ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রামের উদ্বোধন

সিনিউজ ডেস্ক: শিক্ষাগত উৎকর্ষ এবং ডিজিটাল সমাজের বিকশিত চাহিদা মেটানোর অঙ্গীকারের প্রতীক হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আগামী ফল সেমিস্টার ২০২৪ (জুলাউ) থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিাগের অধীনে এম. এসসি. ইন সাইবার সিকিউরিটি প্রোগ্রাম চালু করা হয়। আজ ০৯ মার্চ ২০২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আমিনুল ইসলাম মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কোর্সের আনুষ্ঠানিকউদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সেীর মহাপরিচালক আবু সৈয়দ মোঃ কামরুজ্জামান, এনডিসি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ঈস্খফেসর ড. এম লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ।ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিেিটডের চীফ টেকনিক্যাল অফিসার প্রকৌশলী মোঃ মুশফিকুর রহমান, নগদ লিমিেিটডের টেকনোলজি অডিটের সিনিয়র ম্যানেজার এন এম আই রাইসুল বারী, এসিএনএ বি আই এন চাটার্য একাউন্টেন্টস এর পরিচালক ( আইটি অডিট) এ এন এম সাখাওয়াত হোসেন, বাইটস কেয়ার লিমিেিটডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাএম গোলাাম সারওয়ার ও আশা ইন্টারন্যাশনালের হেড অব ইনফরমেশন সিকিউরিটিমোঃ সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিয় বিভাগের প্রধান ইমরান মাহমুদ এম. এসসি. ইন সাইবার সিকিউরিটির প্রোগ্রমের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মারুফ হাসান।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কেন্দ্রবিন্দু এবং সাইবার নিরাপত্তা ছাড়া জীবন ঝুঁকিপূর্ণ। সামাজিক মাধ্যম থেকে অনলাইন ব্যাংকিং পর্যন্ত ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ওপর আমাদের নির্ভরশীলতা, সাইবার স্পেসে দুর্বলতার দ্বারকেও খুলে দিয়েছে। ইন্টারনেট এবং মোবাইলের দ্রæত বিকাশ, সাইবার নিরাপত্তাকে কেবল ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ের জন্য নয়, পুরো জাতির জন্য প্রধান উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশ যখন স্মার্ট জাতি হওয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তখন সাইবার সিকিউরিটির ভূমিকা আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে, সাইবার সিকিউরিটির পরিদৃশ্য দ্রæত পরিবর্তন হচ্ছে। সাইবার হুমকিগুলির বর্ধিত জটিলতা, নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, যা দক্ষ সাইবার সিকিউরিটি পেশাদারদের ঘাটতিও প্রকাশ করেছে। এই ঘাটতি একটি বৈশ্বিক সমস্যা, যা বিশ্বের বিভিন্ন জাতি ও শিল্পে প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশে, আমরা এমন বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি, যারা এই ডিজিটাল ক্ষেত্রের জটিলতাগুলো নেভিগেট করতে পারে এবং আমাদের অবকাঠামো এবং তথ্যগুলি সাইবার হুমকিগুলি থেকে সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম ।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সবসময় কর্মক্ষেত্রের গতিশীল চাহিদা পূরণের জন্য উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল শিক্ষামূলক সমাধান প্রদানের অগ্রণী ভূমিকা রেখে এসেছে। আমাদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে এম.এস.সি. প্রোগ্রামটি ডিজিটাল নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি দূর করার একটি কৌশলগত উদ্যোগ। এই প্রোগ্রামটি সাইবারসিকিউরিটি সেক্টরের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের চাহিদা অনুযায়ী সুনিপুণভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, নিশ্চিত করা হয়েছে যে আমাদের স্নাতকরা শুধু তাত্ত্বিক ধারণাতেই নয়, বাস্তবিক প্রয়োগেও পারদর্শী হবেন।

বক্তারা আরো বলেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে সাইবার সিকিউরিটির এম.এস.সি. প্রোগ্রামের সূচনা বাংলাদেশ এবং তার বাইরে যোগ্য সাইবার নিরাপত্তা পেশাদারদের জরুরী চাহিদা মেটানোর দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানে বদ্ধপরিকর, যাতে তারা তাত্ত্বিক জ্ঞান এবং ব্যবহারিক দক্ষতার সমন্বয়ে আধুনিক ডিজিটাল বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবেলা করতে প্রস্তুত হতে পারে। এই প্রোগ্রাম শুধুমাত্র একটি শিক্ষাগত উদ্যোগ নয়; এটি আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ এবং আমাদের ডিজিটাল বিশ্বের নিরাপত্তার প্রতি একটি প্রতিশ্রæতি। আমরা বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ, স্মার্ট এবং ঝুঁকিবিহীন ডিজিটাল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার প্রত্যাশা করি।

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।