সিনিউজ ডেস্ক: সর্বশেষ সংস্করণের অত্যাধুনিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, মনিটর ও সিসি ক্যামেরা সহ নিত্য নতুন অনুমোদিত প্রযুক্তিপণ্যের সমাহার নিয়ে রাজধানীতে আজ থেকে শুরু হয়েছে ৬ দিনব্যাপী সিটি আইটি মেগা ফেয়ার-২০২৩। ‘টেকনোলজি, হাইওয়ে টু স্মার্ট বাংলাদেশ’ স্লোগানে শুরু হওয়া এবারের মেলার উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মোস্তাফা জব্বার, মাননীয় মন্ত্রী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বংলাদেশ সরকার। বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন, ফরহাদ হোসেন, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বংলাদেশ সরকার। সম্মানিত অতিথি হিসাবে ছিলেন, ঈঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, সভাপতি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুটি ভিত্তি হলো ডিজিটাল কানেকটিভিটি এবং ডিজিটাল দক্ষতা। এই ডিজিটাল দক্ষতা তৈরিতে কম্পিউটার শিল্প অনেক অবদান রেখেছে। কোন কম্পিউটার অথবা কোন সফটওয়্যার কিভাবে ব্যবহার করতে হবে এমন বিষয়গুলো এই মার্কেটের মাধ্যমে মানুষ জানতে পেরেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, আমাদের বিসিএস কম্পিউটার সিটি নিয়মিতভাবে মেলার আয়োজন করে থাকে। এই মেলার মধ্য দিয়ে ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের একটি মিলনমেলা তৈরি হয়। অন্যদিকে, এই মেলার মাধ্যমে ক্রেতারা বিভিন্ন পণ্য যাচাই-বাছাই করার সুযোগ পায়।”
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, ফরহাদ হোসেন বলেন, “বর্তমানে চেইঞ্জ ম্যানেজমেন্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেখানে কাজের সময়, এবং ধরন পরিবর্তন হচ্ছে নতুন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে। সেই জন্য আমি মনে করি, আইসিটি মেলাগুলো আয়োজন করা উচিত। আমরা যেন নতুন প্রজন্মের কাছে নতুন ডিভাইসগুলো এর মধ্য দিয়ে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি।”
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি, ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, “অনেক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমরা এই মেলাটি করতে সক্ষম হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা যে ভূমিকা রেখেছি, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমাদের অনেক শ্রম, আত্মত্যাগ, মেধা, এবং অর্থের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের এই দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে। সরকারের এই প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার পেছনে আমাদের অবদান অব্যাহত থাকবে।”
বিসিএস কম্পিউটার সিটির প্রেসিডেন্ট এএল মজহার ইমাম চৌধুরী জানান, এবারের মেলায় অংশ নিচ্ছে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ড। এছাড়া যেকোনো অনুমোদিত পণ্য কিনলেই থাকবে আকর্ষণীয় মূল্যছাড় ও পুরস্কার। এবারের মেলায় কেনাকাটায় ছাড়ের পাশাপাশি ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য গেমিং কম্পিটিশন, পিসি ব্যাটেল শো, ল্যাপটপ ব্যাটেল শো, এবং ফেইসবুক রিল কম্পিটিশন আয়োজন করা হবে। সেই সঙ্গে থাকছে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাও। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত মেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকবে। মেলা চলবে ৭ই অক্টোবর পর্যন্ত।
সিটি আইটি মেগা ফেয়ার এর আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাহেদ আলী ভূঁইয়া জানান, আইডিবির মেলা আমাদের প্রাণের মেলা। মেট্রোরেল চালুর কারণে এবারের মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের আনাগোনা অনেক বাড়বে বলে আশা করছি। এবারের সিটি আইটি মেগা ফেয়ারে স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলন থাকবে। মেলায় স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলন ছাড়াও পার্টিসিপেন্ট স্টল থাকবে। মেলার পৃষ্ঠপোষক হিসাবে আছে আসুস, দাহুয়া, ইপসন, এইচপি, হিকভিশন, ইনফিনিক্স, লেনোভো এবং এমএসআই এর মত বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড।
মেলায় থাকবে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে আকর্ষণীয় উপহার, সব দর্শনার্থীদের জন্য মেগা ডিসকাউন্ট, নিশ্চিত উপহার, ক্যাশব্যাক, স্ক্র্যাচ এন্ড উইন, টেক সেলিব্রেটি আড্ডা, অনুমোদিত পণ্যে নিশ্চিত ওয়ারেন্টি সহ সর্বোপরি সঠিক পণ্যের নিশ্চয়তা।