সিনিউজ ডেস্ক: ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে তিনদিন ব্যাপী (সেপ্টেম্বর ৬-৮) বিগ ডেটা, আইওটি এবং মেশিন লার্নিং (বিআইএম ২০২৩) বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন গতকাল শেষ হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি (IIT) এবং ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটা সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ভিাগের সেন্টার ফর ইন্টেলিজেন্ট কম্পিউটিং এর যৌথ অংশীদারিতে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মো: সাজ্জাদ হোসেন এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.মোঃ নুরুল আলম। সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আকতার হোসেন, অধ্যাপক ড. এম. শামীম কায়সার, প্রফেসর ড. শেখ রাশেদ হায়দার নূরী এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সম্মেরনের চেয়র পারসন মোহাম্মদ শামসুল আরেফিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, “আমি বিআইএম ২০২৩-এর অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত, এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে উজ্জ্বল মেধাবীরা বিগ ডেটা, আইওটি এবং মেশিন লার্নিংয়ের সম্ভাবনাগুলি অন্বেষণ করতে একত্রিত হয়েছেন। ভবিষ্যতে আমাদের বিশ্ব এই প্রযুক্তিগুলির সাথে নিবিঢ়ভাবে যুক্ত হবে, এবং অংশগ্রহণকারীদের উৎসর্গ এবং উৎসাহ দেখে আমি অভিভ’ত এবং আনন্দিত । তিনি সম্মিলিতভাবে উদ্ভাবন, অগ্রগতি এবং শিল্পের সাথে আরও সহযোগিতা ও সেতুবন্ধন তৈরি করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে সবাইকে এগিয়ে আসাির আহŸান জানান।
প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান বলেন, “বিআইএম ২০২৩ হল সহযোগিতার শক্তি এবং শ্রেষ্ঠত্বের অন্বেষণের একটি প্রমান । এই সম্মেলনটি মূর্ত হওয়া ধারনা বিনিময়এবং প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের প্রতি আবেগের সাক্ষী হওয়ার একটি বিশেষত এবং এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথ তৈরি করছি।”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ নুরুল আলম বলেন, “এই অসাধারণ সমাবেশের অংশ হতে পারা একটি সম্মানের বিষয়। বিআইএম ২০২৩ শুধু একাডেমিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সহযোগিতার গুরুত্বই নয়, প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে এগিয়ে থাকার ড্রাইভকেও নির্দেশ করে। যেহেতু আমরা আলোচনায় নিয়োজিত হই এবং অন্তর্দৃষ্টি শেয়ার করি, তাই আমি বিশ্বাস করি আমরা এমন একটি ভবিষ্যৎ গঠন করছি যেখানে জ্ঞান এবং উদ্ভাবনের কোনো সীমা নেই।”
বক্তারা বলেন, বিআইএম সম্মেলন আগামীতে আমাদের একটি উজ্জ্বল প্রযুক্তির দিকে চালিত করবে, ভবিষ্যত গঠনের জন্য জ্ঞান বিনিময় উদ্ভাবন এবং সহযোগিতামূলক শিক্ষার এই উত্তেজনাপূর্ণ যাত্রার জন্য সাথে সবাইকে সম্পৃক্ত থাকার আহŸান জানান।