সিনিউজ ডেস্ক:সম্প্রতি, ইন্দোনেশিয়ার সর্বোচ্চ সাইবার নিরাপত্তা সংস্থা ন্যাশনাল সাইবার এবং ক্রিপ্টো এজেন্সি অব ইন্দোনেশিয়ার (বিএসএসএন) সাথে সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা চুক্তি নবায়নের মাধ্যমে সাইবার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনরায় নিশ্চিত করেছে হুয়াওয়ে ইন্দোনেশিয়া। ইনস্টিটিউট টেকনোলজি ডেলের (আইটি ডেল) সাথে একটি নতুন, ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা চুক্তি (পিকেএস) করেছে হুয়াওয়ে ইন্দোনেশিয়া এবং বিএসএসএন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়া প্রজাতন্ত্রের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ও ইনভেস্টমেন্ট মন্ত্রী (মার্ভেস) জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) লুহুত বিনসর পান্ডুজাইতান, হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রেন ঝেংফেই, হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক প্রেসিডেন্ট জেফারি লিউ এবং হুয়াওয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যাকি চেন।
ইন্দোনেশিয়ার সাইবার নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সমাধানদাতা প্রতিষ্ঠানের সুদীর্ঘ প্রতিশ্রুতিকে সাধুবাদ জানাতে মন্ত্রী লুহুত ও হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রেনের মধ্যে এক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
লুহুত হুয়াওয়ের প্রতি তার প্রত্যাশা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত যে, ইন্দোনেশিয়ার গ্রিন ডেভেলপমেন্ট এবং স্মার্ট ফিউচারে হুয়াওয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে। পরবর্তী কয়েক বছরে, ডিজিটাল প্রপার্টি পরবর্তী প্রজন্মের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদগুলোর একটি হবে।”
ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসা করে রেন বলেন, “ইন্দোনেশিয়া একটি অসাধারণ সুন্দর দেশ, যার রয়েছে সুদীর্ঘ উপকূলীয় রেখা, অঢেল প্রাকৃতিক সম্পদ এবং বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য।” তিনি উল্লেখ করেন যে, ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানি খাতের বৃহৎ সম্ভাবনাময় বাজারে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের উন্নয়নে প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে চীনের বেশ কয়েকটি উদাহরণও রয়েছে।”
রেন আরও বলেন, “আমাদের স্থানীয় টিমকে দীর্ঘদিন সহায়তার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রতি হুয়াওয়ে কৃতজ্ঞ। একে অপরের সার্বভৌম ক্ষমতা, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং সামাজিক রীতিনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীলতার ভিত্তিতে চীন এবং ইন্দোনেশিয়ার মধ্যকার অংশীদারিত্ব ইন্দোনেশিয়ার ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
সমঝোতা এবং সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিএসএসএন প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) হিনসা সিবুরিয়ান এবং আইটি ডেল রেক্টর অধ্যাপক ইর. তোগার এম. সিমাতুপাং এম, টেক. পিএইচডি উপস্থিত ছিলেন।
২০১৯ সাল থেকে হুয়াওয়ের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করেন হিনসা। এ প্রসঙ্গে হুয়াওয়ে ইন্দোনেশিয়ার প্রধান নির্বাহী জ্যাকি চেন তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “সমঝোতা চুক্তির এই নবায়ন সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে আমাদের যৌথ উদ্যোগের একটি নতুন মাইলফলকের সূচনা করবে, কারণ এই কর্মসূচিতে ভবিষ্যতে নতুন আরো বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে এবং সময়ের সাথে সাথে আরো বেশি মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হতে যাচ্ছেন।”
হুয়াওয়ে এবং বিএসএসএন’র এই যৌথ কর্মসূচির আওতায় ২০১৯ থেকে প্রায় ৭,০০০ সরকারি কর্মকর্তা এবং কর্মচারী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, ওয়েবিনার ও সম্মিলিত প্রোগ্রাম দ্বারা উপকৃত হয়েছেন।
২১ বছর আগে পাঁচজন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করা হুয়াওয়ে ইন্দোনেশিয়ার বর্তমানে ২ হাজারেরও বেশি কর্মী রয়েছেন, যাদের মধ্যে ৯০ শতাংশই স্থানীয়। এভাবে হুয়াওয়ে স্থানীয় অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। বৈশ্বিক মহামারি চলাকালীন, মূল্যবোধ তৈরি এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত অগ্রগতিতে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ইন্দোনেশিয়ার জনগণের জন্য হুয়াওয়ে ‘আই ডু’ ক্যাম্পেইনের একটি সিরিজ চালু করে।
‘আই ডু কেয়ার’ ক্যাম্পেইনের অধীনে, হুয়াওয়ে ইন্দোনেশিয়া দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা এবং অসহায়দের অনুদান প্রদান করেছে। ইকোসিস্টেমে ডিজিটাল রূপান্তরে ‘আই ডু কোলাবোরেট’ -এর মাধ্যমে হুয়াওয়ে সরকার, ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এবং অংশীদারদের সাথে কাজ করেছে। ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত জনশক্তির একটি মজবুত ভিত্তি গড়ে তোলার জন্য ‘আই ডু কন্ট্রিবিউট’ এর মাধ্যমে এটি পাঁচ বছরে ১০০,০০০ ইন্দোনেশীয়কে ডিজিটালভাবে দক্ষ করে তুলবে। এআই, বিগ ডেটা এবং ক্লাউড কম্পিউটিং বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সমৃদ্ধিতে ‘আই ডু ক্রিয়েট’ -এর মাধ্যমে হুয়াওয়ে ইন্দোনেশিয়া অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মধ্য দিয়ে সৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী উপায় খুঁজে পেয়েছে।