সিনিউজ ডেস্ক; রত্নগর্ভা মা পুস্কার ২০২১ পেলেন চাঁদপুরের ফয়জুন্নেসা বেগম বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষ্যে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সন্তানদের যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার নিপুণ কারিগরের স্বীকৃতি স্বরুপ আজাদ প্রোডাক্টস রত্নগর্ভা মা পুস্কার ২০২১ এর পুরস্কার পেয়েছেন চাঁদপুর শহরের মাদ্রাসা রোডস্থ পলাশ ভবনের বাসিন্দা মিসেস ফয়জুন্নেসা বেগম। তিনি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সহধর্মিনী ও আট সন্তানের গর্বিত জননী।
আজ বিশ্ব মা’ দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এ পুরস্কার তুলে দেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোরাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভাসিৃটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান ও যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, এমপি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার, ঢাকা ক্লাবের সভাপতি খন্দকার মশিউজ্জামান ও আজাদ প্রোডাক্টস প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, তাঁর বড় ছেলে জিয়াউর রহমান আজাদ, বড় মেয়ে তানজিদা আজাদ ও ছোট মেয়ে অনামিকা আজাদ।
করোনার কারনে বিগত তিন বছরের পুরস্কার এবার একসাথে প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে সাধারন ও বিশেষ ক্যাটাগরিতে মোট ৩৮ জনকে ‘রতœগর্ভা মা’ পুরসকারের ভ’ষিত করা হয়। ১৯ বছর ধরে ব্যক্তিগত উদ্যোগে, নিজের খরচে বাংলাদেশের সফল ও আলোকিত মায়েদের রতœগর্ভা মা অ্যাওয়ার্ড’ দিচ্ছেন আজাদ প্রোডাক্টসের মালিক আবুল কালাম আজাদ।
জীবনের নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে তার প্রতিটি ছেলেমেয়েকেই করে তোলেন শিক্ষিত, যারা সবাই আজ সমাজে সুপ্রতিষ্ঠিত। ফয়জুন্নেসা বেগমের প্রথম সন্তান- জান্নাতুল মাওয়া চাঁদপুর আত্মনিবেদিতা মহিলা সংস্থার ডিস্ট্রিক্ট কো- অরডিনেটর, দ্বিতীয় সন্তান- ইসমে আজম পনির (এসবি, এমবিএ) আমেরিকায় এটিএন্ড টি’র প্রিন্সিপাল প্রেগ্রাম ম্যানেজার, তৃতীয় সন্তান- মোঃ আজমে শাহাদাৎ মঈনউদ্দিন সবুর (বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার-ডিইউইটি)আনোয়ার গ্রæপ বাংলাদেশের অপারেটিভ ডিরেক্টর, চতুর্থ সন্তান – গাউসুল আজম শোয়েব (এমএস এস-অর্থনীতি) উপজেলা শিক্ষা অফিসার, বান্দরবন, পঞ্চম সন্তান- সোহাগ হাসান (এম এস এস-পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন) একসময়ের দেশের জনপ্রিয় কন্ঠ শিল্পী ও বর্তমানে কানাডায় কর্মরত ও বসবাসরত, ষষ্ঠ সন্তান- মোঃ আহসান হাবিব সোহেল ( এম এস এস-ইতিহাস) সম্পাদক (নিউজ এন্ড কারেন্ট এফেয়ার্স), এনটিভি, সপ্তম সন্তান – জান্নাতুল নাঈম পলাশ (এম এ) সামাজিক কর্মকাÐে নিয়োজিত এবং অষ্টম সন্তান- জান্নাতুল ফেরদাউস সুমী-রাজশাহী সরকারী কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক। সত্যিই ফযজুন্নেসা বেগম রতœগর্ভা। জীবনের নানা ত্যাগ-তিতিক্ষার পর এই পুরস্কার আজাদ প্রোডাক্টসের পক্ষ থেকে তাকে সম্মানিত করার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র। আজ এই মহান রতœগর্ভা জননী সবার কাছে দোয়াপ্রার্থী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘এই দিনে সব মায়ের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। মায়ের কথা মনে করলেই চোখে পানি চলে আসে, কেন আসে আমি তা জানি না। এখানে আপনাদের মা আছে, আমার মা নেই। নারীদের অগ্রযাত্রায় কাজ করে যাচ্ছেন আরেক মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগে স্কুল-কলেজে ছেলেরা প্রথম হতো, এখন মেয়েরা হচ্ছে। মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।’
৩৮ জনের মধ্যে ১৩ জনকে বিশেষ ও ২৫ জনকে সাধারণ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। বিশেষ ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পাওয়া রতœগর্ভা ১৩ মা হলেন হামিদা বেগম, মাহমুদা বেগম, জাহানারা বেগম, সফুরা খাতুন, মাহমুদা খাতুন, মাইমুনা আক্তার খাতুন, মাজেদা বেগম, আশা বড়ুয়া, খালেদা খানম, মাফিয়া বেগম, জাহানারা হোসেন, নাজিমা বেগম ও জান্নাতুল ফেরদৌসী।
সাধারণ ক্যাটাগরিতে এবার পুরস্কার পেয়েছেন ২৫ মা। তারা হলেন আমেনা বেগম, লতিফা খানম, পুনুয়ারা বেগম, মর্জিনা সাখাওয়াত, সামসুন নাহার, আয়েশা খাতুন, রোকশানা আহম্মেদ, নাফিসা বেগম, ফারমিদা সাত্তার, সেলিমা খাতুন, রেহানা শফিক, অ্যাডভোকেট হাজেরা পারভীন, সুরাইয়া খানম, মাফিয়া আখতার, খোশনূর, পারুল বেগম, নাজমা আনিস, ফরিদা ইয়াসমিন, রওশনয়ারা বেগম, ওয়াজিফা খাতুন, সিদ্দিকা বেগম, শাতিল আবেদা, ফয়জুন্নেছা বেগম, মমতাজ খানম ও মমতাজ বেগম। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ারকে মাই ড্যাড ওয়ান্ডারফুল সম্মাননা প্রদান করা হয়।