কৃষি ব্যাংকের গ্রাহকরাও ‘অ্যাড মানি’ করতে পারবেন বিকাশ-এ

সিনিউজ ডেস্ক: এখন থেকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের (বিকেবি) গ্রাহকরাও যেকোনো সময়ে যেকোনো স্থান থেকে ‘অ্যাড মানি’ সেবা ব্যবহার করে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন। কৃষি ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গ্রাহকরা কোনো চার্জ ছাড়াই এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এ নিয়ে দেশের ৪৫টি শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ভিসা ও মাস্টারকার্ড থেকে নিমেষেই টাকা এনে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বিস্তৃত ‘ব্যাংক-বিকাশ নেটওয়ার্ক’ তৈরি করেছে বিকাশ।

 

খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন ও দারিদ্র্য দূরীকরণের লক্ষ্য নিয়ে দেশের মানুষ, বিশেষ করে কৃষি খাতের সাথে যুক্ত জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছে দেশের বৃহত্তম বিশেষায়িত ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। সেই প্রচেষ্টারই অংশ হিসেবে কোনো চার্জ ছাড়াই কৃষি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ-এ টাকা আনতে পারা ও খরচ করার সুবিধা গ্রাহকদের মূল্যবান কর্মঘণ্টা বাঁচাবে।

 

বিকাশে টাকা আনতে প্রথমে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ওয়েব পোর্টাল (https://ib.krishibank.org.bd) ব্যবহার করে নিজের অথবা প্রিয়জনের বিকাশ অ্যাকাউন্ট বেনিফিশিয়ারি হিসেবে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে যুক্ত করতে হবে। এরপর ‘ট্রান্সফার’ মেন্যু থেকে কয়েকটি সহজ ধাপ অনুসরণ করে বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো যাবে।

 

অন্যদিকে বিকাশ অ্যাপের ‘অ্যাড মানি’ আইকনে ক্লিক করে ‘ব্যাংক টু বিকাশ’ অপশন হতে ‘ইন্টারনেট ব্যাংকিং’ সেকশনে থাকা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের লোগোতে ট্যাপ করে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ঢুকতে হবে। এরপর টাকার পরিমাণ উল্ল্যেখ করে এবং ওটিপি দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন করতে হবে।

 

লেনদেন সম্পন্ন হলে গ্রাহক রেজিস্টার্ড মোবাইল নাম্বারে এসএমএস নোটিফিকেশন পাবেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে বিকাশে ‘অ্যাড মানি’র ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত লিমিট প্রযোজ্য হবে। গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা এনে সেন্ড মানি, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, কেনাকাটার পেমেন্ট, মোবাইল রিচার্জ, স্কুল কলেজের বেতন পরিশোধ, ই-টিকেটিং, সরকারি ফি প্রদান, অনুদান পাঠানো, বীমা-র প্রিমিয়াম পরিশোধ, সেভিংস সহ দৈনন্দিন প্রায় সমস্ত আর্থিক লেনদেন করতে পারছেন ক্যাশলেস পদ্ধতিতে।

 

‘অ্যাড মানি’ এবং বেশ কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে ‘বিকাশ টু ব্যাংক’ সেবার ফলে ব্যাংকের সাথে গ্রাহকদের লেনদেন আরো স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়েছে। ব্যাংকিং সময়সীমার মধ্যে নির্ধারিত শাখায় গিয়ে লেনদেনের বাধ্যবাধকতা এড়িয়ে গ্রাহকরা প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো স্থান থেকে যেকোনো সময় বিকাশে টাকা আনতে পারছেন, আবার দরকার হলে বিকাশ থেকে ব্যাংকেও টাকা জমা করতে পারছেন যা তাদের দৈনন্দিন লেনদেনে দিয়েছে আরো স্বাধীনতা ও সক্ষমতা।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।