সিনিউজ ডেস্ক: দেশের সরকারি-বেসরকারি খাত ও অ্যাকাডেমিয়ার জন্য সমন্বিত মডেল তৈরি করবে নেদারল্যান্ডসের আইন্ডহোভেন ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্ট অফিস (ইআইপিও) এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। রবিবার বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ এর সাথে ইআইপিও প্রতিনিধিদলের এক বৈঠকে এই তথ্য জানানো হয়।
বেসিস কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে ইআইপিও পরিচালক জুস্ট হেলমস ব্রেইনপোর্ট আইন্ডহোভেন অঞ্চল এবং ট্রিপল হেলিক্সের মধ্যে সহযোগিতা মডেলের সফল রূপান্তরের জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতাকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে ধারণা দেন। তিনি বলেন, ডাচ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি হচ্ছে এবং ব্রেইনপোর্ট আইন্ডহোভেন নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চল যা ২০০৫ থেকে ২০১৫ সময়কালে জাতীয় প্রবৃদ্ধির চেয়ে সাত গুণ দ্রুত প্রবৃদ্ধি পেয়েছে। এই অঞ্চলটি ১০ বছরে ১১ হাজারের অধিক চাকরির সুযোগ তৈরি করেছে, যেখানে আরও দক্ষ জনবলের প্রয়োজন রয়েছে।
বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ প্রতি বছর অসংখ্য আইটি গ্র্যাজুয়েট তৈরি করে এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় শিল্পকে সম্পৃক্ত করার এটাই সময়। আমরা অ্যাকাডেমিয়ার জন্য সমন্বিত মডেল ব্রেইনপোর্ট আইন্ডহোভেন অঞ্চলের মডেলকে অনুসরণ করে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি কৌশল তৈরি করতে পারি। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশি স্থানীয় কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে তাদের প্রচার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বেসিস সভাপতি বলেন, বেসিস সাতটি স্তম্ভের উপর গুরুত্ব দিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এগুলো হলো- ভবিষ্যৎ উপযোগী মানবসম্পদ তৈরি, স্থানীয় শিল্পের বিকাশ, বিদেশি বাজার সম্প্রসারণ, পুঁজি ও আর্থিক প্রণোদনা সুবিধা বৃদ্ধি, স্টার্টআপের জন্য একটি সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেম তৈরি করা, মেধাস্বত্ব বিকাশে সহায়ক নীতিমালা প্রণয়ন ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রচার।
উভয় পক্ষই শিল্পের প্রচার, বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশনের ব্যবস্থা এবং অদূর ভবিষ্যতে বিনিয়োগ কার্যক্রম নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়, যা উভয় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। প্রতিনিধি দলটি পরবর্তী বেসিস সফটএক্সপোতে অংশগ্রহণ করার আগ্রহও দেখান।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইআইপিও পরিচালক পিটার পোর্টহেইন, কিংডম অব নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি এ.বি. বাস ব্লাউ, জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা (অর্থনৈতিক ও সিএসআর কার্যক্রম) মাহজাবীন কাদের, অ্যামফিনিটি কনসাল্টিংয়ের পরিচালক এ এন এ মুশাব্বির।