জীবনকে সহজ করবে মাইক্রোওয়েভ ওভেন

সিনিউজ ডেস্ক: কর্মব্যস্ত দিনের শেষে জাহিন ও সায়মা দম্পতির বাসায় পৌঁছাতে প্রতিদিনই রাত ১০টা বেজে যায়। এরপর হাত-মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হতে লেগে যায় আরো কিছু সময়। ঘরে পৌঁছে এতো রাতে তাদের আর রান্না করতে ইচ্ছে করে না। এ পরিস্থিতিতে তারা ঝটপট রান্নার একটি উপায় বের করে ফেলেন। ইউটিউব দেখে তারা ‘মাইক্রোওয়েভড গ্রিলড চিকেন রান্না’ করার সিদ্ধান্ত নেন। জাহিন ফ্রিজার থেকে মুরগির মাংস বের করে ভালোভাবে ম্যারিনেট করে ১০ মিনিট রেখে দেন, এরপর মাংসগুলোকে মাইক্রোওয়েভ ওভেনের মধ্যে রেখে দেন ২০ মিনিট। ব্যস, মুরগির মাংস রান্না হয়ে যায়! এভাবেই তারা কর্মব্যস্ত দিনগুলোতে খুব কম সময়ের মধ্যে ‘মাইক্রোওয়েভ গ্রিলড চিকেন’ রান্না করে রাতের খাবার সেরে ফেলেন।

 

জাহিন ও সায়মা দম্পতির মতো যারা কর্মব্যস্ত দিনের শেষে ঝটপট রান্না শেষ করতে চান তাদের জন্য মাইক্রোওয়েভ ওভেন বেশ সহায়ক। এ প্রয়োজনীয় অনুষঙ্গ খুব কম সময়ের মধ্যে রান্না শেষ করতে সাহায্য করে; এর বিশেষ সুবিধা হচ্ছে, রান্নার সময় খাবার হয়েছে কিনা তা বার বার দেখতে হয় না। তাই, চাকরিজীবী দম্পতিদের জন্য এটি প্রয়োজনীয় এক অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে।

 

বাজারে তিন ধরনের মাইক্রোওয়েভ ওভেন পাওয়া যাচ্ছে- সোলো, গ্রিল ও কনভেকশন। সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন খাবার গরম, সবজি সেদ্ধ, জমাটবাঁধা মাংসকে নরম করতে সাহায্য করে। সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেনটি বাজারে সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। যদি কেউ খুব দ্রুত খাবার রান্না করতে চান, তাহলে এ ওভেনটি তাদের জন্য বেশ উপযোগী। অতিরিক্ত ফিচার ও ইন্টারনাল গ্রিল সুবিধা থাকায় গ্রিল মাইক্রোওয়েব ওভেন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু ও মজাদার খাবার খুব সহজেই রান্না করা যায়। কনভেকশন মাইক্রোওয়েব ওভেন দিয়ে খুব সহজেই কেক ও পিৎজা বানানো যায়।

 

রান্নাকে সহজ করতে এ ওভেনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফিচার রয়েছে। অটো কুক/রিহিট/ডিফ্রস্ট ফিচারগুলোর মাধ্যমে পাওয়ার সেটিং অপশন সেট করে ওভেনটি চালানো যাবে। অতিরিক্ত গরম না করে সঠিক তাপমাত্রায় রান্না শেষ করার জন্য এতে রয়েছে ‘কিপ ওয়ার্ম’ ফাংশন। জাহিন ও সায়মা দম্পতির মতো যাদের অফিস শেষে বাসায় ফিরতে দেরি হয় তারা খুব দ্রুত সময়ের এ সরঞ্জামটি দিয়ে রান্না করতে পারবেন এবং এতে দীর্ঘসময় খাবার গরমও থাকবে।

 

আপনার মাইক্রোওয়েভ ওভেনে যদি এনার্জি সেভ মোড অপশন থাকে তবে এটি ব্যবহারে আপনার কম বিদ্যুৎ খরচ হবে, কিছু মাইক্রোওয়েভ ওভেনে সেন্সর কুকিং ফিচার রয়েছে, যা খাবার ও বাতাসের ময়েশ্চারকে কাঙ্ক্ষিত তাপমাত্রায় ওপর ভিত্তি করে শক্তির স্তর ও রান্নার সময়কে সমন্বয় করতে সাহায্য করে।

 

হট ব্লাস্ট, সিরামিক ক্যাভিটি, ট্যান্ডর টেকেনোলজি ও অন্যান্য অনেক ফিচারের সমন্বয়ে স্যামসাং কনজ্যুমার ইলেকট্রনিকসের মাইক্রোওয়েভ ওভেনের অনেকগুলো মডেল রয়েছে। স্যামসাং মাইক্রোওয়েভ ওভেনগুলো তাৎক্ষণিক ও সহজে সুস্বাদু খাবার রান্না করতে ব্যবহারকারীদের সাহায্য করে, যা অনেক সময়ও বাঁচায়। ব্যবহারকারীরা বাটন চেপেই প্রি-প্রোগ্রামড লোকাল রেসিপি বানাতে পারবেন। ২০ লিটার, ২৩ লিটার, ২৮ লিটার ও ৩৫ লিটার ভার্সনের ওভেনগুলো ৮,৯০০ টাকা থেকে ৪২, ৯০০ টাকার মধ্যে আগ্রহীরা ক্রয় করতে পারবেন। বিস্তারিত জানতে, ব্যবহারকারীদের স্যামসাংয়ের আউটলেট কিংবা ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে হবে www.samsung.com/bd.

 

জাহিন ও সায়মা দম্পতির মতো যাদের কর্মব্যস্ত দিনের শেষে রাতে বাসায় ফিরতে হয় কিংবা রান্না করার প্রয়োজনীয় সময় থাকে না, তারা নিজেদের জীবনকে সহজ করতে আস্থা রাখতে পারেন মাইক্রোওয়েভ ওভেনের ওপর।

 

Leave a Reply

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।