সিনিউজ ডেস্ক: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল বিপ্লব প্রচলিত ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেছে। সামনের দিনে রোবট ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপের জায়গা দখল করে নিবে। ইতোমধ্যেই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মের মাধ্যমে ইন্টারনেট কল বেড়ে যাওয়ায় ভয়েস কল শতকরা ৪০ ভাগ কমে গেছে। পরিবর্তনের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং প্রতিনিয়ত উদ্ভাবিত ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে নীতিনির্ধারক, গবেষক, ট্রেডবডি ও ইন্ডাস্ট্রিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী ঢাকায় এক হোটেলে বিসিএস ল্যাপটপ সমিতি- ইস্টার্ন প্লাস আয়োজিত সদস্যদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় এদেশের প্রচলিত ধারা পাল্টে গেছে। ১৯৬৪ সালে দেশে কম্পিউটারের যাত্রা শুরু হলেও কম্পিউটারের বিপ্লবের সূচনা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তিনি বলেন, কম্পিউটারকে সাধারণের জন্য সহজলভ্য করতে বিসিএস এর দাবির প্রেক্ষিতে ৯৮-৯৯ সালের বাজেটে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়। এর ফলে দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন শুরু হয়। বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) এবং বেসিস এর সাবেক সভাপতি মোস্তাফা জব্বার কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে সে সময়ে প্রযুক্তিখাতের একমাত্র সংগঠন বিসিএস’র ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কম্পিউটার কী এবং এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করার জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানে মেলাসহ কম্পিউটার ব্যবহারের বিষয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ তৈরির কাজটি করেছে এই সংগঠন।
ল্যাপটপ কিংবা ডেস্কটপের পাশাপাশি মোবাইলসহ সকল প্রকার ডিজিটাল প্রযুক্তি একই ছাদের নিচে কেনাবেচার সময় এসে গেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মনে রাখতে হবে আমরা যে যুগে বাস করছি সে যুগ ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল যুগের গোড়াপত্তনের সময় বিসিএস যে ভূমিকা রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রত্যেককে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
পরে মন্ত্রী বিসিসিএস ল্যাপটপ বাজার সমিতির সদস্যদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
#