সিনিউজ ডেস্ক: ঐতিহ্যবাহী ও বিখ্যাত রেস্তোরাঁগুলোর অংশগ্রহণে ‘গ্র্যান্ড ইফতার বাজার’ আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ফুড ও গ্রোসারি ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম ফুডপ্যান্ডা। রাজধানীর বনানী ও ধানমন্ডিতে এ ইফতার বাজার আয়োজিত হচ্ছে। দ্বিতীয়বারের মতো এ আয়োজনে রমজান মাসজুড়েই এ দুটি স্থান ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার গ্রাহকেরা ফুডপ্যান্ডা অ্যাপের মাধ্যমে সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার অর্ডার করতে পারবেন।
পবিত্র রমজানের প্রথম দিন হতে বনানীর সোয়াট ফিল্ড ও ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে এ আয়োজন শুরু হয়ে চলবে শেষ রমজান পর্যন্ত। ফুডপ্যান্ডার এই ইফতার আয়োজনে সহযোগী হিসেবে থাকছে সিটি ব্যাংক, অ্যামেরিকান এক্সপ্রেস (অ্যামেক্স) ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদ।
এ আয়োজনে ফুডপ্যান্ডা অ্যাপের মাধ্যমে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন রেস্তোরাঁর ইফতার সামগ্রীর পাশাপাশি দেশের নামকরা ও জনপ্রিয় বিভিন্ন রেস্তোরাঁর খাবার কেনার সুযোগ মিলবে। ভেন্যু থেকে সরাসরি ফুডপ্যান্ডার পিকআপ অপশন ব্যবহার করে খাবার কেনার পাশাপাশি ঘরে বসে ফুডপ্যান্ডা অ্যাপ থেকে অর্ডার ডেলিভারি নিতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। যেসব গ্রাহক ভেন্যুতে গিয়ে সরাসরি খাবার কিনতে চান কিন্তু ফোনে ফুডপ্যান্ডা অ্যাপ ইনস্টল করা নেই, তাদের জন্য ভেন্যুতে নির্ধারিত স্বেচ্ছাসেবীরা থাকবেন। যারা ভেন্যু থেকেই ফুডপ্যান্ডা অ্যাপ ইনস্টল করা ও খাবার অর্ডার করে দেয়ায় গ্রাহকদের সহযোগিতা করবেন।
এ উৎসবে মিলবে গরম ধোঁয়া ওঠা হালিম, জিবে জল আনা নিহারি, স্পেশাল ফালুদা, বিরিয়ানি বা ঘিয়ে ভাজা মচমচে জিলাপির মতো রোজার ঐতিহ্যবাহী ও মুখরোচক খাবারের সমাহার। ইফতারের এই আয়োজনটি বেলা ২টা থেকেই ফুডপ্যান্ডা অ্যাপে লাইভ হবে।
ফুডপ্যান্ডার এ আয়োজনে মোস্তাকিম ভ্যারাইটিজ কাবাব অ্যান্ড স্যুপ, ভাগ্যকুল কাচ্চি ঘর, বিউটি লাচ্চি অ্যান্ড ফালুদা, ডিসেন্ট পেস্ট্রি শপ, বার-বি-কিউ টুনাইট, নিহারিওয়ালা, ডেকচি, স্ট্রিট ওভেন, শর্মা হাউজ, তার্কা, ট্রাই স্টেট ইটারি, হাউজ অব তেহারি এবং ইফতারওয়ালার মতো ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় সব রেস্তোরাঁ অংশ নেবে।
ফুডপ্যান্ডা বাংলাদেশের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুবায়ের বি এ সিদ্দিকী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি খাবারই উদযাপনের অনুষঙ্গ আর প্রতিটি উৎসব খাবারের মাধ্যমে আরও স্মরণীয় হয়। গ্র্যান্ড ইফতার বাজার আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহকদের ইফতার কেনার অভিজ্ঞতা সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে চাই। এ আয়োজনে আমরা পুরান ঢাকা এবং নতুন ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার কেনার সুযোগ তৈরির মাধ্যমে বৈচিত্র্যতা আনার চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি এ আয়োজনের মাধ্যমে গ্রাহকদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে চাই। বনানী এবং ধানমন্ডিতে এ আয়োজনের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য সুবিধা আনা এবং এ জায়গা দুটিকে উৎসবের কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। গ্রাহকের প্রতিদিনের ইফতার আয়োজন যাতে স্মরণীয় হয় তা নিশ্চিতে কাজ করবো।