সিনিউজ ডেস্ক:ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য দিয়ে বিশ্বজয়ের লক্ষ্য ওয়ালটনের। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি নিয়েছে ‘ভিশন গো-গেøাবাল ২০৩০’ টার্গেট। লক্ষ্য অর্জনে চলছে বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের জন্য বিশ্বব্যাপী রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণের কাজ। এরই প্রেক্ষিতে গ্রিসের ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে ওয়ালটনের। তারা গ্রিস, বুলগেরিয়াসহ ইউরোপের দেশগুলোতে ওয়ালটনের তৈরি সব ধরনের পণ্যের ব্যবসা সম্প্রসারণে ব্যাপকভাবে কাজ করবে।
উল্লেখ্য, গ্রিসে ওয়ালটনের ব্যবসায়িক অংশীদার দেশটির শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ‘প্ল্যাসিও’। গ্রিস, বুলগেরিয়ায় তাদের নিজস্ব ফ্ল্যাগশিপ স্টোর রয়েছে। গত বছর থেকে ওয়ালটনের তৈরি টেলিভিশন নিচ্ছে প্ল্যাসিও। এবার ওয়ালটনের তৈরি রেফ্রিজারেটর, এয়ারকন্ডিশনারসহ অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে দক্ষিণ ও পূর্ব ইউরোপের বাজারেও শক্ত অবস্থান গড়তে চায় তারা।
সম্প্রতি গ্রিস সফর করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) গোলাম মুর্শেদ। ওই সফরে তিনি গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে প্ল্যাসিও’র প্রধান কার্যালয়ে ব্যবসায়িক পার্টনারদের সঙ্গে বাংলাদেশে তৈরি ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ব্যবসা সম্প্রসারণ বিষয়ে বৈঠক করেন। সে সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেকের পরিচালক তাহমিনা আফরোজ তান্না, প্ল্যাসিও’র চেয়ারম্যান জর্জিওস গারারডোস এবং কমার্শিয়াল ডিরেক্টর জর্জিওস টিজিয়ালাস প্রমুখ।
গ্রিসের ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ বলেন, বর্তমানে তারা ওয়ালটনের তৈরি টেলিভিশন নিচ্ছে। গ্রিসসহ ইউরোপের দেশগুলোতে টেলিভিশনের ব্যবসাটা আরো কিভাবে বাড়ানো যায়, সেটা নিয়ে আমরা ফলপ্রসু আলোচনা করেছি। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যে তারা ভীষণ আগ্রহী। বিশেষ করে গ্রিস ও বুলগেরিয়া মার্কেটে বাংলাদেশে তৈরি এসব পণ্য নিয়ে তারা ব্যাপকভাবে কাজ করবে। এ বৈঠক তাদের দারুণ উৎসাহিত করেছে।
তিনি জানান, গ্রিসের পাশাপাশি দক্ষিণ ও পূর্ব ইউরোপের বাজার টার্গেট করে ওয়ালটন এবং প্ল্যাসিও’র আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। ওয়ালটনের তৈরি পণ্যের ব্যবসা সম্প্রসারণে এই দুই টিম একসঙ্গে কাজ করবে। বাংলাদেশে ওয়ালটন যেসব পণ্য উৎপাদন করছে, সেসব পণ্য গ্রিস এবং এর আশপাশের দেশগুলোতে বাজারজাত করা হবে।
জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। করোনা মহামারির মধ্যেও চলতি বছর ১৪ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ওয়ালটন পণ্য রপ্তানি হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ১ বিলিয়ন ডলার পণ্য রপ্তানির টার্গেট রয়েছে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করবে ওয়ালটন। ওই সময়ে ওয়ালটনের লক্ষ্য ৭ বিলিয়ন ডলার মুনাফা অর্জন। এ লক্ষ্য অর্জনে গ্রিসের ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে সাম্প্রতিক বৈঠক ব্যাপক সুফল বয়ে আনবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, ওয়ার্ল্ড স্ট্যান্ডার্ড পণ্য দিয়ে খুব শিগগিরই পুরো বিশ্বের মন জয় করে নেবে ওয়ালটন। এর মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে ওয়ালটনের রপ্তানি কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখতে সক্ষম হবে।