত অগ্রগতির প্রয়োজন নেই, বর্তমান প্রযুক্তিতেই এটিকে তৈরি করা যাবে। চেরি মনে করেন অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহারের কারণে ল্যাপটপটির ওজন ৫ পাউন্ডের মধ্যেই থাকবে। এখন পর্যন্ত কোনো কোম্পানি প্রাইম ল্যাপটপ তৈরির জন্য এগিয়ে না এলেও অচিরেই আসবে বলে চেরি মনে করেন। তিন হাজার ডলারের মধ্যে দামেই এটিকে ব্যবহারকারীর হাতে তুলে দেয়া যাবে বলেও তাঁর বিশ্বাস।

কিবোর্ড যখন লুকিয়ে থাকে

কেমন হয়, কিবোর্ডকে যদি লুকি

য়ে রাখা যায় এবং কেবল প্রয়োজনের সময়ই বের করে আনা হয়? ফ্রিস্কেল সেমিকন্ডাক্টরের স্ক্যাড ডিজাইন চ্যালেঞ্জ কম্পিটিশনের অংশ হিসেবে সাভান্না কলেজ অব আর্ট অ্যান্ড ডিজাইন বিশেষ এই ল্যাপটপটির নকশা তৈরি করেছে। এই ল্যাপটপে থাকবে একজোড়া কিবোর্ড যেগুলো স্ক্রিনের নিচ থেকে বের করে আনা যাবে। দু হাতে ডিভাইসটি ধরে দু হাতের বুড়ো আঙ্গুল ব্যবহার করে ইমেইল, ব্লগ পোস্ট বা টুইটার লেখার কাজটি সারতে পারবেন ইউজাররা। ফোন এবং নোটবুক উভয়েরই ডিজাইনকে একত্র করে ব্যবহারকারীকে নতুন ধরনের এক ওয়েব অভিজ্ঞতা দেয়াই এই নোটবুকটির উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন ফ্রিস্কেল-এর কনজিউমার সেগমেন্ট মার্কেটিং-এর প্রধান স্টিভ স্পার্ল। ৭ ইঞ্চি আয়তনের একটি কেন্দ্রীয় স্ক্রিনবিশিষ্ট এই নোটবুকটি পরিপূর্ণ কোনো নোটবুকের বিকল্প নয়, তবে মাত্র আধ ইঞ্চি পুরুত্ববিশিষ্ট এই গ্যাজেটটির গুরুত্ব নিহিত আছে ভিন্ন জায়গায়: এটিকে নিয়ে স্বচ্ছন্দে যে কোনো জায়গায় যাওয়া যাবে। ডিজাইনাররা এটিকে তুলনা করছেন ছোট আকারের আইপ্যাডের সঙ্গে। স্পার্ল বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, এমন কিবোর্ড তৈরি করা যেটি আকারে ছোট হলেও কিবোর্ড চাপার পুরো অনুভূতিটাই দেবে ব্যবহারকারীদের।
¯øাাইডার: রাইডিং -এর মজা

 

দেখতে একটি বড় আকারের সেলফোনের মত এই স্লাইডার নোটবুকটি ডিজাইন করেছেন সিন বোভি। ৯ ইঞ্চি আকারের টাচস্ক্রিন এবং একটি মেকানিক্যাল কিবোর্ডবিশিষ্ট এই নোটবুকটি স্ক্রিনের নিচ থেকে স্লাইড করে বেরিয়ে আসে। ডিসপ্লেতে একটি কেন্দ্রীয় পিভট বা আবর্তনবিন্দু আছে যেটি কিবোর্ডের মাঝামাঝি লুকানো একটি ট্র্যাকের ওপর বসে থাকে। স্লাইডার সম্বন্ধে বলতে গিয়ে বোভি বলেন, ‘বলতে পারেন হতাশা থেকেই স্লাইডারের জন্ম। আমার মনে হচ্ছিল, আমরা এখনও কেন এমন একটি ছোট যন্ত্র তৈরি করতে পারছি না যেটিতে আমাদের প্রয়োজনীয় সবগুলো প্রোগ্রাম চালানোর মত যথেষ্ট শক্তি আছে? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে খুঁজতেই স্লাইডারের আইডিয়া মাথায় আসে আমার।’ স্লাইডারের খাঁজ কাটা কিবোর্ডের কল্যাণে এটির ওপর দিয়ে স্ক্রিনকে স্লাইড করিয়ে ট্যাবলেট স্টাইলের কম্পিউটারে রূপ দেয়া যায়। ছোট আকারের কারণে জ্যাকেটের পকেট বা ব্যাগের মধ্যে স্বচ্ছন্দে ঢুকিয়ে রাখা যাবে এটিকে, কিন্তু ছোট বলে এর ক্ষমতা যে কম তা নয়। কম্পিউটার দিয়ে করা যায় এমন প্রয়োজনীয় সব কাজই করতে পারবে এটি। ১.৫ গিগাহার্টজ গতির প্রসেসরসমৃদ্ধ ¯øাইডার দিয়ে ভিওআইপি কল করা ছাড়াও হাই ডেফিনিশন স্ট্রিমিং ভিডিও এবং ভিডিও চ্যাট করা যাবে। একবার চার্জ দেয়া হলে টানা চার থেকে ছয় ঘণ্টা কাজ করতে পারবে স্লাইডার।

