গতকাল (জুলাই ৮, ২০১৫) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্স পেল ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)। এ লাইসেন্স প্রাপ্তির মাধ্যমে ই-ক্যাব এখন বাংলাদেশে ই-কমার্সের একমাত্র ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
ই-ক্যাব এর প্রেসিডেন্ট রাজিব আহমেদ ই-ক্যাব এর সকল সদস্য ও শুভানুধ্যায়ীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, “ই-ক্যাব এর এ লাইসেন্স প্রাপ্তি আমাদের সকলের জয়। এটি সম্ভব হয়েছে ই-ক্যাব এর সকল সদস্য এবং শুভানুধ্যায়ীদের অকুন্ঠ সমর্থনের জন্যে। ই-কমার্স এখন আর কোন বিলাসবহুল পণ্য নয় এটি আমাদের জন্যে অত্যন্ত জরুরী। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে দেশের ছোট বড় এবং মাঝারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অনলাইনে ব্যবসা করবে। এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতেও এখন ই-কমার্স ব্যাপক হারে বিকাশ লাভ করেছে। বাংলাদেশে ই-কমার্স দেরিতে শুরু হয়েছে এবং জনপ্রিয়তা লাভ করেছে কিন্তু এখনো এ সেক্টরে অনেক সমস্যা বিদ্যমান। ই-ক্যাব থেকে আমরা এসব সমস্যা সমাধানের জন্যে কাজ করে যাব।”
ই-ক্যাব এর সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, “ই-ক্যাব এর এ লাইসেন্স প্রাপ্তি বাংলাদেশের ই-কমার্স সেক্টরের জন্যে একটি মাইলফলক। ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশে ই-কমার্স শুরু হলেও দীর্ঘদিন যাবত এ সেক্টরটি অবহেলিত ছিল। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, আইন-কানুন, দেশে ই-কমার্স বান্ধব পরিবেশের অভাব সহ নানা সমস্যায় এ সেক্টরটি জর্জরিত। এতদিন পর্যন্ত কোন ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনও ছিল না যারা দেশীয় ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সাথে সংশ্লিষ্ট লোকদের একত্রিত করে এসব সমস্যা মোকাবেলার জন্যে কাজ করে। ই-ক্যাব এখন সেই কাজটিই করবে।”
নভেম্বর মাসের ৮ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-ক্যাব যাত্রা শুরু করে। ই-ক্যাব এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ই-কমার্সকে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। দেশীয় ই-কমার্স সেক্টরের উন্নয়নে ই-ক্যাব ই-সেবা, ই-পেমেন্ট এবং লেনদেন, ই-সিক্যুরিটি, ই-কমার্স পলিসি এবং গাইডলাইন, সার্ভিস ডেলিভারি, ই-কমার্স সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণ, পণ্যের মান নিশ্চিতকরণ এবং গবেষণা এ কয়েকটি বিষয়ের উপরে কাজ করছে।