সিনিউজ ডেস্ক: সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস সম্প্রতি তাদের নতুন এ্যাডভাইজরি সার্ভিস পরিষেবা ঘোষণা করেছে। এই সেবার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সাইবার নিরাপত্তার দুর্বলতা চিহ্নিত করতে পারবে এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে পারবে।
প্রতিষ্ঠানের আকার বা নিরাপত্তার ধাপ যেমনই হোক না কেন, সাইবার ঝুঁকি যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে সাইবার হামলাকারীদের থেকে একধাপ এগিয়ে থাকা যায়। একইসাথে আইনি নিয়ম মেনে চলা যায় এবং গ্রাহক ও প্রতিষ্ঠানের পার্টনারদের আস্থাও অর্জন করা যায়। সফোস স্টেট অব র্যানসমওয়ার ২০২৫ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, র্যানসমওয়্যার হামলার প্রধান কারণ হলো সফটওয়্যারের দুর্বলতা। বিশ্বের ৬৫% প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে তারা কোনো না কোনো নিরাপত্তা ঘাটতির কারণে আক্রমণের শিকার হয়েছে।
নতুন পরিষেবাগুলো তৈরি হয়েছে সফোস এক্স-অপস থ্রেট ইন্টেলিজেন্স-এর গবেষণা ও বাস্তব অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে। এতে যুক্ত রয়েছে থ্রেট হান্টিং, ইনসিডেন্ট রেসপন্স এবং সাম্প্রতিক সাইবার হামলার তথ্য বিশ্লেষণ। এই পরিষেবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রয়েছে:
- এক্সটার্নাল পেনেট্রেশন টেস্টিং: বাইরের কোনো হ্যাকার বা আক্রমণকারী কীভাবে প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কে ঢোকার চেষ্টা করতে পারে, সেটি এখানে পরীক্ষা করা হয়।
- ইন্টারনাল পেনেট্রেশন টেস্টিং: যদি কোনো আক্রমণকারী বা অভ্যন্তরীণ কর্মী ইতিমধ্যেই নেটওয়ার্কে ঢুকে পড়ে, তাহলে ভিতরের সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন ও ডেটার নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত তা পরীক্ষা করা হয়।
- ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক পেনেট্রেশন টেস্টিং: ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামোর নিরাপত্তা যাচাই করা হয় এবং তা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম ও মানদণ্ডে ঠিক আছে কি না তা দেখা হয়।
- ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি এসেসমেন্ট: প্রতিষ্ঠানের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে কোনো নিরাপত্তা দুর্বলতা বা ডিজাইনের সমস্যা আছে কি না সেটি পরীক্ষা করা হয়।
সফোস এ্যাডভাইজরি সার্ভিস পরিচালনা করতে বিশেষজ্ঞরা সহ যুক্ত আছে নিরাপত্তা গবেষণা, থ্রেট ইন্টেলিজেন্স, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সামরিক অভিজ্ঞতা। এদের অনেকেই সফোসের সম্প্রতি অধিগ্রহণ করা সিকিওরওয়ার্ক্স থেকে যোগ দিয়েছেন। এই টিমের সদস্যদের সাইবার নিরাপত্তা সার্টিফিকেশন আছে এবং তারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন।
আরও জানতে ভিজিট করুন: sophos.com/advisory-services
