ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে

সিনিউজ ডেস্ক:বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস মহামারি আঘাত হানার পরে ডিজিটাল এক্সেসরিজ বা ডিভাইসের উপর আমাদের নির্ভরতা অনেক বেড়ে গেছে। অফিস বা বাসার বাহিরে কাজের পরিমাণ কমে যাওয়ায় আমাদের মধ্যে অধিকাংশই এখন বাসায় থেকে ডিভাইস নির্ভর অনেক বেশি কাজ করছি। শুধু তাই নয়, এক বছর আগে বা তারও আগের সময় থেকে আমাদের হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিতে বেশি সময় দিচ্ছি। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও এখন করোনা মহামারির নতুন বিপজ্জনক ঢেউয়ের মোকাবেলা করছে এবং চলমান লকডাউন আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা টের পাচ্ছি। আপনার হাতে একটি নতুন স্টাইলিশ এবং বাজেটবান্ধব স্মার্টফোন থাকলে আপনি আরও স্মার্টভাবে প্রিয়জনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন। এসব বিবেচনায় সাশ্রয়ী মূল্য, ফিচার ও স্পেসিফিকেশনের জন্য আপনার সেরা সঙ্গী হতে পারে ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে। আসুন তবে, কঠিন এ সময়ে আপনার সেরা সহচর হিসেবে অবাক করে দিতে বাজারে আসা ইনফিনিক্সের হট ১০ প্লে-এর অত্যাধুনিক ফিচারগুলো সম্পর্কে জেনে নেই। 
 
ব্যাটারি 
আপনি যদি স্মার্টফোনের ব্যাটারি নিয়ে চিন্তিত হয়ে থাকেন তবে আপনার জন্যই ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে আপনার জন্য। ইনফিনিক্সের হট সিরিজের ব্যানারে এখনও অবধি বাজারে থাকা অন্য ফোনগুলোর মধ্যে নতুন ফোনটিকে সেরা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। পাওয়ার ম্যারাথন টেকনোলজিসহ ৬০০০ এমএএইচের ব্যাটারি যুক্ত করা হয়েছে যা টানা ৫ দিন ব্যবহার করা যাবে। ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে’র বিশাল ব্যাটারি একবার চার্জ করে নিলে ৫৬ দিনের স্ট্যান্ডবাই সুবিধা পাওয়া যাবে। যা দিয়ে একনাগারে ১৫৫ ঘণ্টা গান শোনা, ৫৩ ঘণ্টা কথা বলা, ১৪ ঘণ্টা গেম খেলা, ১৭ ঘণ্টা ইন্টারনেট এবং ১৬ ঘণ্টা ফেসবুকে ব্রাউজ করা যাবে। এমনকি ফোনটি ব্যবহার করতে গিয়ে ব্যাটারি সক্ষমতার ৫% এ পৌঁছে গেলে এতে থাকা আল্ট্রা পাওয়ার মোড অন করে অতিরিক্ত ১৯ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফের সুবিধা পাওয়া যাবে। এককথায় বলা যায়, দাম পরিসীমার মধ্যে ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে বাজারের সেরা বিনোদনবান্ধব স্মার্টফোন। এসব আকর্ষণীয় ফিচার ছাড়াও ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে ফোনটিতে ফেস আনলক ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিরাপত্তা সুবিধা রয়েছে যা খুব সহজে ও চোখের পলকে আনলক করা যাবে। আইসল্যান্ডের গ্রিন অরোরার অনুপ্রেরণা নিয়ে ভিজ্যুয়াল ইন্টারফেস এবং স্মার্ট ইন্টারঅ্যাকশনসহ ফোনটিতে এক্সওএস ৭ এর সঙ্গে অ্যান্ড্রয়েড ১০ (গো এডিশন) ব্যবহার করা হয়েছে। এতে থাকা কানেক্টিভিটি ফিচারের মধ্যে রয়েছে ৪জি ভিওএলটিই, ডুয়েল-ব্যান্ড ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ ৫, জিপিএস এবং মাইক্রো-ইউএসবি পোর্ট সুবিধা। 
 
