সিনিউজ ডেস্ক: টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড (টেলিটক)-এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দেশে ৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে নোকিয়া। এই চুক্তি বাংলাদেশে ৫জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অটোমেশন, ডিজিটালাইজেশন এবং ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ চালনার জন্য সরকারের ডিজিটাল এজেন্ডাকে তুলে ধরবে। নতুন এই নেটওয়ার্কটি হবে দ্রুততর, নির্ভরযোগ্য ও স্বল্প বিলম্বসম্পন্ন, যা শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য খাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তনকে সমর্থন করবে।
৫জি নেটওয়ার্ক স্থাপনার প্রাথমিক পর্যায়ে, নোকিয়া’র সাম্প্রতিক রিফশার্ক সিস্টেম থেকে চিপ-পাওয়ার্ড এয়ারস্কেল ইক্যুইপমেন্ট পোর্টফোলিওতে সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। সেইসাথে নোকিয়া’র ৫জি এয়ারস্কেল ডিজিটাল বেসব্যান্ড ইউনিটকে একটি প্লাগইন ক্ষমতা প্রদান করবে যাতে প্রয়োজনীয় ধারণক্ষমতা বজায় থাকে। নোকিয়া ঘনবসতি সম্পন্ন শহুরে পরিবেশে ও বিস্তীর্ণ এলাকায় কভারেজ প্রদানে সক্ষম। এই কভারেজ বাস্তবায়নে উচ্চ-কর্মক্ষম ৬৪-টিআরএক্স এয়ারস্কেল ও বিশাল এমআইএমও অ্যাডাপ্টিভ অ্যান্টেনা থাকবে।
টেলিটক বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে দেশে ৫জি নেটওয়ার্ক চালু করছে। টেলিটক গ্রামীণ এলাকার পাশাপাশি শহরগুলোতেও ৫জি নেটওয়ার্ক প্রবর্তন এবং সম্পূর্ণ নেটওয়ার্ক উন্নত করছে।
২০০৪ সাল থেকে দেশে ২জি, ৩জি, ৪জি নেটওয়ার্কগুলোর স্থাপনায় নোকিয়া-টেলিটক পারস্পরিক অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। নোকিয়া প্রয়োজনীয় পরিবহন ও কোর সল্যুশন সরবরাহ করে। এছাড়াও নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটি একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: শিহাব উদ্দিন বলেন, “এই উদ্যোগটি নিঃসন্দেহে ৫জি নেটওয়ার্ক দ্বারা পরিচালিত দেশের ভবিষ্যত ডিজিটাল সমাজ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নোকিয়ার এই সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব আমাদের একটি অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক সরবরাহের এবং গ্রাহকদের কাছে উচ্চতর যোগাযোগ পরিষেবা প্রদানের মূল চাবিকাঠি।”
রেডিও অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক পিএলএম নোকিয়া’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক অ্যাটকিনসন বলেন, “টেলিটকের সাথে আমাদের দীর্ঘকালের এই অংশীদারিত্বের ধারাবাহিকতায় ৫জি নেটওয়ার্কের যুগে পদার্পণ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। টেলিটক এবং বাংলাদেশ সরকারের ৫জি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তন সাধনের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা রয়েছে। নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের উদ্যোগ টেলিটককে গ্রামীণ অঞ্চলে ভালো কভারেজ প্রদানের মাধ্যমে নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে এবং শহরাঞ্চলের গ্রাহকদের ধরে রাখতে সহায়ক হবে। বিশ্বব্যাপী সেবা প্রদানে আমাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে টেলিটক তাদের গ্রাহকদের অভিনব সেবা প্রদানে সক্ষম হবে বলে আমি মনে করি”।