সিনিউজ ডেস্ক: ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনে নিরাপদ থাকা ও প্রতারণা-ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের প্রায় পাঁচ হাজার কারুশিল্পীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে বিকাশ। পাশাপাশি, নিরাপদে মোবাইল আর্থিক সেবা ব্যবহার করে প্রতিদিনকার লেনদেনে কিভাবে আরও সক্ষমতা ও স্বাধীনতা আনা যায় সে বিষয়ে হাতে-কলমে ধারণা দেয়া হয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায়। কারুশিল্পীদের কষ্টার্জিত অর্থের সুরক্ষায় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে দেশজুড়ে এমন ১৬৩টি সেশন আয়োজন করে বিকাশ।
উল্লেখ্য, আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের কারুশিল্পীরা মজুরি পেয়ে আসছেন তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে। ডিজিটাল মাধ্যমে মজুরি পাওয়া এই কারুশিল্পীরা যাতে কোনো রকম প্রতারণামূলক কার্যক্রমের সম্ভাব্য লক্ষ্যে পরিণত না হন, সেই বিষয়ে কারুশিল্পীদের সচেতন করা হয়। প্রলোভনে ফেলে, ভয় দেখিয়ে বা অন্য কোন কৌশলে প্রতারক চক্র যাতে এমএফএস অ্যাকাউন্টের পিন বা ফোনে আসা ওটিপি জানতে না পারে, কর্মশালায় সে বিষয়ে তাদের সতর্ক করা হয়। একই সঙ্গে বিকাশ-এর বিভিন্ন ডিজিটাল আর্থিক সেবা ব্যবহার করে জীবনযাত্রাকে কিভাবে আরো সহজ করে তোলা যায় সে বিষয়েও ধারণা দেয়া হয় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশনের কারুশিল্পীদের।
দেশের শীর্ষ লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড আড়ং-এর জন্য হস্ত ও কারুশিল্প পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন তাদের ১৪টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ৩০ হাজার কারুশিল্পীকে বিকাশ-এর মাধ্যমে মজুরি বিতরণ করছে। এই কারুশিল্পীদের অধিকাংশই নারী যারা প্রতি মাসে ঘরে বসেই নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে মজুরি পেয়ে যাচ্ছেন।
ব্র্যাকের কর্মী এবং এর প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের স্ত্রী প্রয়াত আয়েশা আবেদ-এর স্মৃতি সংরক্ষণে এবং গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় আয়েশা আবেদ ফাউন্ডেশন। বর্তমানে সারাদেশে এই ফাউন্ডেশনের ১৫টি প্রধান কেন্দ্র এবং ৮৭৫ টি উপকেন্দ্র রয়েছে।
বিকাশের মাধ্যমে ডিজিটাল মজুরি বিতরণ ফাউন্ডেশনের মজুরি ব্যবস্থাপনাকে করেছে আরও সহজ ও সাশ্রয়ী। বিকাশ অ্যাকাউন্টে মজুরি পাওয়ার পর, কারুশিল্পীরা বিকাশের অন্যান্য সুবিধা যেমন মোবাইল রিচার্জ, বিভিন্ন পরিষেবার বিল পেমেন্ট, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ ও সঞ্চয় স্কিম সহ বিভিন্ন আর্থিক সেবা ব্যবহার করতে পারছেন। এছাড়াও, এই কারুশিল্পীরা তাদের মজুরি ক্যাশ-আউট করতে পারছেন ন্যুনতম খরচে।