সিনিউজ ডেস্ক:মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি আয়োজিত দুইদিন-ব্যাপী ‘৫০ এর ১৬’ শীর্ষক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ, মুক্তিযোদ্ধা সম্বর্ধনা ও আলোচনাসভা, বিজয়ের ফটোগ্রাফি, আলোকসজ্জায় সজ্জিত ক্যাম্পাস, বিজয় ফানুশ ওড়ানো, মোমবাতি প্রজ্বলন, বিজয়ের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বিজয় গ্রাফিতি অংকন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ, সমবেত কন্ঠে জাতীয় সঙ্গীত, ফ্ল্যাশ মব, বিজয় র্যালী এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
যথাযোগ্য মর্যাদা আর জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মহান বিজয় দিবসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তন অকুতোভয় বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে। মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আজ ১৬ ডিসেম্বর, ২০২১ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজুর নেতৃত্বে¡ সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পার্ঘ্য অর্পণের মাধ্যমে এ শ্রদ্ধা জানানে হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ ইসহাক মিজি, উর্ধ্বতন সহকারি পরিচালক দিলজেব কবীরসহসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের উধ্বৃতন কর্মকতাবৃন্দ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
গতকাল ১৫ ডিসেম্বর আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্বাধীনতা মিলনায়তনে উদ্বোধনী আলোচনাসভার অঅয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগ। এ আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহ-সভাপতি ইসমাত কাদির গামা। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী, মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল হেকিম, মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার নূরুল আমিন, মুক্তিযোদ্ধা ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অর্থ বিভাগের পরিচালক হামিদুল হক খান, মুক্তিযোদ্ধা ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অ্যালাইড হেলথ সায়েন্স অনুষদের সহযোগী ডিন ড. বেল্লাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা ও ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল হক, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ এম এম হামিদুর রহমান ও সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান আফতাব হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগের দুই শিক্ষার্থী মাজহার ও শারমিন নিশু। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের মুক্তিযোদ্ধা অভিভাবক ও ড্যাফোডিল পরিবারে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক-কর্মকর্তাদেরকে জানানো হয় সম্মাননা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসমাত কাদির গামা বলেন, অনেক রক্ত ও প্রাণের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই দেশ কারও দানে পাওয়া নয়। আর এই স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এইসব সত্য তরুণ প্রজন্মকে হৃদয়ে ধারণ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। তরুণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ইসমাত কাদির গামা বলেন, জয় বাংলা হচ্ছে রণধ্বণি। এটি কোনো দলের ¯েøাগান নয়। এটি হচ্ছে সমস্ত বাঙালির জাতীয় ¯েøাগান। এইসব ইতিহাস তরুণদেরকে জানতে হবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে বিজয়ীর বেশে দেশে ফিরে আসার সুদীর্ঘ গল্প শোনান শিক্ষার্থীদেরকে। তিনি আরো বলেন, এইসব ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই দেশকে এখন বিশ্বের বুকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব হচ্ছে তোমাদের।