সিনিউজ ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমসাময়িক চিন্তভাবনা ও মানসিক উৎকর্ষতা বৃদ্ধি এবং তাদের বই পড়াার প্রতি আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী ’ডিআইইউ বই মেলা ২০২৪’। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রেস যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে । সাভারের ভ্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নলেজ টাওয়ারে স্টুডেন্ট লাউন্জে ৫ মে থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে আগামী ৭ মে মঙ্গলবর পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান ড. মো: মিলন খান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক ও মাতৃভাষা প্রকাশ এর স্বত্বাধিকারী নেসার উদ্দিন আয়ুব, বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক রাসেল রায়হান,রাহিতুল ইসলাম রুয়েল। বইমেলার আয়োজন প্রসঙ্গে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাষ্টিবোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোঃ সবুর খান বলেন, প্রত্যেক মানুষের জীবনে মানসিক প্রশান্তি ও সামগ্রিক বিকাশের জন্য বইপড়া জরুরি। বই শুধু বিনোদেনের মাধ্যম নয়। ববই পড়ে মানুষ অনেক কিছু শিখতে পারে, বইয়ের সাথে সম্প্রীতি থাকলে মানুষ হতাশা মুক্ত হতে পারে। বই পড়ে মানুষ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে অনেক জ্হান অর্জন করতে পারে।
মেলায় পাঠকদের জন্য ২২ টি প্রকাশনীর বইয়ে বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্টলে সাজানো রয়েছে হরেক রকমের বই। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সমরেশ মজুমদার, সত্যজিৎ রায়, জয় গোস্বামী, ড্যান ব্রাউন, হুমায়ূন আহমেদ, সুকুমার রায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, আনিসুল হকসহ আরও অনেক লেখকের বই সাজানো রয়েছে।
বইমেলা ঘুরতে এসে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী উপল জানান, শিক্ষার্থীদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এমন আয়োজন অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বই সম্পর্কে জানতে পারছি, বই এবং লেখকদের সম্পর্কে জানতে পারছি যা অবশ্যই আমাদের ভবিষ্যৎ গঠনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
মেলার মূল আয়োজন ছিল একটু ভিন্ন, শিক্ষার্থীরা বেশকিছু স্টল এর মাধ্যমে তাদের নিজেদের বইগুলো উপস্থাপন করে এবং এখানে একজন শিক্ষার্থী অন্য একজন শিক্ষার্থীর সাথে তার বইগুলো এক্সচেঞ্জ করার সুযোগ পায়, মেলার পাশেই ছিল পাঠকদের জন্য বই পড়ার কর্নার যেখানে শিক্ষার্থীরা স্টল থেকে বই সংগ্রহ করে পড়ার সুযোগ পেয়েছে এবং মেলায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছিলো বুক রিভিউ করার সুযোগ। বেস্ট বুক রিভিউ এর জন্য রয়েছে আকর্ষনীয়পুরষ্কার।