সিনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে থাকা আখ চাষিরা এখন সময়মতো নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টেই আখের মূল্য পেয়ে যাচ্ছেন। ঘরে বসেই সঠিক সময়ে স্বচ্ছতার সাথে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট পাওয়ার সুবিধা কৃষকদের মধ্যে আখ চাষের আগ্রহ আরও বাড়িয়েছে, যার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আখ সংগ্রহে। এবছর আরও ১৫ হাজার কৃষক সহ এপর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি কৃষক এই সুবিধা গ্রহণ করছেন। বিকাশ-এ পেমেন্ট গ্রহণের সুবিধা সার্বিক আখ সংগ্রহ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করেছে এবং চিনিকলগুলোর লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করেছে।
সময়মতো আখ বিক্রির টাকা না পাওয়া সহ নানা ঝামেলার কারণে আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছিলেন কৃষকরা। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাষিদের আখ বিক্রয়ের পেমেন্ট সরাসরি তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে বিকাশ। এতে কৃষকরা এক দিকে যেমন সময়মতো আখের ন্যায্য মূল্য পেয়েছেন তেমনি সময় সাশ্রয় হওয়ায় আখ চাষের পাশাপাশি তারা সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনেও মনোনিবেশ করতে পেরেছেন। চিনিকল কর্তৃপক্ষের মতেও বিকাশ-এর মাধ্যমে দ্রুত পেমেন্ট পাওয়া এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা আখ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়িয়েছে। ফলস্বরূপ, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আখ চাষিদের বিকাশ-এর মাধ্যমে গত বছরের তুলনায় আরও ২৬% বেশি পেমেন্ট করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে থাকা চাষিদের কাছ থেকে আখ সংগ্রহের পর তাদের পেমেন্ট দ্রুত পৌঁছে যায় বিকাশ-এ। ফলে, চাষিরা উৎপাদিত আখের যথাযথ মূল্য পেয়ে যান তাদের হাতের মুঠোয় থাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে এবং কোনো চার্জ ছাড়াই তা ক্যাশ আউট করেছেন নিকটস্থ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে। পাশাপাশি, কৃষকদের ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণ ও ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের আয়োজনও করে বিকাশ। এতে সার্বিক আখ সংগ্রহ এবং তার মূল্য পরিশোধে দ্রুততা, স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং চাষিদের সঙ্গে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সম্পর্ক আরও সুদূঢ় হয়।