সিনিউজ ডেস্ক: বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ শনিবার (৩০ অক্টোবর) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিতে শুরু হয়েছে দিনব্যাপী ‘সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা দিবস-২০২১’ উদযাপন। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের আয়োজনে আজ সকালে আশুলিয়ায় অবস্থিত ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিবসটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার। এ সময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসাকা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল হক, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. ইমরান মাহমুদ, মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগের প্রধান শেখ মোহাম্মদ আল্লায়ের, সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক মো. মারুফ হাসান এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে অনলাইনে যোগ দেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. তৌহিদ ভূঁইয়া।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, বর্তমানে বিশ্বের সাড়ে ৪ বিলিয়ন মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। বর্তমান সময়টাই তথ্য প্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের। ইন্টারনেট ছাড়া এখন একটি দিন কল্পনাও করা যায় না। সুতরাং আমাদেরকে সাইবার দুনিয়া সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার আরও বলেন, বাংলাদেশে এখন তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটছে। এখনই সময় সাইবার নিপাত্তা সম্পর্কে সচেতন হওয়ার। আজকের সেমিনার ও কর্মশালা থেকে তরুণ প্রজন্ম সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ড. মো. সবুর খান তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান যুগকে বলা হচ্ছে ডাটার যুগ। যার হাতে যত ডাটা তিনি তত ক্ষমতাবান। সুতরাং ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আমাদের ডাটাকে সুরক্ষিত রাখা ছাড়া উপায় নেই।
ড্যাফোডিল চেয়ারম্যান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, তথ্য প্রযুক্তির পৃথিবীতে দ্রæত পরিবর্তন ঘটছে। আগামী বছরেই কোয়ান্টাম কম্পিউটার বাজারে আসবে বলে শোনা যাচ্ছে। এই কম্পিউটার প্রচলিত কম্পিউটারের চেয়ে ১০ মিলিয়ন বেশি ফার্স্ট হবে। সুতরাং প্রযুক্তির নিরাপত্তার ব্যাপারে আরও সচেতন হতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইকবাল হোসেন বলেন, সারা পৃথিবীতেই হ্যাকিংয়ে ঘটনা বাড়ছে। শুধু গত বছরেই পৃথিবীর ৮৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট কোন না কোনাভাবে হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে। সুতরাং সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন হওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, পৃথিবীর মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ সাইবার নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন।
ইকবাল হোসেন বলেন, ইন্টারনেট দুনিয়ায় ডাটাকে সুরক্ষিত রাখতে আমাদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। আর সচেতনতা বাড়াতে এ ধরনের সেমিনার ও কর্মশালা অনেক বেশি সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ধন্যবাদ জানান এ ধরনের সময়পোযোগী অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাস ‘আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা মাস’ হিসেবে পালিত হচ্ছে। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘সাইবার দুনিয়ায় নিরাপদ থাকি’। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করছে। আজ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে থাকছে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সেমিনার, প্রশিক্ষণ কর্মশালা, প্যানেল আলোচনা, পণ্য পদর্শনী এবং ক্যাপচার দ্য ফ্ল্যাগ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে শতাধিক দল অংশ নিচ্ছে। দিনব্যাপী এসব আয়োজনে সহযোগিতা করছে বেসিস, আইএসএএস এবং সফটহাব বিডি।