সিনিউজ ডেস্ক:বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর উদ্যোগে ৭ম বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১।
এ উপলক্ষে বেসিস অডিটোরিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসিস এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জনাব ফারহানা এ রহমান, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক জনাব রাশাদ কবির, বেসিস এর সহ-সভাপতি জনাব মুশফিকুর রহমান, ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র কার্যনির্বাহী সহ-সভাপতি ও আন্তর্জাতিক বিভাগীয় প্রধান জনাব মোঃ জিয়া আরফিন এবং মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ-এর প্রতিনিধি।
শুরুতে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক জনাব রাশাদ কবির বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর আয়োজন ও প্রস্তুতিবিষয়ক নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর কার্যক্রম ২৭ অক্টোবর ২০২১ তারিখ থেকে নিবন্ধনের মাধ্যমে শুরু হবে। আগ্রহী ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান আগামী ১১ই নভেম্বর ২০২১ তারিখ পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। এরপর বিচারকদের মাধ্যমে ধাপে ধাপে যাচাই বাছাই করে দুইটি ভাগে মোট ১০০টি পুরষ্কার প্রদান করা হবে। এর মধ্যে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে থাকবে ২০ টি পুরষ্কার এবং ব্যক্তি পর্যায়ে থাকবে ৮০টি পুরষ্কার। প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান বিভাগে ৫টি, স্টার্টআপ বিভাগে ৫টি এবং এক্সপোর্ট এক্সিলেন্স বিভাগে ১০টি পুরষ্কার থাকবে। আর ব্যাক্তি পর্যায়ে ৬৪ জেলায় ৬৪ জনকে, ব্যক্তি নারী বিভাগে ৬ জনকে এবং আউটসোর্সিং প্রফেশনাল বিভাগে সেরা ১০ জনকে পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
বেসিস এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর উপদেষ্টা জনাব ফারহানা এ রহমান নারীদের ঘরে বসে অনলাইন আউটসোর্সিংয়ের বিষয়ে উৎসাহিত করেন এবং আরো বলেন, যেভাবে প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে আমাদেরও সেভাবে দক্ষতা উন্নয়ন করতে হবে। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে যারা কাজ করছেন তাদেরকে দৃশ্যমান করা ও স্বীকৃতি প্রদান, রপ্তানিতে তাদের অবদান তুলে ধরা, ব্যক্তিগতভাবে যারা ফ্রিল্যান্সিং করছেন তারা যাতে কোম্পানি তৈরির মাধ্যমে উদ্যোক্তা হতে পারেন সেটাই এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।
ব্যাংক এশিয়ার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব মোঃ জিয়া আরফিন তার বক্তব্যে প্রতিবছর বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড আয়োজনের জন্য বেসিসকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ব্যাংক এশিয়া প্রায় শুরু থেকেই এ আয়োজনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আমি বিশ্বাস করি এ আয়োজনের মাধ্যমে একদিকে যেমন তথ্যপ্রযুক্তি খাতের রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে অন্যদিকে তেমনি দেশের প্রায় সকল জেলা ও প্রত্যন্ত এলাকায় অনলাইন আউটসোর্সিং-এ যুক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করবে।
বেসিস সভাপতি জনাব সৈয়দ আলমাস কবীর তার বক্তৃতায় বলেন, সরকার ২০২৫ সাল নাগাদ ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বর্ণিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ইতিমধ্যে এ খাতে অর্জিত আয়ের উপর ১০% নগদ প্রণোদনা চালু করেছে। তিনি এই নগদ প্রণোদনা ২০%-এ উন্নীত করার অনুরোধ জানান। নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করার জন্য সরকারের সাথে বেসিস একাত্ম হয়ে কাজ করছে। আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে নতুন নতুন পণ্য ও সেবা উদ্ভাবনের পাশাপাশি নিজেদের দক্ষতা উন্নয়নে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগ আরও জোরদার করতে হবে বলে মনে করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে যেসব বিষয়ে ইতিমধ্যে আমাদের দেশীয় সফটওয়্যার ও সফটওয়্যার পরিষেবা সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কাছে নিয়ে যেতে হবে। এ ব্যাপারে বেসিস সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। কারণ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণে বেসিসের পাশাপাশি সরকারের সহযোগিতা অত্যাবশ্যক।
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ এর প্লাটিনাম স্পন্সর হিসেবে থাকছে ব্যাংক এশিয়া এবং সহযোগিতায় আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল ও মাস্টারকার্ড বাংলাদেশ।
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও নিবন্ধন করতে এই লিঙ্ক https://outsourcingaward.basis.org.bd/ ব্যবহার করতে সকলকে অনুরোধ করা হয়।