সিনিউজ ডেস্ক: দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ট্র্যান্সজেন্ডারদের ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষে কার্যক্রম গ্রহণ করবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। সমাজে বৈষম্য রোধ করতে দেশের নারী-পুরুষের পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের নিয়ে আসা প্রয়োজন। ট্রান্সজেন্ডার বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২২-এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডার মানুষ সমাজের অর্থাৎ দেশের একটি অংশ। তাই তাদের বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করা যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি ট্রান্সজেন্ডার-বান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি ও সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমাজের ট্র্যান্সজেন্ডারদের ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করছে বিসিসি কর্তৃপক্ষ। এরই আলোকে অভিজ্ঞ এনজিও প্রতিষ্ঠান বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ঢাকা এর সাথে বিসিসি কর্তৃক ট্র্যান্সজেন্ডারদের কল্যাণে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
গত ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ সোমবার রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি’র সভা কক্ষে আয়োজিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক (গ্র্রেড-১) রণজিৎ কুমার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ-সহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ট্র্যান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠিকে তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা উন্নয়নের এবং বিভিন্ন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করতে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানগণ একমত পোষণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রণজিৎ কুমার একটি দেশ ও সমাজের জন্য ট্রান্সজেন্ডারদের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’ সবাইকে নিয়ে একসাথে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বির্নিমাণের মধ্য দিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের দিকে বিসিসি কর্তৃক গৃহীত এই কার্যক্রমটি সহায়ক ভুমিকা রাখবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিসিসি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) জনাব আবু সাঈদ, বিসিসি’র সচিব জনাব মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এবং অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।