কৃষি গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনে পাঁচ সদস্যের জুরি প্যানেল আহ্বান করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড

সিনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা এবং বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর সম্পৃক্ততায় উদ্ভাবনী শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঁচ সদস্যের একটি জুরি প্যানেল গঠন করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশ। কৃষি খাতে বিভিন্ন গবেষণাদির প্রস্তাব যাতে বিশেষজ্ঞদের ন্যায্য, নিরপেক্ষ এবং কঠোর মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় তা নিশ্চিত করবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ্য ও দক্ষ বিশেষজ্ঞ নিয়ে এই জুরি প্যানেলটি গঠন করা হয়েছে। প্রার্থীদের জমা দেওয়া প্রতিটি গবেষণাপত্রকে জুরি বোর্ডের সকল সদস্য বিচক্ষণতার সাথে মূল্যায়ন করে গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া প্রদান করবেন এবং সবচেয়ে কার্যকরী গবেষণাগুলো নির্বাচন করবেন।

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক একেএম নওসাদ আলম, পিএইচডি-এর নেতৃত্বে জুরি প্যানেলটি গঠন করা হয়েছে। অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ রোস্তম আলী, পিএইচডি; জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাশুরা শাম্মী, পিএইচডি; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়রে কৃষি অনুষদের অন্তর্গত কৃষিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মির্জা হাসানুজ্জামান, পিএইচডি; এবং ফ্যাকাল্টি অব অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন (এফএএসভিএম)-এর ডিন অধ্যাপক কেবিএম সাইফুল ইসলাম, পিএইচডি। গবেষণা প্রস্তাব দাখিল করার তারিখ শীঘ্রই প্রকাশ করা হবে।

 

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং হেড অফ ক্লায়েন্ট কভারেজ, কর্পোরেট, কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং, এনামুল হক বলেন, “আমাদের হেয়ার ফর গুড প্রতিশ্রুতির সাথে আমরা স্বীকার করি যে কার্যকরভাবে সম্পদ সংগ্রহ এবং কৃষি গবেষণা বাস্তবায়নের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে বিশেষজ্ঞদের জ্ঞান ও দক্ষতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমি আশা করি আমাদের এই পাঁচ-সদস্যের জুরি প্যানেল কৃষি খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কার্যকরী গবেষণাগুলোর যথাযোগ্য মূল্যায়নে ভূমিকা রাখবেন। এই উদ্যোগে আমাদের সকল জুরি সদস্যের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে আমরা তাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”

 

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক একেএম নওসাদ আলম, পিএইচডি বলেন, “কৃষি বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় কঠোর যাচাই বাছাই করে মানসম্মত ও গঠনমূলক গবেষণায় অর্থায়নের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড তার কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার দিকে আরও একধাপ এগিয়েছে। আমি আশা করছি পরম নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে আমাদের জুরি বোর্ড এই ধরণের উদ্ভাবনীমূলক কর্মকান্ডের অংশীদার হবে।”

 

বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার হিসেবে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিস্থাপকতার জন্য দীর্ঘ ১১৯ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছে। দেশের কৃষিখাতের অগ্রগতি নিশ্চিতে ব্যাংক দৃঢ়তার সাথে কাজ করে আসছে। এক শতাব্দীরও বেশি সময় যাবত স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে বিনিয়োগ, পরিষেবা সম্প্রসারণ, স্টেকহোল্ডারদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নানা উদ্যোগে উত্সাহ প্রদান করে আসছে, যা সবই বাংলাদেশের কৃষি ল্যান্ডস্কেপের টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির উদাহরণস্বরূপ।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।