সিনিউজ ডেস্ক: ডিং এর মতে, যেসব দেশে ফাইভজি’র দ্রুত উন্নয়ন ঘটছে ও অপারেটররা এক্ষেত্রে বেশি পরিমাণে বিনিয়োগ করছে, তারা এর সুফলও পাচ্ছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, যখন ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বাড়বে, তখনই অপারেটররা এর পুরোপুরি সুবিধা উপভোগ করতে পারবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ফাইভজি পেনিট্রেশন ২০ শতাংশে পৌঁছালে, এ প্রযুক্তির বিকাশ আরও দ্রুত হবে।
চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও কুয়েতের মতো দেশগুলোতে অপারেটররা ব্যবহারকারীদের দ্রুত দেশব্যাপী কভারেজ প্রদান ও নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করছে। তারা ব্যবহারকারীদের সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ নিয়ে এসেছে যা গ্রাহক ও অপারেটর উভয়ের জন্যই সুবিধাজনক। ব্যবহারকারীদের নতুন নেটওয়ার্কে স্থানান্তর ও নেটওয়ার্কের বিকাশকে ত্বরাণ্বিত করতে অপারেটররা ফোরজি’র চেয়ে উন্নত অভিজ্ঞতা প্রদান করছে। এসব দেশে ২০ শতাংশেরও গ্রাহক বেশি ফাইভজি’তে সেবা নিতে শুরু করেছে যার ফলে ব্যবহারকারীদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়েছে এবং ব্যবসায়িক আয় ও নেটওয়ার্ক নির্মাণে ইতিবাচক প্রবণতা এনেছে।
উচ্চমানের ফাইভজি নেটওয়ার্ক মোবাইল ডেটা ট্রাফিকের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটাবে। ধারণা করা যায় যে, ২০৩০ সালের মধ্যে প্রত্যেক ব্যবহারকারীর মাসিক ডেটা ট্র্যাফিক ৬শ’ জিবিতে পৌঁছাবে। আর বিদ্যমান নেটওয়ার্কগুলোর সক্ষমতা যদি একইরকম থেকে যায় তবে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কের জ্বালানি খরচ দশগুণেরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। ডিং বলেন, আইসিটি শিল্পের গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমণ ৪৫ শতাংশ কমাতে উচ্চ পারফরম্যান্স ও কম জ্বালানি খরচের গ্রিন নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে অপারেটরদেরকে বিদ্যমান পাওয়ার সাপ্লাই, বিতরণ, ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনায় উদ্ভাবন চালিয়ে যাওয়া প্রয়োজন।
খাত সংশ্লিষ্ট অংশীদার – জিএসএমএ এবং এসএএমইএনএ টেলিকমিউনিকেশনস কাউন্সিলের সাথে একসাথে বৈশ্বিক মোবাইল ব্রডব্যান্ড ফোরাম আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে। ফাইভজি’র সম্ভাবনা কীভাবে বাড়ানো যায় এবং মোবাইল খাতকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় এ নিয়ে আলোচনায় এ ফোরামে সারাবিশ্ব থেকে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর, বিভিন্ন খাতের নেতৃবৃন্দ ও ইকোসিস্টেম পার্টনাররা অংশগ্রহণ করেন।
আরও তথ্যের জন্য অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন: https://www.huawei.com/en/events/mbbf2021