সিনিউজ ডেস্ক: মর্যাদাপূর্ণ ‘এশিয়ার বেস্ট এমপ্লয়ার ব্র্যান্ডস ২০২৩’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে গ্রামীণফোন। সম্প্রতি, প্যান প্যাসিফিক সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত ১৮তম এমপ্লয়ার ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে এ স্বীকৃতি অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। মেধার ব্যবস্থাপনা, বিকাশ ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের অসামান্য অবদানকে স্বীকৃতি দেয়ার লক্ষ্যে এমপ্লয়ার ব্র্যান্ডিং ইনস্টিটিউট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এডিপি’র এশিয়া প্যাসিফিক অ্যান্ড গ্লোবাল পেরোল এর স্ট্র্যাটেজি ভাইস প্রেসিডেন্ট, জন অ্যান্টোস এবং ইআইআইএলএম কলকাতার চেয়ারম্যান ও ডিরেক্টর অধ্যাপক ড. আর. পি. ব্যানার্জি।
জুরি সদস্যরা প্রতিষ্ঠানগুলোর ২৪ মাসের কার্যক্রম পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়ন করার পর কিছু সুনির্দিষ্ট মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে পুরস্কারপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত করেন। অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের বাজার কৌশলকে সহায়তা করতে সম্ভাবনাময় মানব সম্পদ বিকশিত করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের বেস্ট প্র্যাকটিসগুলোর (সর্বোত্তম অনুশীলনীগুলো) প্রশংসা করা হয়। বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রযুক্তি খাত থেকে তরুণ মেধাবীদের আকৃষ্ট করার নিয়মিত প্রচেষ্টা গ্রামীণফোনের এ স্বীকৃতি অর্জনের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে ভূমিকা রেখেছে। উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন নিজেদের ভবিষ্যৎ উপযোগী প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরিতে কাজ করছে এবং ডিজিটাল ক্ষেত্রে অগ্রণী হিসেবে মানবসম্পদকে দক্ষ করে তোলার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। গ্রাহক-কেন্দ্রিক প্রযুক্তিগতভাবে শীর্ষস্থানীয় সেবাদাতা এই প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের বিকাশ ও কল্যাণে নিরলস প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে ১৮তম বেস্ট এমপ্লয়ার ব্র্যান্ডিং অ্যাওয়ার্ডস অর্জন করে।
এ নিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন বলেন, “ভবিষ্যৎমুখী টেক সার্ভিস লিডার হিসেবে কাজের ক্ষেত্র, নেতৃত্ব ও সক্ষমতার রূপান্তরে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোনে শেখার সংস্কৃতি নিয়ে ও কর্মীদের প্রবৃদ্ধিতে উৎসাহিত করা হয়; আর এ নিয়ে আমাদের প্রচেষ্টার জন্য সম্মানজনক এ স্বীকৃতি পেয়ে আমরা আনন্দিত। বিস্তৃত অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও অনুশীলনের মাধ্যমে মেধার উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন। সামনের দিনগুলোতে এগিয়ে থাকতে আমরা প্রতিনিয়ত ভবিষ্যৎ উপযোগী কর্মী তৈরি করে যাচ্ছি, ডিজিটালভাবে মানুষকে দক্ষ ও বিকশিত করে তুলছি। ভবিষ্যৎ ও সমাজের কল্যাণে আমরা আমাদের কর্মীদের বিকাশে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যহত রাখবো।”
উল্লেখ্য, গ্রামীণফোন এর আগে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম ও তরুণদের দক্ষ করে তোলার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ আইসিটি বিভাগের ‘ইনস্টিটিউশনাল ক্যাটাগরি’তে ‘২০২১ ডিজিটাল বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করে। ডিজিটালের শক্তিকে ব্যবহার করে কানেক্টিভিটিকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ও কমিউনিটির ক্ষমতায়নে উদ্যোগ গ্রহণের কারণে গ্রামীণফোন জিএসএমএ’র ‘ডিজিটাল নেশন অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করে। বাংলাদেশে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় সর্বোত্তম অনুশীলনী অনুসরণের জন্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ হিউম্যান রিসোর্স অর্গানাইজেশ গ্রামীণফোনকে ‘করপোরেট এইচআর অ্যাওয়ার্ড ২০২২’ প্রদান করে। এছাড়া, নিয়েলসেন আইকিউয়ের সহযোগিতায় মোবাইল ফোন সার্ভিস ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানটিকে ‘দ্য মোস্ট লাভড ব্র্যান্ড অব ২০২১’ স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ)। একটি অনুকরণীয় টেলকো-টেক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে সামনের দিনগুলোতে মেধার বিকাশ ঘটবে এমন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করবে প্রতিষ্ঠানটি।