সিনিউজ ডেস্ক: ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের ওয়ালটনের। লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। অধিগ্রহণ করেছে ঐতিহ্যবাহী তিনটি ইউরোপীয় ব্র্যান্ড। জার্মানি, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থাপন করা হয়েছে ওয়ালটনের অফিস এবং রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার। আন্তর্জাতিক বাজারে শক্ত অবস্থান গড়তে ওয়ালটন অংশ নিচ্ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায়। এবার ইউরোপের বাজার টার্গেট করে দ্বিতীয়বারের মতো জার্মানির চিলভেন্টা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিলো ওয়ালটন। মেলায় ওয়ালটন তাদের ইউরোপীয় ব্র্র্যান্ড এসিসি’র নানা পণ্য প্রদর্শন করছে।
উল্লেখ্য, চিলভেন্টা এক্সিবিশন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। ২০০৮ সাল থেকে জার্মানির নূরেমবার্গ এক্সিবিশন সেন্টারে প্রতি দুই বছর পর পর আন্তর্জাতিক এই মেলা বসে। মেলায় রেফ্রিজারেটর, কম্প্রেসর, এসি অ্যান্ড ভেন্টিলেশন এবং হিট পাম্প উৎপাদনকারী বিশ্বের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করে। এর আগে ২০১৮ সালে চিলভেন্টা এক্সিবিশনে অংশ নিয়েছিলো ওয়ালটন। এবার প্রতিষ্ঠানটি তাদের ইউরোপীয় ব্র্যান্ড এসিসি নিয়ে চিলভেন্টা এক্সিবিশনে অংশ নিলো।
চলতি বছর ১১ থেকে ১৩ অক্টোবর চিলভেন্টা এক্সিবিশন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেলার ৭এ হলের ৩০৬ নাম্বার স্টলটি ওয়ালটনের। দৃষ্টিনন্দন স্টলটিতে প্রদর্শিত হচ্ছে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে ওয়ালটন প্রোডাকশন প্ল্যান্টে তৈরি এসিসি রেসিডেন্সিয়াল এয়ার কন্ডিশনার, ভিআরএফ, চিলার, কম্প্রেসরসহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) উদ্বোধনী দিনে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চিলভেন্টা এক্সিবিশন এবং ওয়ালটন স্টলের সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ। সে সময় তিনি স্টলের দায়িত্বে থাকা ওয়ালটনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন।
চিলভেন্টা এক্সিবিশনে আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের কাছে এসিসি ব্র্যান্ডের পণ্য ও সেবা তুলে ধরতে এই মুহূর্তে জার্মানিতে রয়েছেন ওয়ালটন এয়ার কন্ডিশনারের চীফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মোহাম্মদ তানভীর রহমান, কম্প্রেসরের সিবিও রবিউল আলম, কম্প্রেসরের রিচার্স অ্যান্ড ইনোভেশন (আরঅ্যান্ডআই) বিভাগের প্রধান মীর মুজাহেদিন ইসলাম, রেসিডেন্সিয়াল এসির আরঅ্যান্ডআই বিভাগের প্রধান আরিফুল ইসলাম, কমার্শিয়াল এসির আরঅ্যান্ডআই বিভাগের প্রধান শামীম আক্তার মুগ্ধ এবং গেøাবাল বিজনেস ডিভিশনের কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসিবুল হক।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, চিলভেন্টা এক্সিবিশনে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ৬৩ শতাংশই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে আসেন। বাকি ইউরোপ থেকে আসেন ১৭ শতাংশ। এছাড়া, ১৫ শতাংশ আসেন অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া এবং আফ্রিকা থেকে। আমেরিকা থেকে আসেন ৬ শতাংশ। মেলায় অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নতুন ব্যবসায়িক ক্ষেত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়।
ওয়ালটন এসির সিবিও মোহাম্মদ তানভীর রহমান জানান, প্রথম দিন থেকেই চিলভেন্টা এক্সিবিশনের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে এসিসি তথা ওয়ালটনের স্টল। ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্রেতা-দর্শনার্থীরা ওয়ালটনের স্টল পরিদর্শন করছেন। তারা ওয়ালটনের তৈরি এসিসি ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেশন, এয়ার কন্ডিশন এবং হিট পাম্প পণ্যের উদ্ভাবনী ডিজাইন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং আন্তর্জাতিক মানের ব্যাপক প্রশংসা করছেন।
তিনি বলেন, ওয়ালটনের উদ্দেশ্য ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যের হাব হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করা। আর এক্ষেত্রে ওয়ালটনের টার্গেট ইউরোপসহ উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর বাজার নিজেদের করে নেওয়া। চিলভেন্টা এক্সিবিশন এ লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক ভ‚মিকা রাখবে বলে আমরা আশাবাদী। এই মেলা থেকে ইউরোপের দেশের ক্রেতাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ রপ্তানি আদেশ মিলবে।