সিনিউজ ডেস্ক: উদ্ভাবনী তরুণদের জন্য বাংলালিংক-এর বিশেষ উদ্যোগ ইনোভেটর্স-এর পঞ্চম আসর সফলভাবে শেষ হয়েছে। আজ বাংলালিংক অফিসে অনুষ্ঠিত ইনোভেটর্স-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে সেরা তিন দলকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, আইসিটি বিভাগ। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আলমাস কবীর এক্সটার্নাল বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস, চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ ও অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
এই বছর প্রায় ১৬,০০০ তরুণ-তরুণী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেন। বাছাইকৃত প্রতিযোগীরা অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ পেয়েছেন।
বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে সেরা পাঁচ দল গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য উত্তীর্ণ হয়। সেখানে তারা টেলিকমখাতের পরবর্তী উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন সম্বন্ধে নিজেদের আইডিয়া উপস্থাপন করে। সবার উপস্থাপনা ও আইডিয়া মূল্যায়নের পর জুরি বোর্ড সেরা তিন দলের নাম ঘোষণা করেন। এবারের আসরে প্রথম স্থান অর্জন করেছে টিম হাসলারস এবং যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে টিম থ্রী মাস্কেটিয়ার্স ও টিম স্পেয়ারহেড।
বিজয়ী দলের প্রত্যেক সদস্য পুরস্কার হিসেবে একটি আইফোন-১৩ এবং দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী দলের প্রত্যেক সদস্য যথাক্রমে একটি করে ল্যাপটপ ও স্মার্টওয়াচ গ্রহণ করেন।
আইসিটি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি বলেন, “তরুণ প্রজন্মের উন্নয়নের জন্য আমাদেরকে আরও বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে, যেগুলি তাদের প্রতিভা বিকাশে ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তাদের মেধা ও অবদান আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ তৈরি করবে। বাংলালিংক-এর পক্ষ থেকে এমন একটি অসাধারণ উদ্যোগের জন্য আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করছি, দেশে তরুণদের ক্ষমতায়নের জন্য তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাবে।”
বাংলালিংক-এর চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফিসার মনজুলা মোরশেদ বলেন, “আগ্রহী তরুণদের উদ্ভাবনী ভাবনাকে অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্য নিয়ে আমরা ইনোভেটর্স চালু করেছি। করোনা মহামারীর কারণে সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এবারের অধিকাংশ পর্ব আমাদেরকে অনলাইনে পরিচালনা করতে হয়েছে। তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে সকল চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে এবারও আমরা দুর্দান্ত সাফল্যের সাথে আসরটি শেষ করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতি বছরের মতো এই বছরেও অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে বেশ কিছু চমত্কার উদ্ভাবনী আইডিয়া পেয়েছি আমরা। দেশে তরুণদের ক্ষমতায়ন প্রতিষ্ঠা করার অঙ্গীকারের অংশ হিসাবে ভবিষ্যতেও এই ধরনের আরও উদ্যোগ গ্রহণ করবো আমরা।”
দেশের তরুণদের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তৈরি করতে ২০১৭ সালে ইনোভেটর্স চালু করার পর থেকে নিয়মিত এটি আয়োজন করে আসছে বাংলালিংক।