সিনিউজ ডেস্ক: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) দেশের ৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩৪টি দলের অংশগ্রহণে ‘৪র্থ আন্তর্জাতিক রোবো টেক অলিম্পিয়াড ২০২৪’ আয়োজিত হয়। শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং বিভিন্ন বিদ্যালয় ও কলেজের তরুণ শিক্ষার্থীরা দিনব্যাপি অত্যাধুনিক রোবোটিক্স এবং নানান প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিযোগিতায় তাদের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী শক্তির প্রদর্শন করে। ১৯ অক্টোবর (শনিবার) সাভারের বিরুলিয়ার ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও রোবোটেক ভ্যালির উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া এই আয়োজনে স্পন্সর হিসেবে কোডমার্শাল আইটি সিস্টেম লিমিটেড ও ওয়াটার এইড, টেকনিক্যাল স্পন্সর হিসেবে ইন্সটিউট অব ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (আইইইই) কম্পিউটার সোসাইটি ও স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে ড্যাফোডিল রোবোটিক্স সহযোগিতা করে।
এ বছর মোট ৬টি ক্যাটাগরিতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে রোবো সকার, প্রকল্প প্রদর্শনী, লাইন ফলোয়িং রোবোট প্রতিযোগিতা, আইডিয়া উপস্থাপন, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং ড্রোন চ্যালেঞ্জের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রযুক্তিপ্রেমীরা তাদের মেধা ও ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য টেকনিকাল সেশন বা কারিগরি কর্মশালা এবং প্রজেক্ট উপস্থাপনেরও ব্যবস্থা রাখা হয় এই আয়োজনে। পাশাপাশি পুরো প্রতিযোগিতায় সব বিজয়ীদের মাঝে ৩ লক্ষ টাকা পুরস্কার হিসেবে প্রদান করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিআইইউ’র একাডেমিক অ্যাফেয়ার্সের ডিন প্রফেসর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, দেশের এই তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তিগত দিকে ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাবে, যা আমাদেরকেও জাতিগতভাবে অগ্রগতি নিয়ে আসবে। আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমে অবশ্যই তাদের মননশীলতা ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষের বিষয়টি চিন্তা করতে। এই আয়োজনের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত শিক্ষা ও প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা পাবে সবাই।
অংশগ্রহণকারী এই তরুণরা বাস্তব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে সমাধানের পথে এগিয়ে যাবে, যা ভবিষ্যত বাংলাদেশের জন্য এক নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করে সহযোগী আয়োজক রোবো টেক ভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আহসান আকিব জানান, এ ধরনের উদ্যোগ দেশের শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত দিকে আরও সম্প্রসারণ করার পাশাপাশি সব বয়সের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে তুলবে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এই আয়োজনের মাধ্যমে সব বয়সের প্রযুক্তিপ্রেমীর যে মিলনমেলা ঘটেছে, তা অসাধারণ।
এ আয়োজনে দেশের খ্যাতনামা বিজ্ঞানী, গবেষক ও পরিবেশবান্ধব সোনালী ব্যাগের আবিষ্কারক ড. মোবারক হোসেন খান, ওয়াটার এইড বাংলাদেশের ইউনিভার্সাল এক্সেস প্রোগ্রাম-এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার বাবুল মিয়া, আইইইই কম্পিউটার সোসাইটি বাংলাদেশ চাপ্টার-এর চেয়ার প্রফেসর ড. আহসান হাবিব তারেক, ডিআইইউ’র সায়েন্স এন্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির ডিন প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, সিএসই বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. শেখ রাশেদ হায়দার নুরি, সিএসই বিভাগের এসোসিয়েট হেড এবং প্রফেসর ড. এস এম আমিনুল হক সহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষার্থী এবং রোবো টেক ভ্যালির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।