রোলটপ: অন্য সময়ের ল্যাপটপ
রোলটপ আামদের ধারণা বা কল্পনার কোনো ল্যাপটপের মত নয়, একেবারেই অন্যরকম একটি ল্যাপটপ। ইভগেনি অরকিন-এর ডিজাইন করা এই ল্যাপটপটির সবচেয়ে বড় শক্তি এর নমনীয়তা। এটিকে গুটিয়ে বা ভাঁজ করে ইচ্ছেমত যে কোনো আকার দেয়া যায়। ব্যবহারকারী ভ্রমণের সময় রোলটপকে গুটিয়ে একটি সিলিন্ডারের আকৃতি দিতে পারেন। পেপারে টাওয়েলের আকারবিশিষ্ট গুটানো এই ল্যাপটপ যাতে খুলে না আসে সেজন্য ছোট্ট একটি ল্যাচের সাহায্যে এটিকে আটকে রাখা যায়। এরপর কাজ করার প্রয়োজন হলে ঠিক রোল করা এক টুকরো কাগজের মতই এটিকে আবার খুলে ফেলা যায়, বের হয়ে আসে ১৭ ইঞ্চি আকারের একটি টাচস্ক্রিন ট্যাবলেট, সঙ্গে লেখা বা ড্রয়িং করার জন্য আছে পপ-আউট স্টাইলাস।

 

রোলটপকে প্রথাগত নোটবুক যেমন, তেমনি বড় আকারের ট্যাবলেট পিসি হিসেবেও স্বচ্ছন্দে ব্যবহার করা যাবে। আবার সিস্টেমটির উপরের অংশটিকে ১১০ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে গুটিয়ে ১৩ ইঞ্চি স্ক্রিন এবং স্টান্ডার্ড সাইজের কিবোর্ড বিশিষ্ট একটি প্রথাগত ল্যাপটপেও রূপ দেয়া যাবে। এটির এভাবে গুটানো বা গুটানো থেকে অনায়াসে সোজা করে ফেলার রহস্য নিহিত আছে যেসব উপাদান দিয়ে এটিকে তৈরি করা হবে তার মধ্যে। এটিতে কাঁচের তৈরি কোনো অনমনীয় ডিসপ্লে যেমন নেই তেমনি নেই সলিড কোনো মাদারবোর্ড বা কেসিংও। এর নমনীয় প্লাস্টিক স্ক্রিনের পেছনে আছে অনেকগুলো সংকীর্ণ স্ল্যাট বা পাত। এসব স্ল্যাটের ফাঁকে ফাঁকে আছে সংকীর্ণ সার্কিট বোর্ড, যাতে সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স বসানো আছে। রোলটপকে গুটানো অবস্থা থেকে সোজা করা হলে পাশাপাশি স্ল্যাটগুলো একসঙ্গে মিশে একটি দৃঢ় সারফেসে রূপ নেয়। এটির পোর্ট, স্পিকার এবং পাওয়ার অ্যাডাপ্টার আছে একটি সিলিন্ডারের মধ্যে, ল্যাপটপটিকে গুটানো হলে এসব যন্ত্রাংশ সিলিন্ডারের মধ্যে ঢুকে যায়। তবে যতই আকর্ষণীয় বলে মনে হোক, এখনই এটিকে তৈরি করা খুব একটা সহজ নয়। কারণ এর জন্য যে অতি নমনীয় স্ক্রিনের কথা ভাবা হচ্ছে সেটি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান বা প্রযুক্তি এ মুহূর্তে নেই। তবে এটাও ঠিক, এ ভুবনটিতে প্রচুর গবেষণা ও নতুন নতুন উদ্ভাবন ঘটছে। অরকিন যেমনটা ভেবেছেন সেরকম অতি নমনীয় স্ক্রিন আবিষ্কার থেকে খুব একটা দূরে নই আমরা।

Click Here

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।