গ্রামীণফোনের উদ্যোগে বন্ধু দিবস উদযাপন

সিনিউজ ডেস্ক:বন্ধু দিবস উদযাপনে সঙ্গীতশিল্পী তপু ও রাফা এবং স্বনামধন্য ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের একশো শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভার্চুয়ালভাবে কানেক্ট করে গ্রামীণফোন। ভিডিওতে অংশগ্রহণকারীরা জনপ্রিয় বাংলা গান বন্ধু একসাথে গেয়ে এই বৈশ্বিক মহামারিতে কাছের বন্ধুদের সাথে কানেক্টেড থাকতে পারার আনন্দ উদযাপন করেছেন।  

 

প্রায় দুই বছর যাবৎ কোভিড-১৯ আমাদের বেশিরভাগ সামাজিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করেছে, যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাই, করোনাভাইরাস ও এর প্রভাব মোকাবিলার গ্রামীণফোনের ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে চলমান বৈশ্বিক মহামারির সময় বন্ধুত্বের চেতনাকে উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে অংশগ্রহণমূলক এই ডিজিটাল আয়োজন করা হয়। বন্ধুত্বকে কেন্দ্র করে তৈরি বহুল প্রচলিত গান ‘বন্ধু’ পুনরায় কম্পোজ করা হয়।  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, রুয়েট, চুয়েট, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (এসইউএসটি), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)’র একশো শিক্ষার্থী একসাথে গানটি গায়। এই আয়োজনের পরিচালনায় ছিলেন বাংলাদেশের দুই স্বনামধন্য তরুণ আইকন- রাশেদ উদ্দিন আহমেদ তপু এবং রায়েফ আল হাসান রাফা।

 

এ নিয়ে গ্রামীণফোনের চিফ মার্কেটিং অফিসার সাজ্জাদ হাসিব বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কাটানো দিনগুলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে প্রাণবন্ত এবং স্মরণীয় সময়। আমরা সবসময় কানেক্টিভিটির মাধ্যমে মানুষের সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টা করি। তাই, একসাথে এই জনপ্রিয় গানটি গেয়ে তারুণ্যের আনন্দ উজ্জীবিত করার এই উদ্যোগটি ভার্চুয়ালভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা ভার্চুয়াল মাধ্যমে একসাথে আড্ডা দেয়ার মতো করে জনপ্রিয় গান ‘বন্ধু’ গেয়ে আবার ক্যাম্পাস জীবনে ফিরে যাওয়ার এবং সম্ভাবনার প্রত্যাশা তৈরি করতে চেয়েছি। আমরা আনন্দিত যে, শিক্ষার্থীরা এই বিষয়টির প্রশংসা করেছে এবং ইতিবাচক মনোভাবের সাথে অংশ নিয়েছে।”

 

দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় গায়ক এবং সঙ্গীত আয়োজক রাফাও এই আয়োজনের প্রশংসা করে বলেন, “এতো বিশাল সময় ধরে বাড়িতে থাকার ফলে অবসন্ন লাগতে পারে, যার ফলে মানসিক চাপ এবং বিষণ্নতা দেখা দিতে পারে। শিক্ষার্থীরা গতানুগতিকতার বাইরে এসে কিছু করার জন্য অত্যন্ত উৎফুল্ল ছিল, যা দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছে এবং এর অংশ হতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ। আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং বর্তমান তরুণ প্রজন্ম কতোটা প্রতিভাবান তা দেখেও আমার ভালো লেগেছে।”

 

গানের সুরকার ও গীতিকার তপু বলেন, “গ্রামীণফোন এমন উদ্ভাবনী আইডিয়া বের করে খুবই অসাধারণ একটি কাজ করেছে। গানটি গাওয়ার মাধ্যমে আমি আবার পুরনো দিনে ফিরে গিয়েছি এবং যখন আমি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে গানটি গাই তখন আমার আরও বেশি ভালো লাগে।” তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার পোস্টে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

 

এই সঙ্গীত আয়োজনটি ১ আগস্ট গ্রামীণফোনের ইউটিউব চ্যানেলে প্রিমিয়ার হয়। গানটি দেখতে – https://youtu.be/gUQanUAWA0U

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।