সিনিউজ ডেস্ক: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ২৪ সদস্যের শিক্ষার্থীর দলের ১৪ দিনব্যাপী ‘সুইনবার্নের স্টাডি ট্যুর ২০২৪: বাংলাদেশে ডিজিটাল এবং মোবাইল স্টোরিটেলিং ফেস্টিভ্যাল’ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট লাউঞ্জে একটি জমকালো উদযাপনের মধ্য দিয়ে গতকাল (১৪ জুলাই) শেষ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকারের নিউ কলম্বো প্ল্যানের সহায়তায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিভাগ যৌথভাবে এ স্টাডি টুরের আয়োজন করে। শিক্ষার্থী দলের নেতৃত্বে দেন সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ফিল্ম, গেমস এবং অ্যানিমেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুসান কেরিগান এবং সহযোগী অধ্যাপক ম্যাক্স শ্লেসের। প্রতিনিধি দল ১-১৪ জুলাই পর্যন্ত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে অবস্থান করে।
এসময় তারা মোবাইল জার্নালিজম, ফিল্ম মেকিং এবং স্ক্রিপ্ট রাইটিং এর কর্মশালার মাধ্যমে তারা নিজেদেরকে নতুন দক্ষতায় সজ্জিত করেছে, যেখানে শিল্প পরিদর্শন বাংলাদেশের মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপ সম্পর্কে মূল্যবান ধারনা অর্জন করে। শিল্প পরিদর্শনের অংশ হিসেবে সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা প্রথম আলো অফিস, চড়কি সদর দপ্তর এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ঘুরে দেখেছে। তারা তথ্যচিত্রের শুটিং, স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার এবং তাদের ফুটেজ সম্পাদনা করতে ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন স্থানও পদির্শন করে।
দুই সপ্তাহের স্টাডি ট্যুরটি ‘প্রজেক্ট সেলিব্রেশন অ্যান্ড বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া কালচারাল নাইট’-এর মাধ্যমে শেষ হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, প্রকল্প উপস্থাপনা এবং সঙ্গীত, নৃত্য এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের একটি দুর্দান্ত মিশ্রণের মাধ্যমে তাদের প্রকল্পগুলি উপস্থাপন করে, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া উভয় দেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি উপভোগ করে। । সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির ছাত্র ন্যানক্যারো জানান, ‘এটি একসাথে একটি দুর্দান্ত ভ্রমণ ছিল। আমরা একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছি, অনেক ঐতিহাসিক স্থান পরিদর্শন করেছি এবং আমাদের সংস্কৃতি শেয়ার করেছি। এ স্টাডি ট্যুরটি সত্যিই আকর্ষণীয় হয়েছে এবং দীর্ঘ দিন স্মরণে থাকবে।’ সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির ফিল্ম, গেমস এবং অ্যানিমেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ম্যাক্স শ্লেসার বলেন, ‘এই প্রোগ্রামটি রূপান্তরমূলক হয়েছে’। “ছাত্ররা দক্ষতা অর্জন করেছে, বন্ধুত্ব তৈরি করেছে এবং উভয় দেশের সংস্কৃতির গভীর উপলব্ধি অর্জন করেছে।” অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ও আয়োজকদের মাঝে প্রশংসার সনদ প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহাবুব- উল হক মজুমদার। তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ আমরা আশা করি এই ধরনের সফর আগামীতে আবারও ঘটবে।