সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিতে একযোগে কাজ করছে ইমো ও জাগো ফাউন্ডেশন

সিনিউজ ডেস্ক: দেশের প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য মানসম্মত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে তাৎক্ষণিক যোগাযোগে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ইমো ও বাংলাদেশ-ভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা জাগো ফাউন্ডেশন। সমঝোতা স্মারকের আওতায় গতকাল বিকেলে (১৬মে) রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত জাগো স্কুলে এক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সেখানে শিশুদের জন্য শিক্ষা-সহায়ক স্টেশনারি সামগ্রী প্রদান করে ইমো। সহানুভূতি, উদ্ভাবন ও সক্ষমতার ধারনায় উজ্জীবিত ইমো এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে স্থানীয় শিশুদের সহায়তায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করলো।

বাংলাদেশে শিক্ষার মধ্য দিয়ে দারিদ্র দূর করা ও জীবনমান উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ অলাভজনক উন্নয়ন সংস্থা জাগো ফাউন্ডেশন। দেশের প্রান্তিক শিশুদের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে তাদের জীবনে সফল করে তোলা এবং এই অংশীদারিত্বের মধ্য দিয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে জাগো ফাউন্ডেশনের লক্ষ্যকে সহায়তা করছে ইমো। দেশের ১১টি জায়গায় জাগো ফাউন্ডেশনের স্কুলের হাজারো শিশুর মাঝে স্টেশনারি সামগ্রী বিতরণ করছে ইমো।

বনানীর জাগো স্কুলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার মৌলিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে পেনসিল, কলম, ইরেজার, শার্পনার, রঙপেনসিল, ক্রেয়ন রঙ, রুলার, জ্যামিতি বক্স, ফাইলসহ আরও নানান সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইমো ও জাগো ফাউন্ডেশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা।

এ বিষয়ে বনানীতে অবস্থিত জাগো ফাউন্ডেশন স্কুলের প্রিন্সিপাল আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, “ইমো’র সাথে এই অংশীদারিত্ব আমাদের শিশুদের বিকাশে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এই প্রয়াস শিক্ষার্থীদের মধ্যে আশা ও উদ্দীপনার বীজ বপন করেছে। তাদের এই অসামান্য সহযোগিতার কারণে জাগো’র শিশুরা এখন আরও উন্নত শিক্ষাগ্রহণের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। শিশুদের জন্য উন্নত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে আশাবাদী আমরা।”

এ বিষয়ে জাগো ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক করভি রাকসান্দ বলেন, “এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কেবল স্টেশনারি সামগ্রীই সরবরাহ করা হচ্ছে না; বরং, আমাদের শিশুদের জন্য শিক্ষার সুযোগকে অবারিত করে তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমরা আশা করছি ইমোর মতো এরকম সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের সাথে আমাদের অংশীদারিত্ব অব্যাহত থাকবে। একইসাথে, আমরা এসব তরুণ মেধাবীদের শিক্ষা, বেড়ে ওঠা ও সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সক্ষম করে তুলবো।”

এ বিষয়ে ইমো মেসেঞ্জারের বিজনেস ডিরেক্টর মেহরান কবির বলেন, “ইমো সমাজের কল্যাণে উদ্ভাবনী ও কার্যকরী সমাধান নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বছরের রমজান মাস থেকে বাংলাদেশে মৌলিক শিক্ষার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সক্ষম করে তোলার লক্ষ্য গ্রহণ করেছি আমরা। শিক্ষার মধ্য দিয়ে একটি উন্নত জীবন নিশ্চিতে এসমস্ত শিশুদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে আমরা জাগো’র সাথে অংশীদারিত্ব করার সিদ্ধান্ত নিই এবং তাদের শিক্ষাসামগ্রী সরবরাহ করি। জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে আমাদের এই উদ্যোগ দেশের তরুণদের সফলতার পথে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশাবাদী আমরা।”

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালে শিশুদের জন্য স্টেশনারি সহায়তা প্রদান করেছে ইমো। এবার জাগো ফাউন্ডেশনের সাথে দ্বিতীয়বারের মতো অংশীদারিত্ব করলো প্রতিষ্ঠানটি।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।