সিনিউজ ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল যুগ নতুন প্রজন্মের জন্য স্বর্ণালী সময়। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় আজকের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক কিংবা শিক্ষার উন্নয়নে বিশ্বে অনুকরণীয়। তিনি বলেন, সম্ভাবনাময় বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল যুগের উপযোগী মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় অনলাইনে গ্রামীণ ফোন আয়োজিত ‘জিপি এক্সপ্লোরারস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র এবং গ্রামীণ ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী জিপি এক্সপ্রোলারারস কর্মসূচি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার গঠনে একটি অসামান্য কাজ উল্লেখ করে বলেন, গ্রামীণ ফোনের ইন-হাউস স্কিল একাডেমি থেকে গ্র্যাজুয়েশন অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা যেভাবে নিজেদের তৈরি করতে পেরেছে তা জীবনের বড় ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। এই প্রশিক্ষণ প্রচলিত ধারা থেকে ব্যতিক্রমী ধারায় যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। কোভিডকালে নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি আমাদের নির্দেশনা বাস্তবায়নে থ্রি-জি নেটওয়ার্ক থেকে ৪জি নেটওয়ার্ক দেশব্যাপী সম্প্রসারণে গ্রামীণফোনসহ মোবাইল অপারেটরদের ভূমিকা অত্যন্ত সময়োপযোগী বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তা-ভাবনার ফসল ডিজিটাল বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ প্রতিটি ক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতায় উপনীত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, জিপি এক্সপ্লোরারস প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশে জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্যসমাজ প্রতিষ্ঠায় সরকারের এজেন্ডারই প্রতিচ্ছবি।
জিপি এক্সপ্লোরারস একটি বিশেষ ডিজিটাল স্কিলস একাডেমি, যার লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ও প্রয়োজনীয় দক্ষতার মধ্যে ব্যবধান দূর করে সফট ও ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে তাদের প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপস্কিল ও দক্ষ করে তোলা। জিপি একপ্লোরারসের এবারের আয়োজনে ৬৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬শ’র বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করেন, যার মধ্যে ৩৫৭ জন শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়। ২০ সপ্তাহব্যাপী এ আপস্কিলিং প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জ্ঞানের সাথে তাদের যোগাযোগ দক্ষতা, উদ্যোক্তা মানসিকতা এবং ডিজিটাল দক্ষতার ওপর আলোকপাত করা হয়।