পারফরম্যান্স এবং সফটওয়্যার
তরুণ গেমারদের প্রত্যাশা পূরণে এরইমধ্যে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে। গেমিংয়ের জন্য শক্তিশালী প্রসেসর প্রয়োজন হয় বলে হট ১০ প্লে-তে মিডিয়াটেক হেলিও জি৩৫ অক্টা-কোর প্রসেসর ব্যবহৃত হয়েছে। যা ব্যবহারকারীদের আরো নিরবিচ্ছিন্ন ভিডিও প্লে এবং গেমিংয়ের অভিজ্ঞতা দিবে। ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন এবং পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে হট সিরিজের স্মার্টফোনগুলো নিয়ে আসছে ইনফিনিক্স। বাজেটবান্ধব এবং বাজারে সাড়া জাগানো ইনফিনিক্স হট ১০ দেশের তরুণ প্রজন্মের বিশেষত গেমারদের সেরা পছন্দের তালিকায় স্থান করে নেবে। সিগনেচার বাজেট-সেগমেন্ট স্মার্টফোন হিসেবে, ৪ গিগাবাইট র্যাম + ৬৪ জিবি রমের বিশাল মেমোরির কারণে ফোনটিতে ব্যবহারকারীরা আরও বেশি সিনেমা স্টোর করতে পারবেন, স্মুথ গেমিং এবং মুভি দেখা এবং গান শোনার অসাধারণ অভিজ্ঞতা পাবেন। আপনি যদি মাল্টি-টাস্কার হন তবে আপনার কঠিন সব কাজ করতে নিঃসন্দেহে এই ডিভাইসটির উপর নির্ভর করতে পারেন।
 
ক্যামেরা 
ক্যামেরার বিষয়ে বলতে গেলে প্রথমে ফোনটিতে থাকা ডেপথ সেন্সর ও এলইডি ফ্ল্যাশসহ সুবিধাসহ ১৩ মেগাপিক্সেল এআই ডুয়েল রিয়ার ক্যামেরা কথা বলতে হয়। এছাড়া সেলফি তোলার জন্য এতে ৮ এমপির এআই ফ্রন্ট শ্যুটার ক্যামেরা আছে। সামনে ও পেছনে থাকা উভয় ক্যামেরা দিয়েই আপনি অত্যন্ত সুন্দর এবং মনোরম রঙের এক্সপোজারসহ স্বচ্ছ ও সুন্দর ছবি তোলতে পারবেন। ভিডিও রেকর্ডিংয়ে আপনি ১০৮০ পিক্সেল রেজ্যিলুশন পাবেন। ফোনটির প্রাইমারি ক্যামেরাতে ডিজিটাল জুম, অটো ফ্ল্যাশ, ফেস ডিটেকশন, টাচ টু ফোকাস ফিচার আছে। অন্যদিকে, আপনি ফ্রন্ট ক্যামেরা বা সেলফি ক্যামেরা যা দিয়েই ছবি তোলেন না কেন এতে থাকা এআইয়ের বর্ধিত পোট্রেট সুবিধার কারণে আরো বেশি বাস্তবিক ও দৃষ্টিনন্দন পোট্রেট তোলা যাবে। 
 
ডিসপ্লে ও ডিজাইন
ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে-তে ৬.৮২ ইঞ্চির বড় স্ক্রিন আছে। যাতে ব্যবহারকারীরা সিনেমাটিক ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা পাবেন। বিখ্যাত ওয়াটারড্রপ ডিজাইনের ফোনটির সামনের উপরের অংশের মাঝামাঝিতে একটি খাঁজে ফ্রন্ট ক্যামেরাটি বসানো হয়েছে। ইনফিনিক্স হট ১০ প্লে স্মার্টফোনটি এজিয়ান ব্লু, মোরান্ডি গ্রিন, ওবসিডিয়ান ব্ল্যাক এবং ৭ ডিগ্রী পার্পল- এ চারটি রঙে গ্লাসের টেক্সচারযুক্ত ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাবে। এতে ব্যবহৃত বেজেলগুলো অপরিবর্তিত রাখা হলেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি ফোনের পিছনেই রয়েছে। যার ফলে ব্যবহারকারীদের এক হাতেই দুর্দান্তভাবে ফোনটি চালাতে পারবেন।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।