সিনিউজ ডেস্কঃ বছরের শেষ আর শীতের হিম হিম বাতাসের সাথে, প্রতি বছরের মতো এবারও চারদিকে বিয়ের সানাই বাজতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বিয়ের নিমন্ত্রণ পাওয়া আর বিয়েতে সবাই একরকম পোশাক পরে তোলা সেলফিতে ট্যাগ হওয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তব জীবন ও ডিজিটাল – সব জায়গায়ই উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। কাচ্চি ও বোরহানির মাতামাতির মধ্যে বিয়ের অনুষ্ঠান অনেক আনন্দের মনে হলেও অনুষ্ঠানটি যদি নিজের বাড়ির কাছের কোনো আত্মীয়ের হয়, কেবল তখনই বোঝা যায় এর প্রস্তুতি পর্ব ঠিকঠাক সারা কতো কঠিন।
দুই পরিবারের মধ্যে নতুন সম্পর্ক স্থাপন থেকে শুরু করে গাঁটছড়া বাঁধা পর্যন্ত – বর এবং কনেকে নতুন জীবন শুরুর প্রস্তুতি গ্রহণের পাশাপাশি অসংখ্য দায়িত্বের বোঝাও বইতে হয়। যদিও সাধারণত বেশিরভাগ দায়িত্ব পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়, কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় এতোসব দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষ নেই। ভেন্যু নির্বাচন, অতিথিদের তালিকা তৈরি, নিমন্ত্রণপত্র বিতরণ, সাজসজ্জার ব্যবস্থা, ফটোগ্রাফি, ক্যাটারিং – বিয়ে আয়োজনে কাজের এই তালিকার কোনো শেষ নেই। কিন্তু, যে দু’জন মানুষকে ঘিরে এতো আয়োজন, বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতার মাঝে তাদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করার বিষয়টি আমরা প্রায়ই ভুলে যাই।
উদাহরণস্বরূপ, অতিথিদের আপ্যায়ন নিয়ে বেশিরভাগ বাবা-মায়েরই আগে থেকে পরিকল্পনা থাকে। একটি নির্দিষ্ট মানের অনুষ্ঠান আয়োজনের সামাজিক বাধ্যবাধকতা থাকে বলে অনেক সময় বর-কনের বাবা-মাকে নিজেদের আর্থিক সীমাবদ্ধতার বাইরেও চিন্তা করতে হয়। আবার, অনেক সময় আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের চাপে পড়ে বর-কনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগেন এবং নিজেদের ইচ্ছা ও মতামত প্রকাশ করতে পারেন না। আর এর ফলে অনেকক্ষেত্রে তারা বিয়ের সকল আয়োজনে সানন্দে অংশগ্রহণ করতে পারেন না। বিয়ের সকল অনুষ্ঠান-আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পর শারীরিক ধকল সেরে ওঠার আগেই নতুন মানুষজনের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে নবদম্পতিকে নিজেদের জীবনধারা ও অগ্রাধিকারগুলোকে নতুন করে সাজানোর মানসিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়।
যারা একটু খুঁতখুঁতে স্বভাবের আর নিজের ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের ব্যাপারে অধিক সচেতন, তাদের জন্য এই নতুন জীবনের সাথে মানিয়ে চলার অভিজ্ঞতা মিশ্র অনুভূতির হতে পারে। আর নবদম্পতির বয়স যদি কম হয় বা তারা কেবল ক্যারিয়ার শুরু করেছে এমনটা হয়, বিয়ের শুরুর দিকে আর্থিক ব্যবস্থাপনা বেশ বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। একদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর সাথে নতুন সংসারে নতুন আসবাব ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স কেনার চাপ, দু’জনের মনেই নানাবিধ প্রশ্ন সঞ্চার করে – “আমাদের কাপড় ধোয়ার সহজ সমাধান কী হতে পারে? নতুন বৌয়ের পছন্দের চকলেটটি গলে যাতে নষ্ট না হয় কীভাবে তার ব্যবস্থা করা যায়? নতুন বরের পছন্দের মুভিটি কোথায় দেখলে ভালো ছবি ও সাউন্ড পাওয়া যাবে? এই সবকিছুর পেছনে কী অনেক বেশি খরচ হয়ে যাবে?”
সঠিক পরিকল্পনা করা না হলে স্বপ্নের সাজানো নীড় তৈরি নবদম্পতির জন্য আসলেই বেশ ব্যয়বহুল হতে পারে। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায়, বিয়ের অত্যাধিক খরচের পর দুই পরিবার এই ক্ষেত্রে আর বেশি খরচ করতে চায় না। কিন্তু, এর ফলে নবদম্পতিকে তাদের নতুন জীবনের শুরুতে বিভিন্ন রকম আপোষ করতে হয়, যা কখনোই প্রত্যাশিত নয়।
ক্রেতারা যাতে তাদের বাজেটের মধ্যে সেরা ব্র্যান্ড ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন, সেজন্য আজকাল অনেক ব্র্যান্ড এবং কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন পরিসরের ছাড়, ইএমআই এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদান করে। সম্প্রতি, নবদম্পতিদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে স্যামসাং বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে নতুন অফার। স্যামসাংয়ের ‘বিবাহ উৎসব’ অফারে রয়েছে ৪টি অসাধারণ প্যাকেজ – প্লাটিনাম, ডায়মন্ড, গোল্ড এবং সিলভার। নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছে এমন দম্পতিদের জন্য এসব প্যাকেজের অধীনে প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক পণ্যে থাকছে সাশ্রয়ী বান্ডেল-প্রাইস অফার। আকর্ষণীয় এসব প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে: প্লাটিনাম প্যাকেজ: ৫৫’’ ফোরকে ইউএইচডি টিভি, ৪৬৫ লিটার নো ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ৯ কেজি ফ্রন্ট লোডিং স্টিম ওয়াশ ওয়াশিং মেশিন – মূল্য: ২,২৪,০০০ টাকা। ডায়মন্ড প্যাকেজ: ৪৩” ফোরকে ইউএইচডি টিভি, ৩২১ লিটার নো ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ৮ কেজি ফ্রন্ট লোডিং ওয়াশিং মেশিন – মূল্য: ১,৫৯,৯০০ টাকা। গোল্ড প্যাকেজ: ৪৩’’ স্মার্ট টিভি, ২৭৫ লিটার নো ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ৭ কেজি ইনভার্টার টপ লোডিং ওয়াশিং মেশিন – মূল্য: ৯৯,৯০০ টাকা। সিলভার প্যাকেজ: ৩২’’ স্মার্ট টিভি, ২১৮ লিটার ফ্রস্ট রেফ্রিজারেটর, ৭ কেজি টপ লোডিং ওয়াশিং মেশিন – মূল্য: ৭৯,৯০০ টাকা।
এসব প্যাকেজে একসাথে টিভি, রেফ্রিজারেটর এবং ওয়াশিং মেশিন কেনার মাধ্যমে নবদম্পতিরা বিয়ের পরে বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ সঞ্চয় করতে পারবে। অত্যাধুনিক পণ্যে আকর্ষণীয় ছাড় উপভোগের পাশাপাশি, ক্রেতারা পণ্য ক্রয়ে বিনামূল্যে উপহার এবং বিনাসুদে ইএমআই সুবিধাও পাবেন।