সিনিউজ ডেস্ক: দেশের শীর্ষস্থানীয় পেইন্ট সল্যুশন প্রতিষ্ঠান বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিপিবিএল) নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন দেশের জনপ্রিয় ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া। মিডফিল্ডে লাল-সবুজে সগৌরবে বাংলাদেশকে তুলে ধরা এই আইকনিক ফুটবলার সম্প্রতি বার্জারের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হন। চুক্তি অনুযায়ী, খ্যাতিমান এ ফুটবলার বার্জার পেইন্টসের বিভিন্ন ক্যাম্পেইন, এনগেজমেন্ট সেশন ও অন্যান্য প্রচারণামূলক কার্যক্রমে অংশ নিবেন। আজ গুলশানে অবস্থিত বার্জার এক্সপেরিয়েন্স জোনে একটি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বার্জারের মার্কেটিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম সাদেক নাওয়াজ; ব্র্যান্ডস হেড সেঁজুতি সালেক সেতু; মার্কেটিং বিভাগের ক্যাটাগরি ম্যানেজার সাইদ শরীফ রাসেল; প্রোডাক্ট অফিসার আমরিনা রোশনি; প্রোডাক্ট অফিসার সাদমান হুসেইন; ইউনিট্রেন্ড লিমিটেড ও ঢাকা টকিজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া।
সম্পূর্ণ নতুন একটি ক্ষেত্রে নিজেকে যুক্ত করার ব্যাপারে জামাল ভূঁইয়া বলেন, “আমি নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। আমি মনে করি নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসার এবং বিকাশের এটিই একমাত্র উপায়।” তিনি আরও বলেন, “ফুটবলে শারীরিক ও মানসিক দক্ষতার ভারসাম্যের প্রয়োজন হয়। শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে দায়িত্ব পালনের বিষয়টিও ঠিক একই রকম। উভয়ক্ষেত্রেই মানুষ সবসময় আপনার মাঝে উদাহরণ খুঁজবে। আমি এই নতুন ক্ষেত্রে কাজ করতে অত্যন্ত উৎসাহী এবং এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বার্জারের ব্যবসায়িক প্রসারে অবদান রাখতে পারবো বলে আশা করছি।”
বার্জারের মার্কেটিং বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম সাদেক নাওয়াজ বলেন, “জামাল ভূইয়ার মতো একজন সেরা মানের খেলোয়াড় আমাদের জাতীয় সম্পদ।” তিনি আরও বলেন, “জামাল ভূঁইয়াকে নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত করতে পেরে বার্জার গর্বিত। আমরা আশা করি যে, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাদের প্রাণপ্রিয় গ্রাহক, ভক্ত এবং অংশীজনদের জন্য আরও বড় এবং ভালো কিছু বয়ে আনবে।”
৩১ বছর বয়সী জামাল ভূঁইয়া এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক এবং লিগ ফুটবলপ্রেমীদের তার দুর্দান্ত পারফর্মেন্স দিয়ে মুগ্ধ করে যাচ্ছেন। এর আগে জয়া আহসান, শাকিব খান এবং নুসরাত ফারিয়ার মতো জনপ্রিয় তারকাদের বার্জার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিযুক্ত করেছে, এবং সর্বশেষ এই চুক্তি, বার্জারের সামগ্রিক বিপণন এবং যোগাযোগ কার্যক্রমে আশাব্যঞ্জক বৈচিত্র্য নিয়ে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।