সিনিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় ১৫০জন বিজয়ীর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকারকারী ৩০জনসহ মোট ৫০ বিজয়ীকে পুরস্কৃত প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুক্তযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপনকান্তি ঘোষ, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মহাপরিচালক খায়রুল আমীন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন্নাহার, তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর এর ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক রেজাউল মাকসুদ জাহিদী।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মিথ্যার বিরুদ্ধে সাইবার যুদ্ধে সন্তানদের উদ্বুদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক বলেন অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। কিন্তু এখনো অনেকেই দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। অনলাইনে তাদের মিথ্যাচার রুখতে শিশু-কিশোরদের সাইবার যুদ্ধ শিখতে হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী বলেন,গত ১৩ বছরে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এবং আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এর তত্ত্বাবধানে দেশে সঠিকভাবে ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারনে
করোনার সময় ডিজিাটাল সংযুক্তিতে দেশ সচল রাখা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এখন স্মার্ট প্রজন্ম গড়ে তুলতে কাজ করছি। তিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তির
পাশাপাশি সাংস্কৃতিক মুক্তি অর্জন এবং প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে উদার প্রজন্ম গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বাঙালি যে বীরের জাতি তা সবসময়েই প্রমাণ করবো। মেড ইন বাংলাদেশ প্রযুক্তি পণ্য দিয়ে বিশ্বজয় করবো বলে তিনি জানান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুক্তযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক ও আইসটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় মেড ইন বালাদেশ ওয়ালটনের ১৭টি ল্যপটপ, ট্যাব, স্মার্টওয়াচ ও ব্লুটুথ স্পিকার।
গত ২৫ জানুয়ারি আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ওয়েবসাইট ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। এটুআই প্রোগ্রামের সহযোগিতায় আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা তিনটি গ্রুপে যথাক্রমে ক গ্রুপ (৮-১২ বছর), খ গ্রুপ (১৩-১৮ বছর) এবং গ গ্রুপে (১৯-তদুর্ধ) অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেন সর্বমোট ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৪শত ৫০ জন।