সিনিউজ ডেস্ক: সারা বিশ্বব্যাপী শিক্ষার আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে ‘আউটকাম বেজড এডুকেশন’ (ফলাফল ভিত্তিক শিক্ষা) এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই প্রযুক্তির ব্যবহারকে ব্যাপকভাবে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব ‘ইন্টারেক্টিভ এআই অ্যাপ’- ‘ইংলিশ মেট’ এর ব্যবস্থা করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)। এই আধুনিক প্রযুক্তিটি শিক্ষার্থীদের দৈনন্দিন পড়াশোনার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার উন্নয়নে একটি কার্যকরী সহায়ক (গাইড) হিসেবে ভূমিকা রাখবে।
২২শে ডিসেম্বর (রবিবার) বেলা ৩টায় সাভারের বিরুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই ইংরেজি বিভাগের উদ্যোগে তৈরি করা এই নতুন অ্যাপটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। ডিআইইউ’র সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. ইমরান মাহমুদ ও ইংরেজী বিভাগের প্রধান ড. এহতেশাম উল হক ইতেনের তত্ত্বাবধানে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে নির্মিত ‘ইরাসমাস ল্যাব’ ব্যবহার করে এই অ্যাপটি তৈরি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী নোহান। শুধুমাত্র ইংরেজি পাঠ্যসূচীর ওপর শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করার জন্য বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব এআই-চালিত টুল তৈরির উদাহরণে- এটিই প্রথম।
‘ইংলিশ মেট’ অ্যাপটি মূলত বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য দৈনিক অনুশীলনের একটি গাইড হিসেবে কাজ করবে। এটি তাদের পড়াশোনার বিষয়কে সহজ ও আরও বোধগম্য করে তোলার জন্য সাহায্য করবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা চাইলেই তাদের কারিকুলামের নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে এই অ্যাপ থেকেই দিকনির্দেশনা পাবেন। এটি ব্যবহারকারীদের শেখার গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করে এবং তাদের উন্নতিতে সহায়তা করে। কুইজ, গ্রামার চেক, শব্দভাণ্ডার তৈরি, এবং উচ্চারণ শিখতে সাহায্য করে এমন বিভিন্ন ফিচার রয়েছে এতে। এক কথায়, ‘ইংলিশ মেট’ শিক্ষার্থীদেরকে হোম টিউটর বা গৃহ শিক্ষকের মতো প্রতি মুহূর্তে গাইড করবে।
এ বিষয়ে ডিআইইউ’র ইংরেজি বিভাগের প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ড. এহতেশাম উল হক ইতেন বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র পাঠ্যপুস্তক নির্ভর শিক্ষার গন্ডি থেকে বেরিয়ে বাস্তব জীবনে ইংরেজি ভাষার প্রয়োগ শিখুক। এছাড়া এই অ্যাপটি দ্বারা ২৪ ঘন্টাই তাদের কারিকুলামের এবং বাস্তব জীবনে ইংরেজি শেখার প্রয়োজনে একজন গাইড পাচ্ছেন। অ্যাপটি এই মুহুর্তে শুধুমাত্র আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহার হলেও, ভবিষ্যতে আরো ফিচার যুক্ত এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার জন্য কাজ চলছে।’
এই আই টুলটির প্রস্তুতকারক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নোমান বলেন, ‘এই টুলটি তৈরির সময় প্রযুক্তি ও শিক্ষার মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানোর চেষ্টা করেছি। আমার লক্ষ্য ছিল এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ইংরেজি শেখাকে সহজ, ইন্টারেক্টিভ এবং ব্যক্তিগতভাবে উপযোগী করে তুলবে।’
এ আই টুলটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইংরেজি ও সফটওয়্যার বিভাগের প্রধান ছাড়াও রেজিস্ট্রার ড. নাদের বিন আলী, মানবিক ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. লিজা শারমিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।