সিনিউজ ডেস্ক: দেশব্যাপী ইকিউ চার্জিং স্টেশন স্থাপনে র্যানকন মোটরস (মার্সিডিজ বেঞ্জ পরিবেশক) ও জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। মার্সিডিজ-বেঞ্জ ঢাকা চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে ৫টি ভিন্ন মডেলের ইকিউ লাইনআপ চালু করার পরিকল্পনা করছে। নিরবচ্ছিন্ন সেবা এবং গ্রাহকদের সহজলভ্য ও সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিতের লক্ষ্যে জেনেক্স এবং র্যানকন ইকিউ যান চালুর আগে দেশব্যাপী চার্জিং স্টেশন স্থাপন করবে। প্রাথমিকভাবে, ঢাকায় ৭টি এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৪টি ইকিউ চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা হবে।
সম্প্রতি তেজগাঁও শিল্প এলাকার র্যাংগস ব্যাবিলোনিয়া টাওয়ারের মার্সিডিজ-বেঞ্জ শোরুমে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যানকন মোটরসের প্রতিনিধি হিসেবে জনাব ইমরান জামান খান, বিভাগীয় পরিচালক; রেদওয়ানুল জিয়া, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা; চৌধুরী মো. নাবিল হাসান, হেড অব মার্কেটিং এবং জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের পক্ষে জনাব সৈয়দ শফিকুল হাসান, সিওও; মাহমুদুল হাসান লরেন্স, উপ-মহাব্যবস্থাপক (অর্থ); পল্লব কুমার পাল, সিনিয়র ম্যানেজার (সল্যুশন এবং গবেষণা ও উন্নয়ন) ও গালিব মোহাম্মদ করিম, সহকারী ব্যবস্থাপক বিজনেস এনগেজমেন্ট; অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দেশে স্বাভাবিক সড়কপথ ৩০০ কিলোমিটারের বেশি নয়। তাই বাংলাদেশ ইভি বা বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইলেকট্রিক ভেহিকেল) জন্য একটি আদর্শ দেশ। মার্সিডিজের সকল ইকিউ লাইনআপ বিজ্ঞাপনের পরিসীমা ৪৫০ থেকে ৬৫০ কিলোমিটারের বেশি। এ জন্য, মার্সিডিজ-বেঞ্জ এবং জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড দেশব্যাপী প্রিমিয়াম হোটেল, পর্যটন গন্তব্য, হাইওয়ে রেস্তোরাঁ, শপিং মল এবং গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকাগুলোতে মোট ২১টি ইকিউ চার্জিং স্টেশন স্থাপন করবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে র্যানকন মোটরস তাদের পরিবেশগত দায়বদ্ধতা সুচারুরূপে পালন করে দেশের বিচক্ষণ গ্রাহকদের কাছে আধুনিক বৈদ্যুতিক গতিশীলতা নিয়ে আসছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টেকসই পরিবহন ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক যানবাহনকে ব্যাপকভাবে প্রতিশ্রুতিশীল প্রযুক্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। পাশাপাশি কম আমদানি শুল্ক এবং কম জ্বালানি খরচের জন্য গ্রাহকদেরও বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রতি আগ্রহ তৈরি করছে।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সূত্রে জানা গেছে, সারা দেশে চার্জিং স্টেশনের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য একটি কাঠামো প্রদানের জন্য “ইলেকট্রিক ভেহিকেল চার্জিং গাইডলাইন” প্রস্তুত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারও ভবিষ্যতের স্বয়ংচালিত রূপান্তরের জন্য একে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। ফলে র্যানকন মোটরস লিমিটেডের এই উদ্যোগ সরকারের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে র্যানকন মোটরস লিমিটেডের ডিভিশনাল ডিরেক্টর ইমরান জামান খান বলেন, “আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে কাজ করছি। আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির অনুপ্রবেশ বাড়ানোর লক্ষ্যে কাজ করা এবং চার্জিং স্টেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য নির্বিঘ্ন এবং সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করা।”
জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মাহমুদুল হাসান লরেন্স বলেন, “মানুষ যত বেশি বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার করা শুরু করবে, চার্জিং স্টেশনের চাহিদা বাড়বে। আমাদের দক্ষ এবং নিবেদিত ইপিসি দল নির্বিঘ্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিতের লক্ষে প্রকল্পটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুত।”