চট্টগ্রামের শিশু একাডেমির ‘শিশু বিকাশ কেন্দ্র’ অসহায় ও বঞ্চিত শিশুদের অনন্য ভরসার স্থল

সিনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ শিশু একাডেমি চট্টগ্রাম-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত”শিশু বিকাশ কেন্দ্র” হিলভিউ , নাসিরাবাদ-এ সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের সাথে অদ্য ১৯/০১/২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল উন্মুক্ত আলোচনা ও শেয়ারিং কার্যক্রম। উক্ত বিষয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশী বিশ্বপর্যটক কাজী আসমা আজমেরী। তিনি তার সুদীর্ঘ সময় ধরে ১৪২টি দেশে ভ্রমণ করে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন,তা বিস্তারিত ভাবে গল্প আকারে শিশুদের মাঝে সহজ সরল ভাবে তুলে ধরেন -যা শুনে অংশগ্রহণকারীগণ বিমুগ্ধ হয়েছেন এবং অনেকে প্রশ্ন করে অনেক অজানা বিষয় জেনে খুশি ও বিশ্ব ভ্রমণের জন্য অনুপ্রাণিত হয়েছেন। একপর্যায়ে আজমেরী উক্ত “শিশু বিকাশ” কেন্দ্রের শিশুদের কাছ থেকে ১০টি করে দেশের নাম জানতে উৎসাহিত করেন এবং শিশু কিশোরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়।

তারপূর্বে জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর আগ্রাবাদ চট্টগ্রামের উপপরিচালক কাম কীপার উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় বলেন, তোমরা যারা এখানে পড়াশোনা করছো তাদেরকে বলবো,”পৃথিবীতে তুমি যদি বরণীয় স্মরণীয় হতে চাও তাহলে অবশ্যই তোমার কিছু গুণ অর্জন করতে-ই হবে; আর তা হলো পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের জন্য ধৈর্য ধরে-
“হৃদয়ে ভালোবাসা তৈরি করা”!
আর সেটি শুরু করতে হবে ঘর থেকে; অর্থাৎ প্রতিদিন রুটিন করে মায়ের কপালে চুমু দিয়ে এবং বাবাকে সালাম/ আদাব ইত্যাদি সম্মান প্রদর্শন করে স্কুল-কলেজে ও অন্যান্য কাজে মনোনিবেশ করবে; তাহলে তোমার দ্বারা অনিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ০% পার্সেন্ট এবং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তুমি নিশ্চিত কৃতকার্য হবে, ইনশাল্লাহ। এক কথায় আমরা নিজেরা ভালোবাসায় সিক্ত থাকবো এবং অন্যকে ঋদ্ধ করবো; এটাই হবে অঙ্গীকার। এছাড়া তিনি শিশু একাডেমির “শিশু বিকাশ” কেন্দ্রের সকল ছাত্র শিক্ষকদের জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর পরিদর্শনের দাওয়াত দেন।

পরিশেষে উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি জনাব মোসলেহ উদ্দিন আনুষ্ঠানিকভাবে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং প্রধান অতিথি বাংলাদেশী বিশ্বপর্যটক
কুমিল্লার কাজী পরিবারের মেয়ে কাজী আসমা আজমেরীর ভূয়সি প্রশংসা করেন এবং এধরনের অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রদান করেন।

এছাড়াও তিনি বিশেষ অতিথির উদ্দেশ্যে বলেন ,এই জাতিতাত্ত্বিক জাদুঘর বিগত কয়েক বছর ধরে জনসাধারণের দৃষ্টিকোণ থেকে হারিয়ে যাচ্ছিলো; সেখানে জাদুঘরের উপ-পরিচালক কাম কীপার ড.মো.আতাউর রহমান তার মনন ও মেধা দিয়ে গত ছয় মাসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন এবং চট্টগ্রাম মহানগরের সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।আর আজকের প্রধান অতিথিকেও তিনি শিশু একাডেমিতে নিয়ে আসতে অগ্রহী ভূমিকা পালন করে আমাদের কে কৃতজ্ঞতা বন্ধনে আবদ্ধ করেছেন।

আর এই আয়োজনে যাঁকে নিয়ে এসেছেন , আবারো সেই বিশ্ব পর্যটক বাঙালি কন্যা কাজী আসমা আজমেরী, তাঁকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

 

পরিশেষে উক্ত আলোচনায় আজকের অনুষ্ঠানের সকল আলোচক ও উপস্থিত সুধীগণকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তিনি বলেন আজ যে সকল মূল্যবান আলোচনা করেন, তাঁদের সাথে একমত পোষণ করেন এবং সেই সাথে শিশু একাডেমিকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের শুধু নয় গোটা এশিয়ার অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে। তাতে একদিকে যেমন জ্ঞান ভিত্তিক জাতির বিকাশ ঘটবে অপরদিকে স্হানীয় শিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি; সেই সাথে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে -তাতে সরকারের SDG গোল পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন
বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।