সিনিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাক্সেস সার্ভিস ‘জিপিফাই আনলিমিটেড’ আনল স্মার্ট কানেক্টিভিটি প্রদানকারী কোম্পানি গ্রামীণফোন। দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রযাত্রায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক। একীভূত লাইসেন্সের নীতিমালা মেনে আবাসিক ও ব্যবসা ক্ষেত্রে ফিক্সড ওয়ারলেস অ্যাক্সেস (এফডব্লিউএ) প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্ভরযোগ্য ও উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করবে উদ্ভাবনী এই প্রযুক্তি।
আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত জিপিফাই’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান, চিফ মার্কেটিং অফিসার মো. সাজ্জাদ হাসিব, হেড অব নেটওয়ার্ক সার্ভিসেস আবুল কাশেম মহিউদ্দিন আল-আমিন, হেড অফ অ্যাডজাসেন্ট নেটওয়ার্ক বিজনেস ইনোভেশন মইনুল মোমেন এবং কোম্পানিটির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
‘জিপিফাই আনলিমিটেড’ গ্রামীণফোনের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ। এর লক্ষ্য দেশের ডিজিটাল বিভাজন কমানো এবং ব্যবহারকারীদের অনলাইন অভিজ্ঞতা আরো উন্নত করা। উদ্ভাবনী এই প্রযুক্তি গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য, দ্রুত ও সাশ্রয়ী মূল্যের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে। এর মাধ্যমে দেশের যে কোন স্থানের গ্রাহকরা নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ উপভোগ করতে পারবেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তার বক্তব্যে দেশের প্রথম ওয়্যারলেস ওয়াই-ফাই সল্যুশন ‘জিপিফাই আনলিমিটেড’- এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন,” ‘জিপিফাই আনলিমিটেড’ বাংলাদেশের ডিজিটাল পরিমণ্ডলে একটি পরিবর্তন আনবে। নির্ভরযোগ্য, দ্রুত ও ওয়্যারলেস ইন্টারনেট প্রদানের মাধ্যমে এটি সারা দেশের কানেক্টিভিটি ও অ্যাক্সেসিবিলিটি উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করবে। সাশ্রয়ী মূল্যের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তি ও ব্যবসার ক্ষমতায়ন করবে এটি। এটি দূরবর্তী অবস্থান থেকে কাজ করতে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, অনলাইন শিক্ষা ও টেলিহেলথের ক্ষেত্রে এবং ডিজিটাল উদ্যোক্তা তৈরিতে সহায়ক হবে; যা আর্থ-সামজিক উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ টেলিযোগাযোগ খাতে নেওয়া প্রগতিশীল পদক্ষেপগুলোর উপর তার মতামত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সর্বশেষ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন প্রবর্তনের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ শিল্পকে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করছে বিটিআরসি। গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন ও উচ্চমানের ইন্টারনেট সেবা প্রদান করতে জিপিফাই আনার জন্য আমরা গ্রামীণফোনকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করি, গ্রামীণফোন বাংলাদেশের ডিজিটাল পরিমণ্ডল উন্নত করতে এবং দেশের টেলিযোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন ও আধুনিকীকরণে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।”
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, “আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্মার্ট ডিভাইস ও সংযোগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফলে আধুনিক প্রযুক্তির সহযোগে একটি নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও উপভোগ্য জীবনযাপন শুরু করার এখনই সময়। গ্রামীণফোন ডিজিটালভাবে অন্তর্ভুক্ত একটি সমাজ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যেখানে প্রত্যেকে ইন্টারনেটের সর্বোচ্চ মানের সেবার
মাধ্যমে উপকৃত হবেন। এরই ধারাবাহিকতা ‘জিপিফাই আনলিমিটেড’। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্পের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এমন প্রযুক্তি ও অবকাঠামোতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন সংকল্পবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, ‘জিপিফাই আনলিমিটেড’- এর মাধ্যমে গ্রামীণফোন শুধু ভবিষ্যতের ওয়াই-ফাই সেবা প্রদান করছে না; এটি ডিজিটাল ক্ষমতায়নের প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে, যা হবে জাতির সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহযোগী।”
অনুষ্ঠানটির শেষ প্রান্তে জিপিফাই এর বিস্তারিত এবং এর ব্যবহার দেখানো হয়।দেশের প্রথম ওয়্যারলেস ওয়াই-ফাই সল্যুশন ‘জিপিফাই আনলিমিটেড’ কিনতে এবং এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে https://gpfi.grameenphone.com/about সাইটটি ভিজিট করতে পারেন গ্রাহকরা।